• ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ, ২০২২
  • " />

     

    সেই পুরনো ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কাই তাড়িয়ে ফিরছে গ্রস আইলেটে

    সেই পুরনো ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কাই তাড়িয়ে ফিরছে গ্রস আইলেটে    

    ২য় টেস্ট, গ্রস আইলেট (টস- ওয়েস্ট ইন্ডিজ/ বোলিং)
    বাংলাদেশ- ২৩৪ ও ১৩২/৬, ৩৬ ওভার (শান্ত ৪২, লিটন ১৯, সোহান ১৬*, রোচ ৩/৩২, জোসেফ ২/৩১, সিলস ১/১৫)
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ৪০৮ (মেয়ার্স ১৪৬, ব্র্যাথওয়েট ৫১, ক্যাম্পবেল ৪৫, খালেদ ৫/১০৬, মিরাজ ৩/৯১ শরিফুল ২/৭৬)
    বাংলাদশ ৪২ রানে পিছিয়ে
    ৩য় দিন, স্টাম্পস

     

    আগের টেস্টের পরিণতি যা ছিল এবারও হয়ত তাই হতে যাচ্ছে; আগের টেস্টের ৩য় দিন শেষে অবস্থা যা ছিল এবারও তাই। হয়ত তার চেয়েও কিছুটা খারাপ। শেষ স্বীকৃত জুটি হিসেবে উইকেটে আছেন নুরুল হাসান-মেহেদী হাসান মিরাজ জুটি। ইনিংস পরাজয় এড়ানোটা হয়ত এবার আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    অথচ উইকেটে নেই তেমন কিছুই যাতে করে ব্যাটিংয়ে বেগ পেতে হবে। সামান্য ফিল্ডিং পরিবর্তন, বা কোনও সময়ে কোমর সমান উচ্চতায় আসা বলেই কাবু বাংলাদেশের ব্যাটাররা। আর বেশিরভাগ উইকেট তো ছুঁড়েই দিয়ে এসেছেন বেশিরভাগ ব্যাটার। তামিম ইকবাল যেমন কেমার রোচের দ্বিতীয় ওভারেই স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ফিরলেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। চা-বিরতির আগেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে নেই তিন উইকেট; তামিমের পাশাপাশি জয়-বিজয়ও ফিরেছেন ওই রোচের শিকার হয়েই।

    সারাদিনই বৃষ্টি বাঁধ সাধলেও খেলা যেটুকু হয়েছে তাতেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের জরাজীর্ণ হাল আরও একবার উন্মোচিত হল। চা-বিরতির পরও তাই প্রায় একই কাহিনী। শান্ত ও লিটন দুজনেই ছিলেন স্বচ্ছন্দ। সিলসের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে লিটন অবশ্য থামলেন ১৯ রানে। সাকিবের সাথেও এরপর ফর্মহীনতা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিছিলেন শান্ত। তবে শান্ত আর শান্ত থাকতে পারলেন কোথায়! বাইরের এক বলে অশান্ত এক ড্রাইভ করতে জোসেফকে উইকেট উপহার দিয়ে ফিরলেন ৪২ রানে। সেই জোসেফের শিকার হয়ে দিনের শেষ উইকেট হিসেবে সাকিবও ফিরলে বাংলাদেশের সামান্য আশাও একেবারেই ক্ষীণ হয়ে যায়।

    অবশ্য এই আশার পারদ কিন্তু দিনের শুরুতে ছিল চড়া। বাংলাদেশের বোলারদের লাইন হয়ত ছিল বেশ এলোমেলো। তবে উইকেটের সুযোগও তৈরি হয়েছিল পর্যাপ্ত। শুরুতেই মিরাজের শিকার হয়ে জশুয়া ডা সিলভা ফেরার পরে জোসেফকে ফিরিয়েছিলেন খালেদ। বৃষ্টির কারণে লাঞ্চও আগে নেওয়া হলে লাঞ্চের পরপরই ১৪৬ রানের দারুণ ইনিংস শেষে ফিরেছিলন মেয়ার্স, খালেদের শিকার হয়ে। দ্রুতই গুটিয়ে দেওয়ার সুযোগ যখন বাংলাদেশের সামনে এসেছিল তখন বোলিংইয়ের লাইন-লেংথে মিলল খামখেয়ালির পরিচয়। সুযোগ নিয়ে রোচও দুই অংক ছুঁতে ভুল করলেন না। শেষমেশ অবশ্য ৬৮ রান যোগ করতেই শেষ ৫ উইকেট তুলেছিল বাংলাদেশ। প্রথম বাংলাদেশি পেসার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ৫-উইকেটের কীর্তিও গড়েন খালেদ। দিনশেষে যখন আরও একটি নিদারুণ পরাজয় চোখ রাঙ্গাচ্ছে; আরও একটি ইনিংস পরাজয়ের খড়গ মাথায় নিয়ে যখন পরের দিন নামতে হবে তখন অবশ্য এসব অর্জন ক্রমশই বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।