• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    মিরপুরে তাসকিন-তান্ডবে লন্ডভন্ড খুলনা

    মিরপুরে তাসকিন-তান্ডবে লন্ডভন্ড খুলনা    

    গ্রুপ পর্ব, ঢাকা (টস-খুলনা/বোলিং)
    ঢাকা ডমিনেটর্স- ১০৮, ১৯.২ ওভার (সৌম্য ৫৭, তাসকিন ১২, আল-আমিন ১০, নাহিদুল ৪/৬, নাসুম ৩/১১, সাইফউদ্দিন ১/১৮)
    খুলনা টাইগার্স- ৮৪, ১৫.৩ ওভার (তামিম ৩০, ইয়াসির ২১, আমাদ ৭, তাসকিন ৪/৯, আল-আমিন ২/১৭, নাসির ২/৩০)
    ফলাফল: ঢাকা ২৪ রানে জয়ী

     

    মিরপুরে অসাধ্য সাধন করে হারের বৃত্ত থেকে বের হল ঢাকা। মৌসুমে সৌম্য সরকারের প্রথম ফিফটির পরেও অল্প রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল ঢাকা। সেই স্বল্প পুঁজি নিয়েই তাসকিন আহমেদের আগুনে স্পেলের সাথে নাসির হোসেন, আল-আমিন হোসেনদের দক্ষতায় অসাধারণ এক জয় পেল ঢাকা।

    ১০৯ রানের লক্ষ্যে শুরুটা রয়েসয়েই করেছিল খুলনা। প্রথমবারের মত নেমে মাত্র ৫ রানেই তাসকিনের কাছে স্টাম্প খুইয়ে শেই হোপ ফেরার পর পাওয়ারপ্লের মধ্যেই নাসিরের শিকার হয়ে ফিরেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়ও। অন্য প্রান্ত তামিম ইকবাল আগলে রাখলেও তাসকিনের আগুনে স্পেলটা নিশ্চিতভাবেই খুলনার মেরুদণ্ডে চিড় ধরিয়েছিল। সেই ভয়ের সুযোগ নিয়েই পাওয়ারপ্লের ঠিক পরের ওভারেই খুলনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটা নিলেন অধিনায়ক নাসির নিজেই। ৩০ রানে থাকা তামিমকে তিনি ফেরালে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন খুলনা অধিনায়ক ইয়াসির।

    সেই চেষ্টাও হুমড়ি খেয়ে পড়ে ১০ম ওভার থেকেই। ফিরে এসে তাসকিন আজম খানকে ফেরালে তারই পরিক্রমায় সালমান ইরশাদের শিকার হয়ে ফেরেন নবম ওভারে জীবন পাওয়া ইয়াসির। ঠিক পরের ওভারেই আল-আমিন জোড়া আঘাত হানলে ঢাকাও যেন পেতে থাকে জয়ের সুবাস। ঢাকার শেষ ভরসা হয়ে উইকেটে ছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে তেঁতে থাকা তাসকিনের হাত থেকে কী আর রেহাই মেলে! ১৬তম ওভারে এসে সাইফউদ্দিনকে ফেরানোর এক বল পরেই নাহিদ রানাকে ফিরিয়ে খুলনার কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকেন তাসকিন নিজেই, শেষ করেন অসাধারণ এক স্পেল নিয়ে: ৩.৩-০-৯-৪!

    এর আগে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে খুলনার শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ৩.২ ওভারেই ঢাকার স্কোরবোর্ড বলছিল ৮/৩! আর সেটার নেপথ্যে ছিল নাহিদুল ইসলাম। ডানহাতি অফ স্পিনে একাই মিজানুর রহমান, উসমান ঘানি ও মোহাম্মদ মিঠুনকে ফিরিয়ে ঢাকাকে বিপদের মুখে ঠেলে দেন তিনি। পাওয়ারপ্লের পর অ্যালেক্স ব্লেককে নিয়ে সৌম্য দুর্যোগ সামলালেও উইকেটে ব্লেকের অবস্থান ছিল দুর্দশাগ্রস্ত। ব্লেকের সেই অসহায়ত্বের অবসান ঘটান নাহিদুলই। ১৭ বলে ৩ রানে থাকা ব্লেককে ফিরিয়ে নাহিদুল শেষ করেন আসরের সেরা স্পেল নিয়ে: ৪-২-৬-৪!

    নাহিদুলের স্পিন বিষে নীল ঢাকাকে এরপর উদ্ধারের জন্য একাই লড়ে গিয়েছেন সৌম্য। এর আগে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেওয়া তামিমের কাছেই নবম ওভারে সুযোগ পেয়েছিলেন সৌম্য। সেটার সুযোগ নিয়ে মৌসুমে প্রথমবারের মত ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন; রান খরা কাটিয়ে নাসুমের বলে স্টাম্প খুইয়ে এরপর সৌম্য থামলেন ৪৫ বলে ৫৭ রানে। দলীয় ৮৪ রানে সৌম্য ফেরার পর ঢাকাও বেশিদূর যেতে পারেনি। তাসকিন ১২ রানের ইনিংস খেলে চেষ্টা চালালেও তাকে ফিরিয়ে নাসুম শেষ করেছিলেন দারুণ এক স্পেল নিয়ে: ৪-০-১১-৩। তবে শেষমেশ ঢাকার পাওয়া ওই ১০৮ রানের সংগ্রহই যথেষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে তাসকিন, নাসির, আল-আমিনদের হার ন মানা মানসিকতাতেই।