বিপিএল ২০২৩ : শক্তিশালী বরিশাল-কুমিল্লা, চমকে দেবে রংপুর-খুলনা?
দুয়ারে কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবম আসর। আগামী ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স-সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠতে যাচ্ছে এবারের আসরের। এবারের বিপিএলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সাতটি দল। সাত দলের মালিকানায় আছে সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। এক মৌসুম পর বিপিএলে ফিরেছে রংপুর রাইডার্স। সিলেট ও ঢাকার মালিকানা নিয়েছে নতুন দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। বাকি দলগুলোর দায়িত্বে থাকছে পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোই।
দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে দল সাজিয়েছে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই। দেশি ক্রিকেটাররা তো আছেনই, ইতোমধ্যে নির্ধারিত দলে যোগ দিতে শুরু করেছেন বিদেশি ক্রিকেটাররাও। সব মিলিয়ে শক্তি-সম্ভাবনায় কে এগিয়ে? দলগুলোর দুর্বলতা কোথায়?
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
বিপিএলের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। গত আসরের শিরোপাও গেছে ভিক্টোরিয়ান্স শিবিরেই। সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্স ও অতীত ইতিহাস মিলিয়ে শিরোপার অন্যতম দাবিদার এই দলটি। লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, চ্যাডউইক ওয়ালটন, ব্রেন্ডন কিং, ডাভিড মালান, মোহাম্মদ রিজওয়ানদের নিয়ে বেশ শক্তিশালী কুমিল্লার ব্যাটিং লাইন আপ।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ নবী, শাদাব খান, শন উইলিয়ামসের মতো অলরাউন্ডাররা আছেন দলটিতে। আলাদা নজর থাকবে সৈকত আলীর ওপরও। নিজেদর দিনে পার্থক্য গড়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন তিনি । গত বিপিএলেও বেশ কিছু নজরকাড়া পারফর্ম্যান্স করেছেন তারা।
মোস্তাফিজুর রহমান নেতৃত্ব দিবেন বোলিং আক্রমণে। সাথে ফজল হক ফারুকি-হাসান আলীদেরও দেখা যেতে পারে মোস্তাফিজের সঙ্গী হিসেবে। আবু হায়দার রনি-মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধরাও থাকবেন বিবেচনায়। স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে দেখা যেতে পারে তানভীর ইসলাম-নাঈম হাসানদের মধ্যে থেকে কাউকে।
কুমিল্লার অধিকাংশ বিদেশি রিক্রুটই পাকিস্তানি। সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্টজুড়ে তাদের প্রাপ্যতা হতে পারে দলটির চিন্তার কারণ। কুমিল্লার হয়ে বিপিএল খেলার কথা থাকলেও ইনজুরি না সারায় আসছেন না পাকিস্তানের গতি তারকা শাহীন শাহ আফ্রিদি। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন এই বাহাতি পেসার। এর বাইরে রিজওয়ান-শাদাব-হাসানরাও বিপিএলে যোগ দেবেন খানিকটা দেরিতে।
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে বিপিএল খেলতে আসবেন তারা। এই সময়টায় স্কোয়াডে থাকা বাকি বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ব্রেন্ডন কিং-মোহাম্মদ নবীদের প্রথম ম্যাচ থেকেই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স স্কোয়াড:
আবরার আহমেদ, আবু হায়দার রনি, আশিকুর জামান, জশুয়া কব, হাসান আলী, ইমরুল কায়েস, জাকের আলী অনিক, খুশদিল শাহ, ব্রেন্ডন কিং, লিটন দাস, মাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া অংকন, মোহাম্মদ নবী, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাঈম হাসান, সৈকত আলী, তানভীর ইসলাম, চ্যাডউইক ওয়ালটন, শন উইলিয়ামস, শাদাব খান, শাহীন শাহ আফ্রিদি, ফজল হক ফারুকি, ডাভিড মালান
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
গত আসরের মতো এবারও তারুণ্যকে প্রাধান্য দিয়েই স্কোয়াড গড়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান রানা, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীরাই দলটির মূল ভরসা। যদিও গত আসরের অনেক তরুণ মুখই এবার অনুপস্থিত চ্যালেঞ্জার্সের স্কোয়াডে। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের দুই পারফর্মার কার্টিস ক্যাম্ফার ও ম্যাক্স ও'ডাউড এবার চট্টগ্রামের হয়ে খেলবেন নিজেদের প্রথম বিপিএল। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক উন্মুক্ত চাঁদের অভিজ্ঞতাও হবে চট্টগ্রামের বাড়তি পাওনা।
শক্তির অন্যতম জায়গা বাঁহাতি দুই পেসার জুটি; মৃত্যুঞ্জয়-রানা। গত আসরে চট্টগ্রামের হয়ে ৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। রানা খেলেছিলেন ফরচুন বরিশালে, ৮ ম্যাচে তার শিকার ছিল ১১ উইকেট। আবু জায়েদ রাহির অভিজ্ঞতাও কাজে লাগবে চট্টগ্রামের। শাহনেওয়াজ দাহানির ওপরও থাকবে আলাদা নজর।
ব্যাটিংয়ে খানিকটা পিছিয়ে থাকা চট্টগ্রামের স্কোয়াডে শক্তি যোগ করতে পারেন আফগান ব্যাটার দারউইশ রাসুলি। সারপ্রাইজ প্যাক হতে পারেন পাকিস্তানি খাওয়াজা নাফে। তাইজুল ইসলামের সাথে বিশ্ব ফার্নান্দো থাকছেন স্পিনার হিসেবে। দলে বেশ কয়েকজন বিদেশি ক্রিকেটার থাকলেও তেমন বড় নাম নেই চট্টগ্রামের। তাই তরুণদের সাথে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার শুভাগত হোম, জিয়াউর রহমান, ইরফান শুক্কুর, মেহেদী মারুফরাই দলটির ভরসা।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স স্কোয়াড:
আবু জায়েদ রাহি, আফিফ হোসেন ধ্রুব, কার্টিস ক্যাম্ফার, উন্মুক্ত চাঁদ, ফরহাদ রেজা, বিশ্ব ফার্নান্দো, ইরফান শুক্কুর, মেহেদী হাসান রানা, মেহেদী মারুফ, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, ম্যাক্স ও ডাউড, আশান প্রিয়ঞ্জন, শুভাগত হোম, তাইজুল ইসলাম, তাওফিক খান, জিয়াউর রহমান, মালিন্দা পুষ্পকুমারা, খাওয়াজা নাফে, বিজয়কান্ত ভিয়াসান্ত, শাহনেওয়াজ দাহানি, দারউইশ রাসুলি
ঢাকা ডমিনেটরস
দেশি-কিংবা বিদেশি মিলিয়েও দলে নেই তেমন কোনো চমকদার নাম। ক্রিকেটারদের চেয়ে বরং দলের কোচ চামিন্দা ভাসের নামটাই বেশি ভারী। বিদেশি যে কয়জন আছেন, তাদের মধ্যে আলাদা করে বলা যায় শান মাসুদের কথা। আরেক পাকিস্তানি আহমেদ শেহজাদ দীর্ঘদিন জাতীয় দলে ব্রাত্য। যদিও তার বিপিএল খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এর বাইরে দিলশান মুনাভিরা, উসমান গণিরাও সেই অর্থে সাড়া জাগানিয়া নন। আছেন অনভিষিক্ত পাকিস্তানি ক্রিকেটার সালমান ইরশাদ।
তাসকিন আহমেদ-সৌম্য সরকার-শরীফুল ইসলামদের সাথে হাতে গোনা কজন বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে বেশ সাদামাটা দলই গড়েছে ঢাকা। সৌম্য নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন দীর্ঘদিন। দলে নেই স্বীকৃত কোনো পাওয়ার হিটার। দেশিরাই ভরসা ঢাকা ডমিনেটরসের। সৌম্য-মিথুন-মিজানুরদের কাঁধেই থাকছে ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব। আরিফুল-মুক্তার আলীরা ঢাকার অলরাউন্ডিং অপশন। পেস বোলিংয়ে অগ্রভাগে থাকবেন তাসকিন, সাথে শরীফুল-আল আমিনরা। চমক দেখাতে পারেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ইংলিশ ক্রিকেটার রবিন দাস।
ঢাকা ডমিনেটরস স্কোয়াড
আহমেদ শেহজাদ, আল আমিন হোসেন, অলক কাপালি, আরাফাত সানি, আরিফুল হক, দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ মিথুন, মনির হোসেন, মুক্তার আলী, দিলশান মুনাভিরা, নাসির হোসেন, সালমান ইরশাদ, শান মাসুদ, শরিফুল ইসলাম, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ, উসমান গনি, রবিন দাস
ফরচুন বরিশাল
গত আসরের মতো এবারও ব্যাটে-বলে দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়েছে ফরচুন বরিশাল। সাকিব আল হাসানের অধীনে খেলতে নেমে প্রথমবারই ফাইনালে উঠেছিল দলটি। রানার আপ হলেও এবার শিরোপা জেতার মতো দলই গড়েছে বরিশাল।সাকিবের সাথে আছেন জাতীয় দলের চার নিয়মিত মুখ আনামুল হক বিজয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, এবাদত হোসেন ও ফর্মের তুঙ্গে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটিং আর অলরাউন্ডার বিভাগে এখানেই বাকি দলগুলোর চেয়ে এগিয়ে সাকিবের দল।
স্কোয়াডের বাকি নামগুলোও বেশ পরিচিত ঠেকবে আপনার। উইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটার রাকিম কর্নওয়াল, কুশাল পেরেরা, পাকিস্তানের হায়দার আলী, ইফতিখার আহমেদ, করিম জানাত, কেসরিক উইলিয়ামস। আলাদা করে বলতে হবে আফগান উইকেটকিপার-ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোতে তার বিধ্বংসী ব্যাটিং নতুন মাত্রা যোগ করবে বরিশালের টপ অর্ডারে।
দেশি ব্যাটারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর মতো অনেক অপশন থাকবে বরিশাল ম্যানেজমেন্টের হাতে। সাইফ হাসান, ফজলে রাব্বিদের কাউকে দেখা যেতে পারে দলটির টপ অর্ডারে। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে বোলিং আক্রমণটা বেশ বৈচিত্র্যময় বরিশালের। অধিনায়ক সাকিব তো আছেনই, সাথে মিরাজকেও নিয়মিত দেখা যাবে সেরা একাদশে। ব্যাক আপ হিসেবে উসমান কাদির, সানজামুল ইসলাম থাকছেন। এবাদত হোসেন, কাজী অনিক, খালেদ আহমেদ, কামরুল ইসলামদের নিয়ে দেশি পেসারদের বহরটাও বেশ অভিজ্ঞ। স্কোয়াড ডেপথ, পারফর্ম্যান্স, ম্যাচ উইনার আর সম্ভাবনায় দারুণ এক দল বরিশাল। সাকিবের দলের সামনে আপাতত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সম্ভাব্য সেরা কম্বিনেশনটা খুঁজে বের করা।
ফরচুন বরিশাল স্কোয়াড:
সাকিব আল হাসান, আনামুল হক বিজয়, রাকিম কর্নওয়াল, চতুরঙ্গ ডি সিল্ভা, এবাদত হোসেন, ফজলে রাব্বি, হায়দার আলী, ইব্রাহিম জাদরান, ইফতিখার আহমেদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি, করিম জানাত, খালেদ আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাভিন উল হক, কুশাল পেরেরা, কাজী অনিক, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সাইফ হাসান, সালমান হোসেন, সানজামুল ইসলাম, উসমান কাদির, কেসরিক উইলিয়ামস
খুলনা টাইগার্স
তামিম ইকবাল-ইয়াসির আলীদের সাথে নাসিম শাহ-দাসুন শানাকাদের নিয়ে এবারের দল গুছিয়েছে খুলনা টাইগার্স। ওপেনিংয়ে তামিমের সাথে মাহমুদুল হাসান জয়কে দেখা যেতে পারে। ব্যাক-আপ ওপেনার বা টপ অর্ডারে দেখা যেতে পারে গত বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে দারুণ পারফর্ম করা মুনিম শাহরিয়ারকে। সেই পারফর্ম্যান্স দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে দুটি টি-টোয়েন্টিও খেলেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ইয়াসির আলীকে টপ কিংবা মিডল অর্ডারে খেলানোর সুযোগ থাকছে দলটির সামনে।
বিদেশি কোটায় ফখর জামান, শারজিল খানরা খেলবেন। ডেথ ওভারে ব্যাটিংয়ের সমাধান হতে পারেন শানাকা-সাব্বির-আজম খানরা। সাইফউদ্দিন-নাসুম-নাহিদুলদের সাথে খুলনার বোলিং ভরসা দুই পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহ ও ওয়াহাব রিয়াজ। ওয়াহাব রিয়াজ যদিও নিজের সেরা সময় পেছনে ফেলে এসেছেন।
খুলনা টাইগার্স স্কোয়াড:
আজম খান, আভিশকা ফার্নান্দো, হাবিবুর রহমান, মাহমুদুল হাসান জয়, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুনিম শাহরিয়ার, নাহিদুল ইসলাম, নাসিম শাহ, নাসুম আহমেদ, প্রিতম কুমার, সাব্বির রহমান, শফিকুল ইসলাম, দাসুন শানাকা, তামিম ইকবাল, পল ভ্যান মিকেরেন, ওয়াহাব রিয়াজ, ইয়াসির আলী চৌধুরী, শারজিল খান, ফখর জামান, অ্যান্ড্রু বালবির্নি, আমাদ বাট
রংপুর রাইডার্স
এক মৌসুম পর বিপিএলে ফিরেছে রংপুর রাইডার্স। জাতীয় দল ও জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের সাথে বেশ কজন বিদেশিদের নিয়ে এবারের স্কোয়াড গড়েছে দলটি। পেস আক্রমণে বেশ চমক দেখিয়েছে রংপুর। হাসান মাহমুদের সাথে দেখা যাবে পাকিস্তানের হারিস রউফকে। দেশিদের মধ্যে রিপন মন্ডলও থাকবেন।
বিপিএলের নিয়মিত মুখ সিকান্দার রাজা, শেখ মাহেদীর নিজের দিনে ব্যাটে-বলে গড়ে দিতে পারেন পার্থক্য। পাকিস্তানের স্পিনিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজ। দলে আছেন শোয়েব মালিকের মতো অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারও। তবে ব্যাটিংয়ে কিছুটা হলেও ঘাটতি রয়ে গেছে দলটির। টপ অর্ডারে নেই বিস্ফোরক কোনো ব্যাটার। পারভেজ হোসেন ইমনের সাথে ভরসা হতে পারেন পাথুম নিসাংকা। মিডল ও লেট অর্ডারে আজমতউল্লাহ ওমরজাই, শামীম পাটোয়ারিদের খেলানোর সুযোগ থাকছে রংপুরের সামনে।
রংপুর রাইডার্স স্কোয়াড:
অ্যারন জোন্স, আলাউদ্দিন বাবু, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, হারিস রউফ, হাসান মাহমুদ, শেখ মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ নাইম, মোহাম্মদ নাওয়াজ, রিপন মন্ডল, পাথুম নিসাংকা, নুরুল হাসান সোহান, পারভেজ হোসেন ইমন, রাকিবুল হাসান, রনি তালুকদার, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, শোয়েব মালিক, সিকান্দার রাজা, জেফ্রি ভ্যান্ডারসে, পাথুম নিসাংকা
সিলেট স্ট্রাইকার্স
নাম বদলে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে এবার বিপিএল খেলবে সিলেট। মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞরা আছেন স্ট্রাইকার্সের স্কোয়াডে। তাদের সাথে যোগ হবে থিসারা পেরেরা-মোহাম্মদ আমিরদের অভিজ্ঞতা। ইমাদ ওয়াসিমের অন্তর্ভুক্তি বাড়তি শক্তি যোগাবে স্কোয়াডে। বাঁহাতি স্পিনের সাথে ব্যাট হাতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। তবে নাজমুল শান্ত-তৌহিদ হৃদয়-জাকির হাসানদের কাঁধে থাকবে ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব। টপ অর্ডারে মোহাম্মদ হারিস ছাড়া বিস্ফোরক ইনিংস খেলার মতো ব্যাটসম্যানের অভাব সিলেটের জন্য বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন। টুর্নামেন্টজুড়ে তার থাকা না থাকা নিয়েও আছে প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের সমাধান হতে পারেন রায়ান বার্ল, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
বোলিং আক্রমণে মাশরাফির-আমির-পেরেরাকে দেখা যাবে নিশ্চিত করেই বলা যায়, সাথে রুবেল হোসেন, রেজাউর রহমান রাজা, তানজিম হাসান সাকিবরাও থাকছেন। বিদেশি কোটায় সাবেক আফগান অধিনায়ক গুলবাদিন নাইবকেও দেখা যেতে পারে। স্পিন ভরসা হতে পারেন নাজমুল অপু-নাবিল সামাদের মতো দেশি বোলাররাই।
সিলেট স্ট্রাইকার্স স্কোয়াড :
কলিন অ্যাকারম্যান, আকবর আলী, রায়ান বার্ল, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, গুলবাদিন নাইব, মাশরাফি বিন মুর্তজা, কামিন্দু মেন্ডিস, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ হারিস, টম মুরস, মুশফিকুর রহিম, নাবিল সামাদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, নাজমুল ইসলাম অপু, থিসারা পেরেরা, রেজাউর রহমান রাজা, রুবেল হোসেন, তাইবুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, শফিকুল্লাহ গাফারি, ইমাদ ওয়াসিম।