• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    আফিফ-রাসুলির আগ্রাসী জুটিতে কুপোকাত ঢাকা

    আফিফ-রাসুলির আগ্রাসী জুটিতে কুপোকাত ঢাকা    

    গ্রুপ পর্ব, চট্টগ্রাম (টস-ঢাকা/ব্যাটিং)
    ঢাকা ডমিনেটর্স- ১৫৮/৬, ২০ ওভার (ঘানি ৪৭, নাসির ৩০, আরিফুল ২৯*, নিহাদুজ্জামান ২/২৩, রানা ২/২৫, শুভাগত ১/৯)
    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স- ১৫৯/২, ১৭.৪ ওভার (আফিফ ৬৯*, রাসুলি ৫৬, উসমান ২২, সানি ১/২১, তাসকিন ১/২৪ )
    ফলাফল: চট্টগ্রাম ৮ উইকেটে জয়ী

     

    ঢাকার লড়াকু পুঁজি পাত্তাই পেল না চট্টগ্রামের আফিফ হোসেন-দারউইশ রাসুলি জুটির কাছে। বিপিএলে এবার যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন আফিফ। সব আক্ষেপ পুষিয়ে দিলেন আজ ম্যাচ জেতানো ইনিংস দিয়েই। সেই সাথে রাসুলির শেষ দিকের মার্কাটারি ব্যাটিংয়ে দিশেহারা ঢাকাকে বরণ করতে হল আরও একটি পরাজয়।

    ১৫৯ রানের লক্ষ্যে মাত্র দ্বিতীয় বলেই আল-আমিনকে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম। পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই দারুণ ফর্মে থাকা উসমান খান ২২ রানে ফিরলে চট্টগ্রাম শিবিরের কপালে পড়ে চিন্তার ভাঁজ। সেখান থেকেই ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে খেলেন আফিফ ও রাসুলি।

    আফিফ প্রান্ত বদলের পাশাপাশি নিয়মিত বাউন্ডারি তুলে নিলেও রাসুলি ছিলেন কিছুটা নিষ্প্রভ। এবারের আসরে আফিফ নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নিলেও অন্য প্রান্তে রাসুলি ছিলেন ২১ বলে মাত্র ১৫ রানে। সেখান থেকে সেই তিনিই আল-আমিন ও তাসকিনের শেষ দুই ওভারে ৮ বলে নিলেন ৩৩ রান! ৩২ বলে ফিফটি পূর্ণ করলেন সেই সাথে ইনিংস শেষ করলেন ৩৩ বলে ৫৬* রানে; সেই সাথে আফিফ ৫২ বলে ৬৯* রানে অপরাজিত থাকলে ১৪ বল বাকি থাকতেই চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত হয় দুজনের ৬৩ বলে ১০৩* রানের জুটিতে।

    এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে মিজানুর রহমানকে নিয়ে দারুণ শুরু করেছিলেন উসমান ঘানি। পাওয়ারপ্লেতে কোনও উইকেট না হারানোর পর মিজানুর কিছুটা মিইয়ে গেলে সেটার সুযোগ নিয়ে ৩৩ বলে ২৮ রানে থাকা মিজানুরকে ফেরান নিহাদুজ্জামান। নিজের তৈরি করা চাপের সুযোগ নিজেই নিয়ে আবারও নিহাদুজ্জামান হানেন আঘাত; আর ঘানি ফেরেন ৩৩ বলে ৪৭ রানের দারুণ ইনিংস শেষে। ঘানির বিদায় থেকেই পরপর দুই ওভারে সৌম্য ও মিঠুন ফিরলে বিপদে পড়ে ঢাকা।

    আরিফুলকে নিয়ে এরপর বিপদ সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক নাসির। যদিও ইনিংসের কোনও পর্যায়েই তেমন সুবিধা করতে পারেননি তিনি। ১৮তম ওভারে রানার শিকার হয়ে নাসির ২২ বলে ৩০ রান শেষে ফিরলে ১৮ বলে ২৯* রান করে আরিফুল ঢাকাকে এনে দিয়েছিলেন লড়াইয়ের পুঁজি; দিনশেষে যেটা হেসেখেলেই তাড়া করেছে চট্টগ্রাম।