• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ব্যাট হাতে আরও একবার উজ্জ্বল ইফতিখার, বরিশালের আরও একটি জয়

    ব্যাট হাতে আরও একবার উজ্জ্বল ইফতিখার, বরিশালের আরও একটি জয়    

    গ্রুপ পর্ব, চট্টগ্রাম (টস-ঢাকা/বোলিং)
    ফরচুন বরিশাল- ১৭৩/৫, ২০ ওভার (ইফতিখার ৫৬*, মাহমুদউল্লাহ ৩৫*, সাকিব ৩০, নাসির ২/১৬, সানি ১/১৭, ইরশাদ ১/২৪)
    ঢাকা ডমিনেটর্স- ১৬০/৪, ২০ ওভার (নাসির ৫৪*, মিঠুন ৪৭, ঘানি ৩০, চতুরঙ্গ ১/২২, জানাত ১/২৬, ওয়াসিম জুনিয়র ১/৩৮)
    ফলাফল: বরিশাল ১৩ রানে জয়ী

     

    পাঁচে পাঁচ হল বরিশালের। ঢাকার দুর্বিষহ এক মৌসুমকে আরও তিক্ত বানিয়ে বরিশাল চট্টগ্রামে তুলে নিয়েছে আরও একটি জয়। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর বরিশালকে আরও একদিন রক্ষা করলেন সাকিব আল হাসান ও ইফতিখার আহমেদ। সেঞ্চুরির পর অনবদ্য ফিফটি করে ইফতিখার যেই রসদ এনে দিলেন সেটা দিয়েই ঢাকাকে আটকে দিতে পেরেছে বরিশালের বোলাররা। নাসির হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন চেষ্টা করে গেলেও আরও একবার পরাজয়ের গ্লানি নিয়েই ফিরতে হয়েছে পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে থাকা ঢাকাকে।

    ১৭৪ রানের লক্ষ্যে এদিন ঢাকার শুরুটা ভালই হয়েছিল। সৌম্য এক প্রান্তে কিছুটা নিষ্প্রভ থাকলেও অন্য প্রান্তে উসমান ঘানি নিজের খেলাটা খেলার চেষ্টাই করে যাচ্ছিলেন। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে করিম জানাতের শিকার হয়ে তার ১৯ বলে ৩০ রানের ইনিংসের অবসান হলে পরের ওভারেই ফিরতে হয় পুরো বিপিএল জুড়ে নিজের ছায়া হয়ে থাকা সৌম্যকে। ১৫ বলে ১৬ রানের এই ইনিংসটা যেন তার এবারের বিপিএল যাত্রার উদাহরণ হয়েই থাকল। এক ওভার পরেই মোহাম্মদ ইমরান রান্ধাওয়া রান আউটের শিকার হয়ে ফিরলে দলের হাল ধরতে হয় মিঠুন-নাসির জুটিকে।

    ১০ ওভারে ঢাকা ৬৮ রানে থাকলে সেখান থেকে গিয়ার পালটানোর তাগিদে মারমুখী হতেই হত ঢাকাকে। সেই তাগিদেই ১৪তম ওভারে কামরুল ইসলামকে বেরিয়ে এসে মাঠছাড়া করার চেষ্টা করেন নাসির। বাউন্ডারিতে তার ক্যাচ ধরে বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথেই উদযাপন করেন মিরাজ। সেখান থেকে থার্ড আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্ত গড়ালে দড়িতে মিরাজের পা লাগেনি বলে মনে হলেও সেটাকে ছয় হিসেবেই ঘোষণা দেওয়া হলে সেই যাত্রায় বেঁচে যান নাসির। শেষ ৫ ওভারে ৭৫ রান প্রয়োজন হলে অন্য প্রান্তে থাকা মিঠুনও নড়েচড়ে বসেন। সেই চেষ্টার মাঝেই ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের কাছে স্টাম্প খুইয়ে ৩৮ বলে ৪৭ রানে ফেরেন মিঠুন। তবে শুধু মিঠুন নয়, নাসিরের নড়েচড়ে বসাটাও যেন বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছিল। শেষ ওভারে নিজের ফিফটি পূর্ণ করে ৩৬ বলে ৫৪* রানে মাঠ ছাড়লেও জয়ের মুখ আর দেখা হয়নি নাসিরের।

    এর আগে এদিনও পাওয়ারপ্লেতেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বরিশাল। তাসকিনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৫ম ওভারে একবার বেঁচে গিয়েও সুযোগ নিতে না পেরে এরপর ৮ম ওভারে ফিরেছিলেন মিরাজও। সেখান থেকে উইকেটে এসে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে গিয়েই ম্যাচের গতিপথ বদলানোর চেষ্টা করেন সাকিব। সেই চেষ্টায় তিনি সফলও হয়েছিলেন বলা যায়। ১৭ বলে ৩০ রান শেষে মুক্তার আলীর কাছে স্টাম্প খুইয়ে যখন সাকিব ফিরলেন তখন দলের রান হয়ে গিয়েছে ৮৯।

    স্ট্রাইক রেট ঠিক থাকলেও ১১তম ওভারে ৫ উইকেট খুইয়ে বসাটা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারত বরিশালের জন্য। হয়নি ইফতিখার-মাহমুদউল্লাহর ৮৪* রানের জুটির জন্য। এক প্রান্তে মাহমুদউল্লাহ খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও উইকেটে থিতু হয়ে ইফতিখার আরও একদিন দেখালেন নিজের সামর্থ্য। আরও একটি ফিফটি তুলে নিয়ে ইফতিখার ৩৪ বলে ৫৬* রান ও মাহমুদউল্লাহ ৩১ বলে ৩৫* রানে অপরাজিত থাকলে বরিশালের পাওয়া পুঁজি নিয়েই বোলাররা বিচক্ষণভাবে বের করে এনেছে জয়।