• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    নিহাদুজ্জামান-আতঙ্ক সামলে বিজয়, জানাতের মারকুটে ব্যাটিংয়ে বরিশালের জয়

    নিহাদুজ্জামান-আতঙ্ক সামলে বিজয়, জানাতের মারকুটে ব্যাটিংয়ে বরিশালের জয়    

    গ্রুপ পর্ব, সিলেট (টস-বরিশাল/বোলিং)
    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স- ১৬৮/৬, ২০ ওভার (ক্যাম্ফার ৪৫*, আফিফ ৩৭, ও’ডাউড ৩৩, খালেদ ২/২৬, কামরুল ২/৩৮, ওয়াসিম জুনিয়র ১/২২)
    ফরচুন বরিশাল- ১৭১/৭, ১৯.২ ওভার (বিজয় ৭৮, জানাত ৩১, সালমান ১৮*, নিহাদুজ্জামান ৪/১৭, রানা ২/৪২, মৃত্যুঞ্জয় ১/২০)
    ফলাফল: বরিশাল ৩ উইকেটে জয়ী

     

    সিলেটে দুপুরের ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচের পর শ্বাসরুদ্ধকর এক লড়াই উপহার দিল বরিশাল ও চট্টগ্রাম। আফিফ হোসেন, ম্যাক্স ও’ডাউডদের ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংসের সাথে কার্টিস ক্যাম্ফারের মার্কাটারি ব্যাটিংয়ে বরিশালকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার পর শক্ত হাতেই সেটা মোকাবেলা করেছিলেন আনামুল হক বিজয়। বিজয়ের ফিফটির পরেও নিহাদুজ্জামানের অসাধারণ এক স্পেলে যখন খেই হারিয়েছিল বরিশাল, তখনই তাদের পথ দেখায় করিম জানাত। চট্টগ্রামের আশা ক্ষীণ করে তাই আরও একটি জয় পেয়েছে বরিশাল।

    ১৬৯ রানের লক্ষ্যে সাইফ হাসান মাত্র ১০ রানে ফিরলেও অন্য প্রান্তে আনামুল হক বিজয় ছিলেন অবিচল। বিজয়ের শুরুটা নড়বড়ে হলেও পাওয়ারপ্লের সুযোগ নিয়ে ঠিকই তিনি দলকে পৌঁছে দেন ৬৭ রানে। তবে পাওয়ারপ্লের পরেই শুরু হয়ে যায় নিহাদুজ্জামানের জাদু। টানা দুই বলে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহকে ফেরানোর পর নিজের প[অরের ওভারে এসে চতুরঙ্গ ডি সিলভাকেও ফেরান তিনি। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে বিজয় ফিফটি তুলে নেন ২৬ বলে, যেই বিজয় এক সময় ১১ বলে করেছিলেন ১ রান! ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে এরপর গিয়ার পালটে বিজয় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের পথে। তখনই বাঁধ সাধেন দারুণ বোলিং করতে থাকা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ৫০ বলে ৭৮ রানে থাকা বিজয়ের স্টাম্প উড়িয়ে দেওয়ার পর বরিশালের বিপদ বাড়াতে হন্তারকের ভুমিকায় ফিরে নিহাদুজ্জামান ফেরান ২০ বলে ১৩ রানে থাকা ইফতিখারকে। দলকে বিপদের হাত থেকে এরপর উদ্ধার করে করিম জানাত-সালমান হোসেনের দারুণ জুটি। অথচ ক্যাম্ফারের করা ১৮তম ওভারে ফিরতে পারতেন জানাত। জীবন পাওয়ার পূর্ণ সুযোগ নিয়ে ১২ বলে ৩১ রানের এক অসামান্য ক্যামিও খেলে সেই জানাতি জয়ের পথ বাতলে দিলেন। সেই পথ পাড়ি দিয়েই সালমান ১৪ বলে ১৮* রানের ইনিংস খেলে বরিশালকে নিয়ে গিয়েছেন জয়ের বন্দরে।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি চট্টগ্রামের। দ্বিতীয় ওভারেই মেহেদী মারুফকে হারানোর পর পাওয়ারপ্লের আগের ওভারে উন্মুক্ত চাঁদকেও হারায় চট্টগ্রাম। ঠিক পরের বলেই উইকেটে এসেই ফিরতে পারতেন আফিফ হোসেন। খালেদের বলে থার্ড ম্যানে মামুলি ক্যাচ তুলে দিয়েও সেই যাত্রায় বেঁচে যান আফিফ। সেখান থেকে ম্যাক্স ও’ডাউডকে নিয়ে পথ দেখান তিনিই। ম্যাক্স উইকেটে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও আফিফ চেষ্টা করেছেন তার স্বভাবজাত ইনিংস খেলার। ১১তম ওভারে ৩৪ বলে ৩৩ রানের মন্থর এক ইনিংস খেলে ম্যাক্স ফেরার পরের ওভারেই উইকেটে নবাগত শুভাগত হোম ফিরলে আফিফের ওপর চাপটাও বেড়ে যায়।

    সেই চাপের সুযোগ নিয়েি এক ওভার পরেই ২৩ বলে ৩৭ রানে থাকা আফিফকে ফেরান কামরুল। ১৩.৪ ওভারে সেখানে দলের রান ১০২/৫ হয়ে দাঁড়ালে লড়াকু সংগ্রহ পাওয়াি হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে উইকেটে এসেই ইনিংসের গতিপথ পালটে দিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। ৪ চার ০ ২ ছয়ে সাজানো মারমুখী এক ইনিংসে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেন। অন্য প্রান্তে ১৯ বলে ইরফান শুক্কুর মাত্র ২০* রান করলেও ক্যাম্ফারের ২৫ বলে ৪৫* রানের ইনিংসেই লড়াইয়ের রসদ পেয়েছিল চট্টগ্রাম; রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে দিন শেষে জেই সংগ্রহ উৎরে গিয়েছে বরিশাল।