• আইপিএল
  • " />

     

    ওয়াঙ্খেড়ে থ্রিলারের পর পুনের একপেশে ম্যাচে প্লেঅফের হাত ছোঁয়া দূরত্বে রাজস্থান, লক্ষ্ণৌ

    ওয়াঙ্খেড়ে থ্রিলারের পর পুনের একপেশে ম্যাচে প্লেঅফের হাত ছোঁয়া দূরত্বে রাজস্থান, লক্ষ্ণৌ    

    লক্ষ্ণৌ-কলকাতা, পুনে (টস-কলকাতা/বোলিং)
    লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস- ১৭৬/৭, ২০ ওভার (ডি কক ৫০, হুডা ৪১, স্টইনিস ২৮, রাসেল ২/২২, নারাইন ১/২০, সাউদি ১/২৮)
    কলকাতা নাইট রাইডার্স- ১০১, ১৪.৩ ওভার (রাসেল ৪৫, নারাইন ২২, ফিঞ্চ ১৪, আভেশ ৩/১৯, হোল্ডার ৩/৩১, মহসিন ১/৬)
    ফলাফল: লক্ষ্ণৌ ৭৫ রানে জয়ী

     

    ১৭৭ রানের লক্ষ্যে পাওয়ারপ্লেতেই ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে গিয়েছিল কলকাতা। ২৫ রান তুলতেই  আভেশ খানের মেইডেন উইকেটের সাথে জেসন হোল্ডার,দুশমন্থ চামিরাদের চাপে কলকাতা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। উইকেটে এসেই অন্য প্রান্তে প্রতি আক্রমণে যেয়ে লক্ষ্য তাড়াকে পথে আনার চেষ্টা করেন আন্দ্রে রাসেল। ৩ চার ও ৫ ছয়ে সাজানো রাসেলের ১৯ বলে ৪৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস থামে আভেশের আঘাতে। ওই ওভারেই তিনি অনুকূল রয়কেও ফেরালে হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যা কলকাতার। এক ওভার পরেই টানা দুই বলে হোল্ডারের জোড়া আঘাতের পরের বলেই রান আউটে শেষ হয় কলকাতার ক্ষণস্থায়ী লড়াই।

    এর আগে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল ডি কক-হুডার দারুণ জুটি; কোনও বল খেলার আগেই রান আউটের শিকার হয়ে রাহুল ফেরার পর ৭৩ রানের জুটি গড়েছিলেন এই দুজন। যার মধ্যে ফিফটি পাওয়ার পরপরই ফিরে যাওয়া ডি ককের অবদান ছিল ২৯ বলে ৫০ রান। ফিফটির কাছাকাছি এসে এরপর রাসেলের শিকার হয়ে ২৭ বলে ৪১ রানের ইনিংস শেষে ফিরে যান হুডা। শেষ দিকে মার্কাস স্টইনিসের ১৪ বলে ২৮* রান ও জেসন হোল্ডারের ৪ বলে ১৩ রানের ক্যামিওর পর শেষ ওভারে সাউদির জোড়া আঘাতে লক্ষ্ণৌ থেমেছিল ১৭৬ রানে, দিনশেষে যেটাকে কলকাতার নাগালের বাইরে নিয়ে গিয়েছিল তাদের বোলাররা।

     


     

    পাঞ্জাব-রাজস্থান, ওয়াঙ্খেড়ে (টস-পাঞ্জাব/ব্যাটিং)
    পাঞ্জাব কিংস- ১৮৯/৫, ২০ ওভার (বেইরস্টো ৫৬, জিতেশ ৩৮*, রাজাপাকসা ২৭, চেহেল ৩/২৮, আশ্বিন ১/৩২, কৃষ্ণা ১/৪৮)
    রাজস্থান রয়্যালস- ১৯০/৪, ১৯.৪ ওভার (জাইসওয়াল ৬৮, হেটমায়ারা ৩১*, পাডিক্কাল ৩১, আরশদিপ ২/২৯, ধাওয়ান ১/২৫, রাবাদা ১/৫০)
    ফলাফল: রাজস্থান ৬ উইকেটে জয়ী

     

    ১৯০ রানের লক্ষ্যে দারুণ শুরু করেও মাঝে পা ফস্কে হারের শঙ্কা জেগেছিল রাজস্থান শিবিরে। দেবদূত পাডিক্কালের ৩২ বলের ৩১ রানের ইনিংসের সুবিধা তুলে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল পাঞ্জাব। আরশদিপ সিংয়ের দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্যই অবশ্য জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল পাঞ্জাব। সেই স্বপ্নের জলাঞ্জলি তাদের দিতে হয়েছে শিমরন হেটমায়ারের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে।

    ব্যাট হাতে আরও একবার শুরুতে ঝড় তুলেও চতুর্থ ওভারেই রাবাদার শিকার হয়ে জস বাটলার থেমেছিলেন ৩০ রানে। পরে এই রাবাদার ওপরেই চড়াও হয়েছিল রাজস্থান ব্যাটাররা। এদিন ওপেন করতে নামা ইয়াশাসভি জাইসওয়াল ৩৩ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করার পর থেমেছিলেন আরশদিপের আঘাতে, ৪১ বলে ৬৮ রানের ইনিংস শেষে। এরপরে পাডিক্কাল অদ্ভুতুড়ে এক ইনিংস খেললেও উইকেটে এসেই রাবাদার ওপর চড়াও হয়েছিলেন হেটমায়ার। ১৯তম ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে পাডিক্কালকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন আরশদিপ। তবে ১৫ বলে ৩১* রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে কোনও অঘটন ঘটতে দেননি হেটমায়ারা।

    অথচ এদিন ব্যাট হাতে ছন্দে ফিরেছিলেন জনি বেইরস্টো। ৩৪ বলে পূর্ণ করেছিলেন এবারের আসরে নিজের প্রথম ফিফটি। তবে এর আগেই ভানুকা রাজাপাকসার ১৮ বলে ২৭ রানের ইনিংস থামিয়ে দেওয়ার পর নিজের তৃতীয় ওভারে এসে জোড়া আঘাত হানেন আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী যুজবেন্দ্র চেহেল। এদিন চারে নামা মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে ফেরানোর এক বল পরেই চেহেল থামিয়ে দেন বেইরস্টোর ৪০ বলে ৭৬ রানের ইনিংস। সেই সাময়িক বিপদ সামলে শেষ দিকে এসে ঝড় তুলেছিলেন জিতেশ শর্মা  ও লিয়াম লিভিংস্টোন। ১৪ বলে ২২ রানের পর লিভিংস্টোন থামলেও ১৮ বলে ৩৮* রানে অপরাজিত থেকে দলীয় সংগ্রহ ১৮৯ রানে নিয়ে গিয়েছিলেন জিতেশ। মাঝে ম্যাচ খুইয়ে বসার শঙ্কা সামলে রাজস্থান অবশ্য সেই লক্ষ্য তাড়া করেছিল ঠিকই।