অশান্ত’ শান্ত, শেষের থ্রিলারে জিতল সিলেট
গ্রুপ পর্ব, ঢাকা (টস-বরিশাল/বোলিং)
সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১৭৩/৫, ২০ ওভার (শান্ত ৮৯*, মুরস ৪০, পেরেরা ২১, ওয়াসিম জুনিয়র ৩/৩৪, সাকিব ১/১১)
ফরচুন বরিশাল- ১৭১/৮, ২০ ওভার (ইব্রাহিম ৪২, সাইফ ৩১, সাকিব ২৯, রাজা ৩/৪১, আমির ২/২৪, সাকিব ২/৪০)
ফলাফল : সিলেট স্ট্রাইকার্স ২ রানে জয়ী
বিপিএলের এই মৌসুমের সেরা ম্যাচ কোনটি? শেষ বলে কয়টি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে? সেই অর্থে বলা চলে আজকের সিলেট-বরিশালের ম্যাচের আগে শেষ ওভারে কয়টি ম্যাচ গড়ালেও আজকের মতো উত্তেজনা হয়তো ছড়ায়নি।। মিরপুরে চরম নাটকীয়তা আর রঙ বদলের খেলায় বরিশালকে ২ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতেছে সিলেট। চাপের মুখে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলকে লড়াইয়ের রসদ এনে দিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর শেষটা করেছেন রেজাউর রহমান রাজা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। ওয়াইড দিয়ে ওভার শুরু করা রাজা অবশ্য দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে জমিয়ে তোলেন ম্যাচ। পরের দুই বলে এক রান গুনলেও পঞ্চম বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমের ছয়ে নড়েচড়ে বসে সবাই। শেষ বলে ছক্কা হলে ম্যাচ গড়াবে সুপার ওভারে, সমীকরণ ছিল এমনই। রাজার করা শর্ট বলে ফাইন লেগ দিয়ে ওয়াসিমের চারে হারের ব্যবধান কমলেও বেড়েছে আফসোস। দুই রানের দুরত্ব রয়ে গেল।
রান তাড়ায় নেমে যেমন শুরুর দরকার ছিল, সাইফ হাসানের সৌজন্যে তেমনটাই পেয়েছে বরিশাল। ১৯ বলে ৩২ করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। অবশ্য ঝড় তোলার আগে দুইবার ক্যাচ দিয়েও জীবনও পেয়েছেন তিনি। সাইফের পর বিজয়ও ফিরেছেন। ৬১ রানের জুটিতে হাল ধরেছিলেন সাকিব-ইব্রাহিম। সেট হওয়া দুই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন সিলেটের শেষ ওভারের নায়ক রাজা।
‘কুইকফায়ার' জুটিতে ম্যাচ নিজেদের দিকেই টেনে নিচ্ছিলেন ইফতিখার-জানাত। মাশরাফিকে টানা তিন ছক্কা মারা জানাতকে দারুণ ইয়র্কারে ফিরিয়েছেন ম্যাচজুড়ে মোহাম্মদ আমির। ম্যাচের মোড় ঘোরানো এক ওভারই ছিল বটে। মাত্র এক রান দিয়েছিলেন আমির। এরপর মাহমুদউল্লাহ-মিরাজরা সম্ভাবনা জাগালেও শেষ অবধি থাকতে পারেননি কেউই। মিরাজ কাটা পড়েছেন মুশফিকের এক থ্রোতে। আর শেষ ওভারের নাটক তো দেখলেনই। ইনিংসজুড়ে দারুণ বল করেছেন ইমাদ ওয়াসিম। উইকেট না পেলেও চার ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ ওয়াসিমের করা এক ওভারেই তিন উইকেট হারায় সিলেট। ধ্বসে পড়া টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ঢেকেছেন শান্ত। চলতি বিপিএলে ছুঁয়েছেন দ্বিতীয় ফিফটি। ইনিংস শেষে নামের পাশে ৮৯* রানের ঝলমলে এক ফিগার। চাপের মুখে শান্ত শুরুতে ‘শান্ত’ থাকলেও ফিফটি ছোঁয়ার পরই বেরিয়ে আসেন খোলস ছেড়ে। ৪৮ বলে ফিফটি ছোঁয়া শান্ত পরের ৩৭ করেছেন ১৮ বলে। ১১ চারের সাতটিই মেরেছেন ফিফটির পর। ৮১ রানের জুটিতে তাকে সঙ্গ দেয়া টম মুরস করেছেন ৪০ রান, থিসারা পেরেরা খেলেছেন ২১ রানের ক্যামিও।