স্পিন ত্রয়ীর কিপটে স্পেলের পর লিটন-রিজওয়ানের বিপরীতধর্মী জুটিতে কুমিল্লার প্রথম
গ্রুপ পর্ব, চট্টগ্রাম (টস-চট্টগ্রাম/ব্যাটিং)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স- ১৩৫/৮, ২০ ওভার (শুভাগত ৩৭*, আফিফ ২৯, ও’ডাউড ২৪, খুশদিল ২/২০, মোসাদ্দেক ২/২৩, তানভির ২/২৬)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স- ১৩৭/৪, ১৭.৩ ওভার (লিটন ৪০, রিজওয়ান ৩৭, জাকের ২২, পুষ্পকুমারা ২/৩৩, জিয়াউর ১/১৭, মৃত্যুঞ্জয় ১/২৩)
ফলাফল: কুমিল্ল ৬ উইকেটে জয়ী
অবশেষে জয়ের খাতা খুলল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। চট্টগ্রামের মাঠে চট্টগ্রামকে অল্প রানেই কুমিল্লা বেঁধে ফেলেছিল মূলত তিন স্পিনার খুশদিল শাহ, মোসাদ্দেক হোসেন ও তানভির ইসলামের সৌজন্যে। লিটন দাসের বিস্ফোরক শুরুর পর তার ওপেনিং সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ানের ধীর লয়ের ইনিংসে সেই লক্ষ্যই অনায়াসে উৎরে গিয়েছে কুমিল্লা।
১৩৭ রানের লক্ষ্যটা চট্টগ্রামের মাঠে ফ্লাডলাইটের আলোয় হতে পারত কঠিন, যেমনটা হয়েছিল শেষ কয়েক ম্যাচে। সেটার সুযোগ দেননি লিটন। এবারের বিপিএলে লিটন কিছুটা নিষ্প্রভই বলা যায়। রিজওয়ান আসার পর অবশ্য খেলার ভঙ্গিমায় পরিবর্তন আনার কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সেটাকেই বাস্তবতায় রুপ দিয়ে রিজওয়ানের শান্ত ইনিংসের বিপরীতে আক্রমণের ঝান্ডা বহন করেছেন লিটন। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার এক বল আগে ফিরেছেন, তবে ততক্ষণে কুমিল্লার স্কোরবোর্ডে রান উঠে গিয়েছে ৫৬। ২২ বলে ৪০ রানে লিটন স্টাম্প খুইয়ে ফিরেছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর কাছে।
তবে লিটনের দেখানো পথে কাজটা সহজেই যেন সম্পন্ন করতে পেরেছে কুমিল্লা। মালিন্দা পুষ্পকুমারার এক ওভারেই ইমরুল কায়েস ও জনসন চার্লস ফিরলে কিছুটা শঙ্কা জেগেছিল কুমিল্লা শিবিরে। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে কোনও বিপদ ঘটার সুযোগই দেননি রিজওয়ান। সেই সাথে ২৩ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে জাকের আলীও দিয়েছেন যোগ্য সঙ্গ। জাকের ফিরলেও ৩৫ বলে ৩৭* রানে থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন রিজওয়ান।
এর আগে প্রথম ওভারেই রানের খাতা খোলার আগে উসমান খান ফিরলে ম্যাক্স ও’ডাউডকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আফিফ। ২১ বলে ২৯ রান করে মুকিদুল ইসলামের বলে স্টাম্প খুইয়ে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে তিনি ফিরলে অন্য প্রান্তে উইকেট আসা যাওয়ার মাঝে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি ও’ডাউডও। ২৪ বলে ২৪ রান করে তিনি ফিরলে ১৪তম ওভারে মাত্র ৭৮ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। বিপদের মুখে এরপর দলের হাল ধরেছিলেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক শুভাগত। মেহেদী হাসান রানাকে সঙ্গী করে শেষদিকে হাসান আলীর ওপর চড়াও হয়েছিলেন তিনি। ২৩ বলে ৩৭* রানের ইনিংসে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেও শেষমেশ তার সেই প্রচেষ্টা বিফলেই গিয়েছে।