• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    বিচক্ষণ বোলিং, মারকুটে লিটনে ছুটতে থাকা সিলেটের লাগাম টেনে ধরল কুমিল্লা

    বিচক্ষণ বোলিং, মারকুটে লিটনে ছুটতে থাকা সিলেটের লাগাম টেনে ধরল কুমিল্লা    

    গ্রুপ পর্ব, চট্টগ্রাম (টস-কুমিল্লা/বোলিং)
    সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১৩৩/৭, ২০ ওভার (থিসারা ৪৩*, ওয়াসিম ৪০*, মুশফিক ১৬, মুকিদুল ২/২৮, হাসান ২/৩০, তানভির ১/২১)
    কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স- ১৩৪/৫, ১৯ ওভার (লিটন ৭০, জনসন ১৮*, ইমরুল ১৮, মাশরাফি ২/১৯, শরিফুল্লাহ ১/৩১)
    ফলাফল: কুমিল্লা ৫ উইকেটে জয়ী

     

    ছুটতে থাকা সিলেটের লাগাম টেনে ধরে নিজেদের জয়ের চাকা আরও সচল করল কুমিল্লা। দারুণ বোলিংয়ে সিলেটকে কোণঠাসা করে ফেললেও থিসারা পেরেরা-ইমাদ ওয়াসিম জুটিতে মান বাঁচিয়েছিল সিলেট। লিটনের দুর্দান্ত ইনিংসে সেই পুঁজি অনায়াসে উৎরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হলেও মাঝে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন মাশরাফি। স্বল্প পুঁজি নিয়ে সিলেটের সেই লড়াই শেষমেশ ফলপ্রসূ না হওয়াতে টানা দ্বিতীয় জয় পেল কুমিল্লা।

    ১৩৪ রানের লক্ষ্যে ঠিক যেন গতদিনের মতই শুরু করেছিল কুমিল্লা। রিজওয়ানের ঠান্ডা ব্যাটিংয়ের বিপরীতে লিটন যেন আগুনে! দুজনে মিলে পাওয়ারপ্লে পার করে দিলে পাওয়ারপ্লের এক ওভার পরে রিজওয়ান রান আউটের শিকার হয়ে ফিরেছিলেন ১৮ বলে ১৫ রানের ইনিংস শেষে। সেটার মাশুল দিতেই যেন এদিন দায়িত্বটা নিজেই বুঝে নিলেন লিটন। উইকেটে এসে ১৯ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে ইমরুল কায়েস ফিরলেও অবিচল ছিলেন লিটন। আক্রমণ চালিয়ে গিয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন জয়ের দিকেই।

    ১৫তম ওভারে মাশরাফির শিকার হয়ে ৪২ বলে ৭০ রানের ঝলমলে ইনিংস শেষে যখন লিটন ফিরলেন কুমিল্লার স্কোরবোর্ডে তখন ১১১ রান। নিজের ঠিক পরের ওভারে খুশদিল শাহকে ফিরিয়ে তখন মাশরাফি সিলেটের প্রত্যাবর্তনের একটা রাস্তা বাতলে দিলেন। সেই রাস্তায় হেঁটে পরের বলেই জাকের আলীকেও রান আউটের শিকার হতে হলে ১১১/২ থেকে মুহূর্তেই কুমিল্লার স্কোরকার্ড হয়ে দাঁড়ায় ১১৭/৫। তবে সেসব ধাক্কা সামলে সমান সংখ্যক বলে ১৮* রানের সময়োপযোগী ইনিংস খেলে জনসন চার্লস ঠিকই নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার জয়।

    এর আগে বল হাতেও কুমিল্লার শুরুটা হয়েছিল আগুনে। হাসান আলী-আবু হায়দার রনির বিধ্বংসী স্পেলে পাওয়ারপ্লের মধ্যেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেন হারিস, আকবর ও জাকির। পাওয়ারপ্লের পরে উইকেটের মিছিলে যোগ দিলেন মুকিদুল ইসলাম। তাতেই ৯.৩ ওভারে সিলেটের স্কোরবোর্ড হয়ে দাঁড়াল ৫৩/৭!

    ভয়াবহ সেই বিপর্যয়ের পর দলের মান রক্ষা করেছিলেন ইমাদ ও থিসারা। শুধু মান রক্ষাই নয়, দারুণ এক জুটি গড়ে দুজনেই ছিলেন অপরাজিত, সেই সাথে দলকেও এনে দিয়েছিলেন লড়াইয়ের রসদ। ইমাদের ৩৩ বলে ৪০* রান ও থিসারার ৩১ বলে ৪৩* রানের ইনিংসে সিলেট যেই সংগ্রহ পেয়েছিল সেটাই টানা ষষ্ঠ জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিল তাদের। দিনশেষে লিটনের মার্কাটারি ইনিংসটাই গড়ে দিয়েছে ব্যবধান।