পেরেরা-ইমাদ ওয়াসিমে পাঁচে পাঁচ সিলেটের
গ্রুপ পর্ব, চট্টগ্রাম (টস-ঢাকা/ব্যাটিং)
ঢাকা ডমিনেটর্স- ১২৮/৭, ২০ ওভার (নাসির ৩৯, উসমান ২৭, ইমাদ ওয়াসিম ৩/২০)
সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১৩৪/৫, ১৯.২ ওভার (৪৪, মুশফিক ২৭, পেরেরা ২১, নাসির ২/১৯, ১/১২, তাসকিন)
ফলাফল: সিলেট স্ট্রাইকার্স ৫ উইকেটে জয়ী
বিপিএলে ছুটছে সিলেটের জয়রথ। আজ ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয়ের দেখা পেল মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। ইমাদ ওয়াসিমের দুর্দান্ত এক স্পেলের পর হারিস-পেরেরার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সিলেট।
সিলেটের লক্ষ্য ছিল ১২৯ রান। চট্টগ্রামে হতে পারত লো-স্কোরিং এক থ্রিলার। তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত এক স্পেলে ঠেকিয়েও রেখেছিলেন ঢাকার রানের চাকা। কিন্তু সাল্মান ইরশাদের টানা ফুলটস, স্লো বাউন্সারে পেরেরার চওড়া ব্যাট আর আকবরের স্কুপে সেই আশা নস্যাৎ। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য সিলেটের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। পেরেরা-আকবর মিলে ১৯তম ওভারেই তুলে নেন ১৮ রান।
আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এই ম্যাচে রান পেয়েছেন মোহাম্মদ হারিস। শান্ত ধীরগতির এক ইনিংস খেলে আউট হলেও ৩২ বলে ৪৪ রান করেন হারিস। নাসিরের জোড়া আঘাতে ফিরেছেন দুজনই। সুবিধা করতে পারেননি জাকির হাসান-ইমাদ ওয়াসিমরাও।
এর আগে ইনিংসের তৃতীয় বলেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় টস জিতে ব্যাট করতে নামা ঢাকা। টপ অর্ডার ব্যাটারদের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ঢাকাকে আরও চেপে ধরে সিলেটের বোলাররা। পরপর দুই বলে দিলশান মুনাভিরা ও অভিষিক্ত রবিন দাসকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। দারুণ সেই স্পেলের শেষদিকে নিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেটও। এর আগে উসমান গণি ২৭ রান করে ফিরেছেন নাজমুল অপুর বলে বোল্ড হয়ে।
ঢাকার দলীয় সংগ্রহ একটু সুশ্রী চেহারা পেয়েছে অধিনায়ক নাসির হোসেনের সাথে-আরিফুলের ৫০ রানের জুটিতে। ৩ চারের সাথে এক ছক্কায় ৩১ বলে নাসিরের ৩৯, আরিফুলের ১৫ বলে ২০ রানের ইনিংসেই এসেছে একটু লড়াইয়ের রসদ। বাকি ব্যাটারদের কারো চড়াও হওয়া দূর উইকেট টিকে থাকাই ছিল মুশকিল।