• ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ, ২০২২
  • " />

     

    বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যালেঞ্জ: কেমন হবে আপনার টেস্টের ফ্যান্টাসি একাদশ

    বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ চ্যালেঞ্জ: কেমন হবে আপনার টেস্টের ফ্যান্টাসি একাদশ    

    শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। গত সফরের দুঃস্বপ্ন ভুলে, মুমিনুলের অধিনায়কত্ব নাটক পেছনে ফেলে বাংলাদেশ মুখিয়ে থাকবে ব্বহাল কিছু করার। জেসন হোল্ডারের অনুপস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবশ্য একাদশের শক্তি কমেনি এক বিন্দুও। দুই দলের শক্তি বিবেচনায় আপনার ফ্যান্টাসি একাদশ কেমনভাবে সাজাতে পারেন তার জন্য সহায়তা নিতে পারেন এখান থেকে।

    ব্যাটার
    ওপেনার হিসেবে আপনার দলে জায়গা পেতে পারেন তামিম ইকবাল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ৬ টেস্ট খেলে তামিম ৩৫.৫৮ গড়ে ১ সেঞ্চুরি সহ করেছেন ৪২৭ রান। উপরন্তু প্রস্তুতি ম্যাচে ১৬২* রানের এক ইনিংস খেলে দিয়েছেন ফর্মের ইঙ্গিতও। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ব্যাটিং লাইনআপের সেরা ব্যাটার সম্ভবত তাদের অধিনায়কই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যারাথন সেঞ্চুরিটা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। ব্র্যাথওয়েটের ক্যারিয়ার গড় ৩৪.১২ হলেও দেশের মাটিতে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫.২৯। সাথে ১০ সেঞ্চুরির ৭টাই এসেছে স্বদেশের মাটিতে। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে দেশের মাটিতে তার গড় ৯৩.১৩; যেখানে ৩ সেঞ্চুরির মধ্যে রয়েছে তার ক্যারিয়ার সেরা ২১২ রানের ইনিংস।


    মাহমুদুল হাসান জয়কে আপনি দলে রাখতে পারেন দেশের বাইরে তার সক্ষমতার প্রমাণ থেকে। নিউজিল্যান্ডে খেলেছিলেন ম্যারাথন এক ইনিংস; দক্ষিণ আফ্রিকায় দারুণ এক সেঞ্চুরি করে নিজেকে নিয়ে  গিয়েছিলেন অন্য উচ্চতায়। জয়ের সাম্প্রতিক ডাকের রেকর্ডটা হয়ত শঙ্কাজনক তবে ক্যারিবিয়ানদের মাটিতেও জয় নিজেকে মেলে ধরবেন এই আশা রাখা যায়।  এরপর আপনি নিতে পারেন এনক্রুমাহ বনারকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেকেই কাইল মেয়ার্সের সাথে খেলা সেই ম্যাচ জয়ী ইনিংসটার কথা বাংলাদেশীদের ভালই মনে থাকার কথা। দেশের মাটিতে ৮ টেস্টে ইতিমধ্যে পেয়ে গিয়েছেন ২টি সেঞ্চুরি।

    উইকেটকিপার
    টেস্ট ক্রিকেটেরই সবচেয়ে ফর্মে থাকা উইকেটকিপার ব্যাটার এখন লিটন দাস। ২০২০ সালের ১৬ জুনের পর থেকে উইকেট কিপার ব্যাটার হিসেবে সর্বোচ্চ টেস্ট রান (১১৫২) এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে। উইকেট কিপার ব্যাটার হিসেবে সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড় (৫২.৩৬) ও সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিও (৩) লিটনের। আপনার একাদশের উইইকেট কিপার কে হতে যাচ্ছে তা নিয়ে খুব একটা সন্দেহ নেই।  

     

    অলরাউন্ডার
    সাকিব আল হাসান নিশ্চিতভাবেই এই তালিকায় হবে আপনার প্রথম নাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ৪ টেস্টে সাকিব ৩৬.৭১ গড়ে করেছেন ২৫৭ রান যার মাঝে ছিল ৯৬* রানের সেই বিখ্যাত ম্যাচ জয়ী ইনিংস। সাথে দুই বার ৫-উইকেট সহ পেয়েছেন ২১ উইকেট। অলরাউন্ডার হিসেবে আরেকজন যাকে নিতে পারেন তার নাম সহসা বাংলাদেশীদের মাথা থেকে যাবে না। অভিষেকেই চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা মেয়ার্স গত ইংল্যান্ড সিরিজে নিজের বোলিং দক্ষতারও প্রমাণ রেখেছেন। দেশের মাটিতে ৭ টেস্টে অবশ্য ব্যাট হাতে বোলার মত কিছু এখনও করতে পারেননি।

    বোলার

    তাইজুল হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দের স্পিনার। দেশের বাইরে ত্যাজ্য এই স্পিনার মিরাজের অনিশ্চয়তায় হয়ত সুযোগ পাবেন। বিদেশের মাটিতে তাইজুলের প্রথম ৫-উইকেট কিন্তু এসেছিল এই ওয়েস্ট ইন্ডিজেই। সেখানে ৩ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ১১ উইকেট। এবাদত হোসেন হতে পারে আপনার দলের এক পেসার। এবারই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলতে যাওয়া এবাদত নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দেখিয়েছেন উইকেটের সাহায্য পেলে তিনি কী করতে পারেন।


    টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের এক যম যেন কেমার রোচ। ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে ৪৩ রানের লজ্জায় ডোবানোর মুল হোতা ইনজুরি কাটিয়ে ঠিকই থাকছেন প্রথম টেস্টে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ৫ টেস্ট খেলে ৩ বার ৫-উইকেট সহ পেয়েছেন ৩৩ উইকেট। রোচকে আপনার দলে রাখতে চাইবেন নিশ্চয়ই। শেষ বোলার হিসেবে আপনি নিতে পারেন তরুণ ক্যারিবিয়ান পেসার জেইডেন সিলসকে। ঘরের মাঠে ৭ টেস্টে ১ বার ৫-উইকেট সহ এখন পর্যন্ত নিয়েছেন ২৭ উইকেট।