• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    অগ্নিঝরা রবিউলের পর মালিকের অভিজ্ঞতার কাছে হার মানল খুলনা

    অগ্নিঝরা রবিউলের পর মালিকের অভিজ্ঞতার কাছে হার মানল খুলনা    

    গ্রুপ পর্ব, চট্টগ্রাম (টস-রংপুর/বোলিং)
    খুলনা টাইগার্স- ১৩০, ১৯.৪ ওভার (আযম ৩৪, ইয়াসির ২৫, সাইফউদ্দিন ২২, রবিউল ৪/২২, রাকিবুল ২/২২, ওমরযাই ২/৪১)
    রংপুর রাইডার্স- ১৩১/৬, ১৯.৩ ওভার (মালিক ৪৪, নাঈম ২১, শামিম ১৬, নাসুম ২/২১, রিয়াজ ২/২৪, সাইফউদ্দিন ২/৩৫ )
    ফলাফল: রংপুর ৪ উইকেটে জয়ী

     

    বোলারদের দাপটে খুলনাকে কোণঠাসা করে রাখার পরেও লক্ষ্য তাড়ায় ঘাম ঝরিয়েই জিততে হল রংপুরকে। রবিউল হকের দারুণ স্পেলকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে রংপুরের পুরো বোলিং বিভাগই এদিন আলো ছড়িয়েছে। তবে অল্প পুঁজি নিয়ে শেয়ানে শেয়ানে লড়েছে খুলনার বোলাররা। শোয়েব মালিকের অভিজ্ঞতার কাছেই শেষমেশ পরাজয় বরণ করতে হয়েছে খুলনাকে।

    ১৩১ রানের লক্ষ্য নিয়ে নামা রংপুরের ৩ উইকেট পাওয়ারপ্লের মধ্যেই তুলে নিয়েছিল খুলনার বোলাররা। ১০ ওভার শেষে মাত্র ৫৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা রংপুরকে হারানোর স্বপ্নেই তখন বিভোর খুলনা। ওয়াহাব রিয়াজ-মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দারুণ স্পেলের পর নাসুম আহমেদও চেপে বসেছিলেন রংপুর ব্যাটারদের ওপর।

    তবে সেখান থেকেই ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে প্রান্ত বদলে মনযোগী হন মালিক; নুরুলের সাথে জুটি গড়ে নিয়মিত বাউন্ডারি বের করার চেষ্টাও চালিয়ে যান। তবে ১৬তম ওভারে ১৮ বলে মাত্র ১০ রানের ইনিংস খেলে অধিনায়ক নুরুল বিদায় নিলে কাজটা কঠিন হয়ে যায় মালিকের জন্য। ১৯তম ওভারে সাইফউদ্দিনের শিকার হয়ে ৩৬ বলে ৪৪ রান করা মালিক থামলে জমে উঠে ম্যাচ। তবে খুলনার আশা পন্ড করে ১০ বলে ১৬* রানের সময়োপযোগী ইনিংস খেলে ঠিকই রংপুরকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শামিম।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনার শুরুটা হয়েছিল ভয়াবহ। রাকিবুল হাসানের স্পিন ও আজমতউল্লাহ ওমরযাইয়ের মিডিয়াম পেসে বিপর্যস্ত খুলনা মাত্র ১৮ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে অধিনায়ক ইয়াসির আলীকে নিয়ে আযম খান ইনিংস মেরামতের চেষ্টা চালান।

    তবে মাত্র ৪ ওভারের মাঝে সেই প্রচেষ্টা একাই লন্ডভন্ড করে দেন রবিউল হক। ১২তম ওভারে  ২২ বলে ২৫ রানে থাকা ইয়াসিরকে ফেরানোর পর ওই ওভারেই ফেরান উইকেটে নবাগত সাব্বির রহমানকে। পরের ওভারে এসে ২৩ বলে ৩৪ রানে থাকা আযমকে ফিরিয়ে ম্যাচের পাল্লাটা নিজেদের দিকে ভারী করে ফেলেন মুহূর্তেই। দুর্দান্ত এক স্পেলের শেষ ওভারে আমাদ বাটকেও ফিরিয়ে খুলনার মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন এই পেসার, শেষ করেন দারুণ ফিগার নিয়েই: ৪-০-২২-৪।

    রবিউলের বিদ্ধংসী স্পেলের ক্ষত সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সাইফউদ্দিন-নাহিদুল জুটি। ১৮ বলে ২২ রান করে সাইফউদ্দিন ও ৯ বলে ১৫ রান করে নাহিদুল চেষ্টা করলেও পুঁজিটা বড় করতে পারেননি। স্বল্প পুঁজি নিয়েও লড়ে গিয়েও শেষমেশ অভিজ্ঞতার কাছে নতি স্বীকার করতে হয়েছে খুলনাকে।