• আইপিএল
  • " />

     

    'ডেডলি ড্রে রাস'-এর কাছে হায়দ্রাবাদের অসহায় আত্মসমর্পণ

    'ডেডলি ড্রে রাস'-এর কাছে হায়দ্রাবাদের অসহায় আত্মসমর্পণ    

    কলকাতা-হায়দ্রাবাদ, পুনে (টস-কলকাতা/ব্যাটিং)
    কলকাতা নাইট রাইডার্স- ১৭৭/৬, ২০ ওভার (রাসেল ৪৯*, বিলিংস ৩৪, রাহানে ২৮, উমরান ৩/৩৩, ভুবনেশ্বর ১/২৭, ইয়ানসেন ১/৩০)
    সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ- ১২২/৮, ২০ ওভার (অভিষেক ৪৩, মার্করাম ৩২, শশাঙ্ক ১১, রাসেল ৩/২২, সাউদি ২/২৩, উমেশ ১/১৯)
    ফলাফল: কলকাতা ৫৪ রানে জয়ী

     

    আন্দ্রে রাসেল মানেই ধ্বংসযজ্ঞ, প্রতিপক্ষের বোলারদের লাইন এলোমেলো, ফিল্ডিং পরিকল্পনা ছত্রভঙ্গ। এর সবটাই তো হায়দ্রাবাদের সাথে হলই, রাসেলের সৌজন্যে পয়েন্ট তালিকাতে হায়দ্রাবাদের অবস্থানটাও যেন হয়ে গেল টলমলে। ব্যাটে-বলে হায়দ্রাবাদকে নিয়ে রাসেল খেললেন ছিনিমিনি; যোগ দিলেন পুরো কলকাতা বোলিং ইউনিট। তাতেই বড় এক জয় দিয়ে ছয়ে উঠে এসে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল শ্রেয়াস আইয়ারের দল।

     

    উমরানের উন্মত্ত গতির মিছিল ভেস্তে রাসেলের তান্ডব

    বল হাতে গতির ঝড় তুলে নিজেকে প্রতি নিয়ত নতুন করে মেলে ধরছেন উমরান মালিক, ব্যতিক্রম হল না এদিনও। মার্কো ইয়ানসেনের শিকার হয়ে ভেঙ্কটেশ আইয়ার পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ফিরলে আজিঙ্কিয়া রাহানে ও নিতিশ রানা দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারেই দুজনকেই ফেরালেন উমরান। পরের ওভারের শেষ বলে ফেরালেন কলকাতা অধিনায়ক শ্রেয়াসকেও। এক ওভার পরেই নাটারাজানের শিকার হয়ে রিঙ্কু সিং ফিরলে ১২ ওভারে ৯৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট খুইয়ে বসে কলকাতা। উমরান-ইয়ানসেনের দারুণ বোলিংয়ে পরের দুই ওভারে উইকেটে এসে রাসেল খানিকটা সময় নেন। অন্য প্রান্তে স্যাম বিলিংস প্রান্ত বদলের পাশাপাশি সময়মত বাউন্ডারিও তুলে নিতে থাকেন। ভুবনেশ্বরকে তুলে মারতে গিয়ে ১৯তম ওভারে বিলিংসের ২৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংসের সমাপ্তির পর শেষ ওভারে ঝড় তোলেন রাসেল। ওয়াশিংটন সুন্দরকে ৩ ছয়ে মেরে ওভারে নেন ২০ রান; অপরাজিত থাকেন ২৮ বলে ৪৯* রানে।

    বল হাতেও ‘ডেঞ্জারাস ড্রে’, সাউদি-উমেশ-বরুনের দারুণ স্পেল

    ১৭৮ রানের লক্ষ্যে হায়দ্রাবাদকে শুরু থেকেই চেপে ধরে ম্যাচের কোনও পর্যায়েই ফিরে আসতে দেয়নি। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শেষের পর বল হাতেও শুরুটা করে দেন রাসেল, হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে। অন্য প্রান্তে থাকা অভিষেক শর্মা লড়াই চালিয়ে গেলেও উইকেটে এসে তেমন সুবিধা না করতে পেরে ৯ম ওভারে ফিরে যান রাহুল ত্রিপাঠি। বরুনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে এরপর চাপে পড়ে এরপর হাত খুলতে বাধ্য হওয়া অভিষেক থামেন ২৮ বলে ৪৩ রান করে, সেই বরুনের কাছেই। উইকেটে এসেই নিকোলাস পুরান বিদায় নিলে অন্য প্রান্তে থাকা এইডেন মার্করাম প্রতি আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। দুর্দান্ত এক স্পেলের শেষ ওভারে এসে মার্করামের সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়ে ২৫ বলে ৩২ রানেই তাকে থামিয়ে দেন উমেশ। বরুন-সাউদিদের কিপটে বোলিংয়ের ফসল এরপর পান ডেথ ওভারে ফেরা রাসেল। এক ওভারেই সুন্দর ও ইয়ানসেনকে ফিরিয়ে নিভিয়ে দেন হায়দ্রাবাদের শেষ আশার আলোও।