• আইপিএল
  • " />

     

    ক্রুনাল-মহসিন-চামিরার বিচক্ষণ বোলিংয়ে সাবেক ফ্র্যাঞ্চাইজির বিপক্ষে রাহুলের জয়ের তৃপ্তি

    ক্রুনাল-মহসিন-চামিরার বিচক্ষণ বোলিংয়ে সাবেক ফ্র্যাঞ্চাইজির বিপক্ষে রাহুলের জয়ের তৃপ্তি    

    পাঞ্জাব-লক্ষ্ণৌ, পুনে (টস-পাঞ্জাব/বোলিং)
    লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস- ১৫৩/৮, ২০ ওভার (ডি কক ৪৬, হুডা ৩৪, চামিরা ১৭, রাবাদা ৪/৩৮, চাহার ২/৩০, সন্দ্বীপ ১/১৮)
    পাঞ্জাব কিংস- ১৩৩/৮, ২০ ওভার (বেইরস্টো ৩২, মায়াঙ্ক ২৫, ঋষি ২১*, মহসিন ৩/২৪, ক্রুনাল ২/১১, চামিরা ২/১৭)
    ফলাফল: লক্ষ্ণৌ ২০ রানে জয়ী

     

    সাবেক দলের বিপক্ষে জয়ের হাসি নিয়েই মাঠ ছাড়লেন লোকেশ রাহুল। ব্যাট হাতে এদিন নিজে কিছু করতে না পারলেও দলকে শক্ত অবস্থানে রেখেই গিয়েছিলেন কুইন্টন ডি কক ও দীপক হুডা। তবে কাগিসো রাবাদা ও রাহুল চাহারের দারুণ বোলিংয়ে সেই ভিত একেবারেই কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছিল লক্ষ্ণৌর বাকি ব্যাটাররা। লড়াকু সেই পুঁজি নিয়েই পাঞ্জাবের ওপর চেপে বসে দুর্দান্ত এক স্পেলে ক্রুনাল পান্ডিয়া কোণঠাসা করে রেখেছিলেন প্রতিপক্ষকে। মহসিন খান, দুশমন্থ চামিরাদের দক্ষ বোলিংয়ে সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি পাঞ্জাব।   

     

    রাবাদা-চাহারে চুরমার ডি কক-হুডার গড়ে দেওয়া ভিত

    লক্ষ্ণৌর সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে তৃতীয় ওভারেই ফিরিয়েছিলেন রাবাদা। লক্ষ্ণৌকে তাই সাবধানে খেলতেই হত। সেটাই করেছিলেন ডি কক-হুডা জুটি। রাবাদাকে পরের ওভারেই ডি কক টানা দুই ছয় মারলেও দুজনেই সাবধানী থেকে পাওয়ারপ্লেতে দলীয় সংগ্রহ নিয়ে যান ৩৯ রানে। দুজনেই এরপর ওভারপ্রতি বাউন্ডারি বের করলেও তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে যাননি কোনও মুহূর্তেই। দলীয় রান যখন ৯৮ তখনই ভাঙে জুটি। আগের বলেই সন্দ্বীপ শর্মাকে চার মারা ডি ককের ব্যাট আলতো ছুঁয়ে উইকেটকিপারের হাতে চলে গেলে আম্পায়ার আউট দেননি। তবে ব্যাটে যে লেগেছে বুঝেই আম্পায়ারের কলের অপেক্ষা না করে ৩৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংস শেষে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ডি কক। সেখান থেকেই শুরু হয় লক্ষ্ণৌ’র ধস। পরের ওভারে দুই রান নিতে গিয়ে জনি বেইরস্টোর দুর্দান্ত থ্রোতে রান আউটের শিকার হয়ে থামে হুডার ২৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। পরের ওভারে আক্রমণে এসে জোড়া আঘাত হানেন রাবাদা; ফেরান ক্রুনাল পান্ডিয়া ও আয়ুশ বাদোনিকে। পরের ওভারে রাহুল চাহারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ফেরেন মার্কাস স্টইনিস। শেষ দিকে চড়াও হওয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকা জেসন হোল্ডারকেও নিজের শেষ ওভার করতে এসে এরপর ফেরান চাহার। পরের ওভারে দুশমন্থ চামিরাকে ফিরিয়ে রাবাদা পান তার ৪র্থ শিকারের দেখা। ১২তম ওভারেও ১ উইকেটে থাকা লক্ষ্ণৌ অবিশ্বাস্য এক ধসে পরের সাত ওভারেই হারায় উইকেট, যোগ করতে পারে ৬৪ রান।

        
    ক্রুনালে কোণঠাসা পাঞ্জাবের কফিনে মহসিন-চামিরার পেরেক

    বরাবরের মতই ঝড়ো শুরুই করেছিলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগারওয়াল। কিন্তু মৌসুমের বেশিরভাগ ম্যাচের মতই এদিনও কাজে লাগাতে পারেননি শুরুটা। পঞ্চম ওভারে চামিরার লেংথ বল তুলে মারতে গিয়ে বন্ধু ও সাবেক সতীর্থ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে মায়াঙ্ক থামেন ২৫ রানে। পাওয়ারপ্লেতে আর কোনও উইকেট না হারিয়ে পাঞ্জাব ৪৬ রান তুলে ফেললেও পরের ওভারে আক্রমণে এসেই শিখর ধাওয়ানকে ফেরান রবি বিষ্ণোই। এরপরেই শুরু হয় ক্রুনালের দুর্দান্ত সেই স্পেলের। প্রথম ওভারে সাত রান দিয়ে শুরু করলেও ভানুকা রাজাপাকসাকে ফিরিয়েছিলেন। ক্রুনালের চাপে অন্য প্রান্তে বিষ্ণোইকে দুই ছয় ও এক চার মেরে ওভারে ১৮ রান নিয়ে হাত খোলার চেষ্টা করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তবে ক্রুনালের জাল থেকে বের হতে না পেরে আবারও অন্য প্রান্তে আক্রমণে যেতে গিয়েই ঘটে বিপদ। মহসিন খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ১৮ রানে ফিরে যান লিভিংস্টোন। দুর্দান্ত এক স্পেলের সেশটা এরপর ক্রুনাল করেন উইকেট মেইডেন দিয়ে। জিতেশ শর্মাকে ফেরানো ওই ওভারের পর তার বোলিং ফিগার বলছিল: ৪-১-১১-২! ১৯তম ওভারে রাবাদা ও চাহারকে ফিরিয়ে এরপর পাঞ্জাবের কফিনে পেরেক ঠুকে দেন মহসিন খান।