• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    দুই সেঞ্চুরির দিনে উসমানের অনবদ্য ইনিংসে জয়ের খাতা খুলল চট্টগ্রাম

    দুই সেঞ্চুরির দিনে উসমানের অনবদ্য ইনিংসে জয়ের খাতা খুলল চট্টগ্রাম    

    গ্রুপ পর্ব, মিরপুর (টস-চট্টগ্রাম/বোলিং)
    খুলনা টাইগার্স- ১৭৮/৫, ২০ ওভার (আযম ১০৯*, তামিম ৪০, সাব্বির ১০, রাহি ২/২৯, শুভাগত ১/১৫, ভিয়াসকান্থ ১/২৯))
    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স- ১৭৯/১, ১৯.২ ওভার (উসমান ১০৩*, ও’ডাউড ৫৮, নাহিদুল ১/২৬)
    ফলাফল: চট্টগ্রাম ৯ উইকেটে জয়ী

     

    দুই পাকিস্তানির ধ্বংসযজ্ঞের সমারোহে জয়ের হাসি মুখে নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন উসমান খান। প্রথম জয়ের অপেক্ষায় থাকা দুই দলের ম্যাচে খুলনার সতীর্থদের ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছিল আযম খানের অসামান্য এক সেঞ্চুরি। বিপিএলে এবারে প্রথম সেঞ্চুরি আযমের ব্যাট থেকে এলে সেটাকে টপকে বিশেষ কিছু করার নিয়ত নিয়েই যেন নেমেছিলেন তার স্বদেশী উসমান। ম্যাক্সের সাথে ১৪১ রানের ওপেনিং জুটি গড়ার পর অনবদ্য এক সেঞ্চুরি দিয়ে ১৭৯ রানের লক্ষ্যকে ছেলেখেলা বানিয়েই চট্টগ্রামের প্রথম জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন উসমান।

    দুজনে মিলে নিয়মিত বাউন্ডারি তুলে নিয়ে শুরুটা করেছিলেন দারুণ। পাওয়ারপ্লেতে ৫০ রান তুলে শক্ত একটা ভিত্তি দাঁড় করানোর পর দুজনে বুঝে নিয়েছিলেন নিজেদের ভূমিকা। ম্যাক্স এক প্রান্ত আগলে খেললে অন্য প্রান্তে আক্রমণের দায়িত্ব বুঝে নেন উসমান। বিপিএলে এরপর দুজনেই নিজেদের প্রথম ফিফটিটাও পেয়ে যান।

    ১৪তম ওভারে এরপর নাহিদুল ইসলামের আঘাতে যখন থামল ম্যাক্সের ৫০ বলে ৫৮ রানের ইনিংস তখন চট্টগ্রামের জয় যেন এক রকম নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল। উসমানের রুদ্রমূর্তি ধারণে সেটার কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। সাইফউদ্দিনকে মাঠছাড়া করে ৫৬ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর তাই ৫৮ বলে ১০৩* রানের অনবদ্য ইনিংসে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ ওভারেই শারজিল খান ও হাবিবুর রহমানকে হারিয়ে খুলনার স্কোরকার্ড হয়ে দাঁড়িয়েছিল ১২/২। অন্য প্রান্তে উইকেট আগলে রেখে তাই ইনিংস মেরামতের লক্ষ্যেই আযমের সাথে জুটি গড়েছিলেন তামিম। পাওয়ারপ্লেতে দুজন মিলে দলকে ৩৯ রানে নিয়ে যাওয়ার পরে দুজনেই খেলছিলেন দেখেশুনে।

    ১৩তম ওভারে দুজনেই গিয়ার পালটানোর চেষ্টা করে মেহেদী হাসান রানার ওভারে নেন ১৫ রান। তবে ৩৩ রানে থাকার সময় ওই ওভারেই জীবন পাওয়া তামিম সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি; এক ওভারে পরেই বিজয়কান্থ ভিয়াসকান্থের শিকার হয়ে তিনি ফেরেন ৩৭ বলে ৪০ রানের ইনিংসে। ওই ওভারের শেষ দুই বলেই বড় দুটি ছয় হাকিয়ে আযম ইঙ্গিত দেন কী করতে যাচ্ছেন তিনি। অন্য প্রান্তে ইয়াসির, সাব্বিরদের ক্ষণস্থায়ী ইনিংসে বিচলিত না হয়ে ফিফটি পূর্ণ করে আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেন আযম। শেষ ওভারে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী বোলিংয়ে এলে শেষ তিন বলে এক চার ও টানা দুই ছয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি পূর্ণ করে আযম দলকে লড়াইয়ের রসদ এনে দিয়েছিলেন ৫৮ বলে ১০৯* রানের দানবীয় এক ইনিংসে, যেখানে দলের বাকিরা ৬২ বলে করতে পেরেছিলেন মাত্র ৬৪ রান। উসমানের অসাধারণ এই ইনিংসটা তাই দিনশেষে বিফলে গিয়েছে তার স্বদেশী আরেক ওপেনারের ঝড়েই।