আল-আমিনের তোপের পর ‘অলরাউন্ড’ নাসিরে জয়ে শুরু ঢাকার
গ্রুপ পর্ব, মিরপুর (টস-ঢাকা/বোলিং)
খুলনা টাইগার্স- ১১৩/৮, ২০ ওভার (ইয়াসির ২৪, আজম ১৮, আল-আমিন ৪/২৮, নাসির ২৯/২)
ঢাকা ডমিনেটরস-১১৭/৪, ১৯.১ ওভার (নাসির ৩৬*, মুনাভিরা ২২, সাইফউদ্দিন ২/২২)
ফলাফল: ঢাকা ডমিনেটরস ৬ উইকেটে জয়ী
মাঠের পাশাপাশি ব্যাটে বলে নেতৃত্ব দেয়া যাকে বলে, ঢাকা ডমিনেটরসের অধিনায়ক নাসির হোসেন আজ দেখালেন তাই। প্রথমে বল হাতে দুই উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতানো ৩৬ রানের ইনিংস; নাসিরের অলরাউন্ডিং নৈপুণ্যে খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করল ঢাকা ডমিনেটরস। খুলনাকে অল্পতে গুটিয়ে দেয়াতে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব আল-আমিন হোসেনের।
১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানে হাতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন আহমেদ শেহজাদ। তিনে নেমে সৌম্য চেষ্টা করেছিলেন হাত খোলার, কিন্তু ওয়াহাব রিয়াজকে দারুণ এক ছক্কা মারার পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এর আগে অবশ্য লো-স্কোরিং এই ম্যাচে ‘এডিআরএস’ নিয়ে এক দফা নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নাসুম আহমেদের বলে এলবিডিব্লিউ হলে এডিআরএসের সাহায্য নেন সৌম্য। থার্ড আম্পায়ার সেটা চেক করে আউট দেন তাকে। কিন্তু সৌম্য মাঠ না ছাড়ায় আবারও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে নট আউট দেয়া হয় তাকে। মাঠেই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান তামিম ইকবাল ও ইয়াসির আলী। এরপর অবশ্য সৌম্য বেশি দূর যেতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৬ রানে আউট হন তিনি।
মিডল অর্ডারে মিথুন-উসমান গণিরা সুবিধা করতে না পারলেও একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন নাসির। ঠান্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে চারটি চারের মারে ৩৬ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। এর আগে ইনিংসের শুরুতেই আরাফাত সানিকে নিয়ে খুলনাকে চেপে ধরেন নাসির। দুজনই নেন দুটি করে উইকেট। তবে ঢাকার সেরা বোলার আজ ছিলেন আল আমিন। চার ওভারে ২৮ রানের খরচায় চার উইকেট নেন ডানহাতি এই পেসার।