বৃথা গেল ইয়াসিরের লড়াই, শেষের রোমাঞ্চে টানা পঞ্চম জয় কুমিল্লার
গ্রুপ পর্ব, সিলেট (টস-খুলনা/বোলিং)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স- ১৬৫/২, ২০ ওভার (রিজওয়ান ৫৪, লিটন ৫০, চার্লস ৩৯, নাহিদুল ১/৩৪, ওয়াহাব ১/৩৬)
খুলনা টাইগার্স- ১৬১/৬, ২০ ওভার (বালবির্নি ৩৮, হোপ, ৩৩, ইয়াসির ৩০, নাসিম২/২৯, মোস্তাফিজুর ১/১৫, তানভীর ১/১৯)
ফলাফল: কুমিল্লা ৪ রানে জয়ী
শেষ ওভারে জয়ের জন্য খুলনার প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। অধিনায়ক ইয়াসির আলী টানা দুই চারে আর এক ডাবলে জমিয়ে তুলেছিলেন ম্যাচ। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬ রান, দারুণ এক ইয়র্কারে ইয়াসিরকে তখন আটকে দেন মোসাদ্দেক। ৪ রানে খুলনাকে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয় পায় প্রথম তিন ম্যাচ হেরের বিপিএল শুরু করা কুমিল্লা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ১৪ রানে ফেরেন তামিম ইকবাল। ৪৯ রানের জুটিতে দলের হাল ধরেন অ্যান্ড্রু বালবির্নি-শাই হোপ। ৩১ বলে ৩৮ রানে করে বালবির্নি আউট হলে উইকেটে এসে পাল্টা আক্রমণ শানান মাহমুদুল হাসান জয়। ১৩ বলে ২৬ রানের দারুণ এক ক্যামিও খেলেন ২টি করে চার ও ছয়ে। মাঝে দারুণ বল করা তানভীর-মোস্তাফিজ তুলে নেন আজম খান ও সাইফউদ্দিনের উইকেট। অন্য প্রান্তে ধীরগতির ব্যাট করা হোপকে নিয়ে শেষ চেষ্টা চালান ইয়াসির। হোপ ৩৩ রানে ফিরলেও ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত ছিলেন ইয়াসির। তবে অল্পের জন্য দলকের জয় এনে দিতে পারেননি তিনি। মাঠ ছেড়েছেন ৩ চার ঈ এক ছয়ে ১৯ বলে ৩০* রান করে।
এর আগে লিটন দাস-মোহাম্মদ রিজওয়ানের জোড়া ফিফটিতে বড় সংগ্রহের দিকেই হাঁটে কুমিল্লা। লিটন ৫০ ও রিজওয়ান আউট হন ৫৪ রানে। দুজন গড়েছিলেন ৬৫ রানের জুটি। চার্লসের সাথেও ৬০ রানের জুটি গড়েছিলেন রিজওয়ান। রিজওয়ান ফিরলে শেষদিকে জনসন চার্লসের ২২ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে স্কোরকার্ডে ১৬৫ রান জমা করে কুমিল্লা। খুলনার হয়ে একটি করে উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ ও নাহিদুল ইসলাম।