• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    উড়ছেন হৃদয়, উড়ছে সিলেট

    উড়ছেন হৃদয়, উড়ছে সিলেট    

    গ্রুপ পর্ব, মিরপুর (টস-ঢাকা/বোলিং)
    সিলেট স্ট্রাইকার্স- ২০১/৮, ২০ ওভার (হৃদয় ৮৪, শান্ত ৫৭, থিসারা ১১, আল-আমিন ৩/৪৫, তাসকিন ২/৩৬, সানি ১/১৩)
    ঢাকা ডমিনেটর্স- ১৩৯, ১৯.৩ ওভার (নাসির ৪৪, মিঠুন ৪২, মুনাবীরা ১২, মাশরাফি ২/১৫, আমির ২/১৯, ওয়াসিম ২/২৪)
    ফলাফল: সিলেট ৬২ রানে জয়ী

     

    তৌহিদ হৃদয় তিনে পেলেন তিন, আর তাতেই চারে চার হল সিলেটের। হৃদয়ের টানা তৃতীয় ফিফটির সাথে নাজমুল হোসেন শান্তর আসরে প্রথম ফিফটিতে সিলেট পেয়েছিল এবারের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। দুইশোর্ধ্ব সেই লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে সিলেটের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের কাছে রীতিমত ধরাশায়ী হয়েছে ঢাকা।

    ২০২ রানের লক্ষ্যে পাওয়ারপ্লের মধ্যেই আহমেদ শেহজাদ, দিলশান মুনাবীরা ও সৌম্য সরকার ফিরে গেলে কার্যত ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসে ঢাকার জন্য। তবে পাওয়ারপ্লে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক নাসির হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গী করে। দুজনেই গিয়ার পাল্টাতে গেলেই ভাঙে ৭৭ রানের জুটি; থিসারা পেরেরার শিকার হয়ে ফেরেন ২৮ বলে ৪২ রানে থাকা মিঠুন। সেখান থেকেই যেন তাসের ঘরের মত লুটিয়ে পড়ে ঢাকা।

    মিঠুন ফেরার পর তিন ওভারের মধ্যেই আরও চার উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা, যার শেষটা ছিলেন ৩৫ বলে ৪৪ রানে থাকা নাসির। ১২.৪ ওভারে ১০৭/৩ থেকে মুহূর্তেই ঢাকার স্কোরবোর্ড হয়ে দাঁড়ায় ১৫.৪ ওভারে ১২০/৮। মাশরাফি, আমির, ইমাদদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে তাই কোনও পর্যায়েই মনে হয়নি ঢাকা ম্যাচে ফিরতে পারে। ব্যাট হাতে ফিফটি পাওয়ার পর ঢাকার শেষ উইকেট তুলে নিয়ে জয়টাও তুলে নিয়েছেন দারুণ এক ম্যাচ কাটানো শান্ত।

    ব্যাট হাতেও সিলেটের দুর্দান্ত ইনিংসের মনমত শুরুটা এসেছিল এই শান্তর হাত ধরেই। দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ হারিস ফিরলেও দারুণ এক মৌসুম কাটানো হৃদয়কে সঙ্গী করে আবারও বড় জুটি গড়েন শান্ত। দুজনে মিলে গড়েছিলেন ৫৬ বলে ৮৮ রানের জুটি। আল-আমিনের শিকার হয়ে ৩৯ বলে ৫৭ রানের সময়োপযোগী ইনিংস শেষ শান্ত ফিরলেও থামেননি হৃদয়।

    অন্য প্রান্তে উইকেট আসা যাওয়ার মাঝেও অবিচল হৃদয় আরও একবার ফিফটি পূর্ণ করে শেষদিকে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠেন আরিফুলকে দারুণ দুটি পুল শটে মাঠছাড়া করে সেঞ্চুরির কথাও হয়তো ভাবছিলেন তিনি। তবে শেষ ওভারে তুলে মারতে গিয়েই ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দিয়ে শেষ হয় হৃদয়ের দুর্দান্ত এই ইনিংসটি। ৫টি করে চার ও ছয়ে সাজানো ৪৬ বলে ৮৪ রানের ইনিংস শেষে হৃদয় শেষ ওভারে ফিরলে সিলেটও পেয়ে যায় মৌসুমের প্রথম ২০০+ সংগ্রহ, দিনশেষে সিলেটের বোলাররা যেটা ঢাকার নাগালের বাইরে নিয়ে বজায় রেখেছে নিজেদের জয়ের ধারা।