রনি ঝড়ের পর বোলারদের দাপটে রংপুরের সহজ জয়
গ্রুপ পর্ব, মিরপুর (টস-কুমিল্লা/বোলিং)
রংপুর রাইডার্স- ১৭৬/৫, ২০ ওভার (রনি ৬৭, মালিক ৩৩, নাঈম ২৯, মোসাদ্দেক ১/১৩, খুশদিল ১/২৫, ফারুকী ১/২৮)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস- ১৪২, ১৯.১ ওভার (কায়েস ৩৫, জাকের ১৯, মালান ১৭, হাসান ৩/২০, রাজা ২/২৩, রবিউল ২/৩৩)
ফলাফল: রংপুর ৩৪ রানে জয়ী
কুমিল্লার বিপক্ষে সহজ জয় দিয়েই বিপিএল যাত্রা শুরু করল রংপুর। রনি তালুকদারের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে বড় সংগ্রহ পাওয়ার পর বোলারদের দক্ষতায় কুমিল্লাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেয়নি রংপুর।
১৭৭ রানের লক্ষ্যে পাওয়ারপ্লেতে কুমিল্লা ৫১ রান তুললেও ফিরে গিয়েছিলেন লিটন দাস ও ডাভিড মালান। রাকিবুলের শিকার হয়ে ১০ রানে লিটন ফেরার পর পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে রাজার শিকার হয়ে ১৭ রানে ফিরেছিলেন মালান। পাওয়ারপ্লের পরের ওভারে রাজার বলে স্টাম্প খুইয়ে ১৬ রানে সৈকত ফিরলে বিপদে পড়ে কুমিল্লা।
মোসাদ্দেকের সাথে জুটি গড়ে কুমিল্লাকে সেই বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক কায়েস। তবে ওমরযাইয়ের আঘাতে ৫৮ রানের সেই জুটি ভাঙে ৩৫ রানে কায়েস ফিরলে। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি কুমিল্লা। ২৭ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে শেষ ওভারে এসে গুটিয়ে গিয়েছিল কুমিল্লা, ৩ উইকেট নিয়ে যেই উইকেটের মিছিল বইয়ে এনেছিলেন হাসান।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে রংপুর। নাঈম এক প্রান্ত ধরে খেললেও রনি শুরু থেকেই খেলেছেন টি-টোয়েন্টি সুলভ ইনিংস। তার বদৌলতে বিপিএলের ইতিহাসে বাংলাদেশি হিসেবে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন তিনি (১৯ বলে)। অন্য প্রান্তে রয়েসয়ে খেলতে থাকা নাঈমের জন্য রনিকে আক্রমণ চালিয়ে যেতে হলে খুশদিলের বল বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ৩১ বলে ৬৭ রানের দারুণ ইনিংস শেষে ফিরে যান রনি। রনির বিদায়ের পর ৩৪ বলে ২৯ রানের অদ্ভুত ইনিংস খেলে নাঈম বিদায় নিলে ইনিংস সাজানোর দায়িত্ব বর্তায় শোয়েব মালিকের ওপর।
রাজার সাথে জুটি গড়ে মালিক সেই চেষ্টা চালাতে গেলে উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি রাজা। তবে ৩৩ রান করে মালিক রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে গেলে শেষ দিকে অধিনায়ক নুরুল হাসান ১১ বলে ১৯* রানের এক ক্যামিও খেলে দলকে এনে দিয়েছিলেন বড় সংগ্রহ, যা পরে রংপুরের বোলাররা কুমিল্লার ধরাছোঁয়ার বাইরেই নিয়ে গিয়েছিল।