প্রথম দিনে আবারও বাংলাদেশের সেই ব্যাটিং ব্যর্থতার পুনর্মঞ্চায়ন
২য় টেস্ট, গ্রস আইলেট (টস- ওয়েস্ট ইন্ডিজ/ বোলিং)
বাংলাদেশ- ২৩৪ (লিটন ৫৩, তামিম ৪৬, শরিফুল ২৬, জোসেফ ৩/৫০, সিলস ৩/৫৩, ফিলিপ ২/৩০)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ৬৭, ১৬ ওভার (ক্যাম্পবেল ৩২*, ব্র্যাথওয়েট ৩০*, এবাদত ০/৮)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬৭ রানে পিছিয়ে
১ম দিন, স্টাম্পস
উইকেটে নেই তেমন কোনও ভুত; তবুও প্রথম দিনেই বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল আরও একবার। ভরাডুবি না হলেও ভাল শুরু ছুঁড়ে দিয়ে আসলেন ব্যাটাররা। শেষমেশ দুইশোর কোঠা পেরানো হল দুই টেইলএন্ডারের কল্যাণে। কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতেই মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার দিনটাও শেষ করলেন উইকেটে থেকেই।
উইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেলকে একেবারেই অপ্রস্তুত করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। প্রায় ওয়ানডে মেজাজেই ব্যাট করেছেন ক্যাম্পবেল। এবাদত আশাব্যাঞ্জক স্পেল করলেও আসেনি কোনও ফল। এলোমেলো শুরু সামলে শরিফুলও লাইন ফিরে পেলেও সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে কয়েকটি মেইডেন নিয়ে।
ব্যাটিংয়েও অপ্রত্যাশিতভাবে এই দুজনের কারণে ভদ্রস্থ স্কোর দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। শরিফুল তো নেমে রোচকে মেরে বসলেন টানা দুই চার। অন্যদিকে এবাদত সুযোগ বুঝে করেছেন প্রান্ত বদল। ১৭ বলে ২৬ রানের দারুণ এক ক্যামিও খেলে শরিফুল ফিরলেও কারিয়ারে প্রথম বার দুই অংক ছোঁয়া এবাদত অপরাজিত ছিলেন ২১ রানে।
এবাদত অবশ্য শুরুটা করেছিলেন লিটনের সাথে, যেই লিটন এক প্রান্ত আগলে লড়ছিলেন একাই। নামার পর সাকিবকে দেখলেন স্টাম্প খোয়াতে, নুরুলকে দেখলেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে, মিরাজকে দেখলেন ফিল্ডারের হাতে বল তুলে দিতে; সবাই তাও দুই অংক ছোঁয়ার আগেই। লিটনের কাছে তাই প্রতি আক্রমণের বিকল্প ছিল না। সেটাই করলেন; ওয়ানডে মেজাজে খেলে তুলে নিলেন নিজের ১৪তম টেস্ট ফিফটি। তবে ফিফটির পর যেভাবে ফিরলেন তাতে তিনি হতাশ ছিলেন নিজেও। জোসেফের লেংথ বল তুলে দিলেন লেগ সাইডে বৃত্তের ভেতরে থাকা একমাত্র ফিল্ডারের হাতে।
লিটনের এই ৫৩ রানের ইনিংসের আগে আশা দেখিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। দারুণ ছন্দে থাকা তামিমও এক অর্থে উইকেট ছুঁড়েই দিয়ে এসেছেন, ফিফটি থেকে চার রান দূরে থাকতে। শুরু পেয়েও আরও একবার ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরেছিলেন ২৬ রানে। শুরু পেয়েছিলেন মুমিনুল হকের জায়গায় সুযোগ পাওয়া আনামুল হক বিজয়ও। ফিলিপের ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে তিনি ফিরেছেন ২৩ রান করে। ব্যাটিং ব্যর্থতার সেই পুরনো চিত্রায়নে প্রথম দিনেই যেন টেস্টে জয় থেকে অনেক দুরেই সরে গিয়েছে বাংলাদেশ।