নাসিমের আগুনে দগ্ধ ঢাকা, কুমিল্লার টানা চতুর্থ জয়
গ্রুপ পর্ব, চট্টগ্রাম (টস-ঢাকা/বোলিং)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স- ১৬৪/৬, ২০ ওভার (চার্লস ৩২, খুশদিল ৩০, কায়েস ২৮, নাসির ২/১৯, হামজা ১/১৯, তাসকিন ১/২৮)
ঢাকা ডমিনেটর্স- ১০৪/৯, ২০ ওভার (ঘানি ৩৩, নাসির ১৭, আল-আমিন ১৪*, নাসিম ৪/১২, খুশদিল ২/২৪, চার্লস ১/১২)
ফলাফল: কুমিল্লা ৬০ রানে জয়ী
ঢাকার দুর্দশা আরও বাড়িয়ে বড় জয় পেল কুমিল্লা। কুমিল্লার ব্যাটারদের ছোট ছোট পারফর্ম্যান্সে ঢাকার জন্য চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়ার পর ঢাকার ব্যাটারদের নাভিশ্বাস ছুটিয়ে ছেড়েছেন বিপিএলে অভিষিক্ত নাসিম শাহ। নাসিমের আগুনে স্পেলের কোনও জবাবই দিতে পারেনি ঢাকার ব্যাটাররা; কুমিল্লাও তাই টানা ৪র্থ জয় পেয়েছে দোর্দণ্ড প্রতাপে।
১৬৫ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই খাবি খেয়েছে ঢাকা। দ্বিতীয় ওভারে প্রথমবারের মত বল হাতে পেয়েই নাসিম ফিরিয়েছেন মিজানুর রহমানকে। পরের ওভারেই দুর্বিষহ বিপিএল কাটানো সৌম্য আবু হায়দার রনির শিকার হয়ে ফেরার পর নিজের দ্বিতীয় ওভারেও নাসিম ফেরান মিঠুনকে। মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর আশার প্রদীপ ছিলেন নাসির। দারুণ এক মৌসুম কাটানো নাসিরও ৯ম ওভারে খুশদিল শাহ’র শিকার হয়ে ফিরলে সেখানেই কার্যত শেষ হয়ে যায় ঢাকার আশা। খুশদিল পরে চেষ্টা চালাতে থাকা আরিফুলকে ফিরিয়ে ঢাকাকে ফেরার কোনও সুযোগ দেননি। পরে নাসিম ফিরে ঢাকার কফিনে ঠুকেছেন আরও পেরেক; টানা দুই বলে ফিরিয়েছেন মুক্তার আলী ও আমির হামজাকে। স্পেল যখন নাসিম শেষ করলেন তখন বোলিং ফিগার দেখে মনে হতেই পারে বহু বছর ধরেই বিপিএলে খেলছেন তিনি: ৪-০-১২-৪! ৩৩ রানে উইকেটে টিকে উসমান ঘানিকে এসে এরপর জনসন চার্লস ফিরিয়ে যেন কাটা ঘায়ে ছেটালেন নুনের ছিটা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩ রানেই আল-আমিনের শিকার হয়ে ফিরেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। বিপদ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই লিটন দাস ২০ রানে ফিরলে কিছুটা চিন্তায় পড়তে হয় কুমিল্লাকে। তবে ২২ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে হামজার বলে স্টাম্প খুইয়ে ফেরার আগে অধিনায়ক কায়েস ইনিংস মেরামতের কাজটা সেরেছিলেন। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রান আউট হয়ে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩২ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেছিলেন চার্লস। তবে ১৪তম ওভারে তিনি ফেরার পরের ওভারেই উইকেটে এসে নাসিরের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েও বেঁচে যান খুশদিল। আগে লিটনকে ফেরানো নাসির এই যাত্রায় হতাশ হয়ে ফিরলেও নিজের পরের ওভারে পেয়েছিলেন মোসাদ্দেকের উইকেট। তবে খুশদিলের ক্যাচ মিসের মাশুল তাদের গুনতে হয়েছিল ঠিকই। শেষদিকে খুশদিলের ১৭ বলে ৩০ রান ও জাকের আলীর ১০ অলে ২০* রানে কুমিল্লা পেয়েছিল লড়াইয়ের রসদ; দিনশেষে নাসিমের প্রতাপে যেটা ঢাকার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গিয়েছে কুমিল্লা।