• আইপিএল
  • " />

     

    জস 'দ্যা বস'-কে ম্লান করে 'কিলার মিলার'-এ ফাইনালের টিকেট গুজরাটের

    জস 'দ্যা বস'-কে ম্লান করে 'কিলার মিলার'-এ ফাইনালের টিকেট গুজরাটের    

    কোয়ালিফায়ার ১, আইপিএল ২০২২

    রাজস্থান-গুজরাট, কলকাতা (টস-গুজরাট/বোলিং)
    রাজস্থান রয়্যালস- ১৮৮/৬, ২০ ওভার (বাটলার ৮৯, স্যামসন ৪৭, পাডিক্কাল ২৮, হার্দিক ১/১৪, শামি ১/৪৩, সাই কিশোর ১/৪৩)
    গুজরাট টাইটান্স- ১৯১/৩, ২০ ওভার (মিলার ৬৮*, হার্দিক ৪০*, গিল ৩৫, বোল্ট ১/৩৮, ম্যাকয় ১/৪০)
    ফলাফল: গুজরাট ৭ উইকেটে জয়ী

     

    গুজরাটের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি টাইটান্স প্রথমবার এসেই দেখাচ্ছে ভেল্কি; প্রথম দল হিসেবে প্লেঅফে জায়গা করে নিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকেটও কেটে ফেলল তারা। অথচ জস বাটলারের দুর্দান্ত এক মৌসুমের ধারাবাহিকতায় আরও একটি দুর্দান্ত ইনিংসের পরে অনেকেই রাজস্থানের জয় দেখে ফেলেছিলেন। ইডেন গার্ডেনস যে ব্যাটিং বান্ধব, আর অসংখ্য নজরকাড়া রান তাড়ার সাক্ষী সেটা মাথায় রেখেই হয়ত গুজরাট ছিল আত্মবিশ্বাসী। সেই আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান ডেভিড মিলার আরও একবার দেখালেন যে তিনি কেনও এখনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিনিশার। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে সঙ্গী করে আরও একটি অসাধারণ রান তাড়ায় গুজরাটকে নিয়ে গেলেন আইপিএল ফাইনালে।

     

    জস দেখালেন কেন তিনি এখনও বস

    শুরুতেই ইয়াশাসভি জাইসওয়াল ফেরার পর যেন একেবারেই খোলসে ঢুকে গিয়েছিলেন জস বাটলার। অন্য প্রান্তে অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন এসে বরং দায়িত্ব নিয়েছিলেন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের। ফিফটির দ্বারপ্রান্তে ১০ম ওভারে যখন ৫ চার ও ৩ ছয়ে সাজানো ২৬ বলে ৪৭ রানের ইনিংস শেষে স্যামসন ফিরলেন তখনও খোলস থেকে বের হননি বাটলার। নিজের চার ওভারের কোটা পূর্ণ করে একটিও বাউন্ডারি না গোনা রশিদ খানের ভুমিকাই তাতে ছিল বেশি। এক সময় ছিলেন ৩৮ বলে ৩৯ রানে। পরের ওভারে টানা বাউন্ডারিতে ৪২ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। এরপরে আর ফিরে তাকাননি বাটলার। ইয়াশ দয়াল, মোহাম্মদ শামিদের ওপর চড়াও হয়ে থামলেন শেষ অভারের পঞ্চম বলে, তাও রান আউট হয়ে। তার আগে ১২ চার ও ২ ছয়ে সাজানো ৫৬ বলে ৮৯ রানের ইনিংসে রাজস্থানকে এনে দিয়েছিলেন এমন এক সংগ্রহ যা পাচ ওভার আগেও অসম্ভবই মনে হচ্ছিল।
     
    মিলারের ‘কিলার’ ফিনিশিং  

    বড় লক্ষ্যে গুজরাটের শুরুটা হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মত। প্রথম ওভারের যম ট্রেন্ট বোল্ট দুই বলের মাথায় ফেরান ঋদ্ধিমান সাহাকে, যা আইপিএল ইতিহাসে প্রথম ওভারে তার ১৫তম উইকেত। তবে শুবমান গিল-ম্যাথিউ ওয়েড এরপর শক্তভাবেই দলকে ফিরিয়ে আনেন মাচে। দুজনেই ৩৫ রানে বিদায় নেওয়ার পর অবশ্য মাচে ফিরতে পারত রাজস্থান। দশম ওভারে ডেভিড মিলার যখন উইকেটে থাকা হার্দিকের সাথে যোগ দিলেন তখন স্কোরবোর্ড বলছে: ৮৫/৩। হার্দিক এক প্রান্ত আগলে রেখে খেললে মিলারও বোলারদের মর্যাদা দিয়েই ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ ৫ ওভারে প্রয়োজন ৫০ রান প্রয়োজন হলে ১৭তম ৯ রান দেওয়ার পর ১৯তম ওভারে মোটে ৭ রান দেন ওবেড ম্যাকয়। শেষ ওভারে ১৬ রান প্রয়োজন হলে স্যামসন বল তুলে দেন প্রাসিধ কৃষ্ণার হাতে। আর পেসার আক্রমণে পেয়েই মিলার ফিরিয়ে আনলেন ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি। টানা ৩ বলে ছয় মেরে ‘কিলার মিলার’ জানান দিলেন তার নামে এখনও বোলারদের শিরদাঁড়ায় কাপন ধরতে বাধ্য।