• মেয়েদের ক্রিকেট
  • " />

     

    অ-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে দাপট দেখিয়ে ভারতের মেয়েদের বাজিমাত

    অ-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে দাপট দেখিয়ে ভারতের মেয়েদের বাজিমাত    

    অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপ ২০২৩, দক্ষিণ আফ্রিকা
    ফাইনাল, পচেফস্ট্রুম (টস-ভারত/বোলিং)
    ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব ১৯- ৬৮, ১৭.১ ওভার (ম্যাকডোনাল্ড-গে ১৯, স্টোনহাউজ ১১, স্মেল ১১, সাধু ২/৬, পর্শভি ২/১৩, অর্চনা ২/১৭)
    ভারত অনূর্ধ্ব ১৯- ৬৯/৩, ১৪ ওভার (তৃষা ২৪, তিওয়ারি ২৪, শেফালি ১৫, স্টোনহাউজ ১/৮, স্ক্রিভেন্স ১/১৩, বেকার ১/১৩)
    ফলাফল: ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ ৭ উইকেটে জয়ী


     

    নারীদের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল অনেক স্বপ্ন, আশা ভরসা নিয়ে। ২০২৩ সালের এই আসর হতাশ করেনি। দারুণ প্রতিযোগিতার পর শিরোপা শেষমেশ উঠল ভারতের মেয়েদের হাতে। ইংল্যান্ডের মেয়েদের উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা ঘরে নিয়ে ফিরবে ইতোমধ্যেই বিশ্ব ক্রিকেটে আলোড়ন ফেলে দেওয়া শেফালি ভার্মার দল।

    ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়াতে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে ওপেন করেছিলেন শেফালি। সেবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের ক্ষত পুষিয়ে অধিনায়ক হিসেবে শিরোপা জেতার সুবর্ণ সুযোগ এবার তাই হাতছাড়া করতে চাননি তিনি। লক্ষ্যটাও তার সামনে মোটে ৬৯ রান। তড়িঘড়ি করে শেষ করতে গিয়েই কিনা অধিনায়ক ফিরলেন তৃতীয় ওভারেই। স্টোনহাউজের দারুণ ক্যাচে ১১ বলে ১৫ রান করে বেকারের শিকার হয়ে ফিরেছিলেন শেফালি। পরের ওভারে স্ক্রিভেন্সের কাছে শোয়েতা সেহরাওয়াত ফিরলে  ইংল্যান্ড কিছুটা হলেও স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। ঠিক পরের ওভারে তিওয়ারিকেও ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন তারা। সেই সুযোগ হাতছাড়া করার মাশুল ইংল্যান্ডের মেয়েদের বেশ ভালভাবেই দিতে হল। গঙ্গাদি তৃষাকে নিয়ে সেই তিওয়ারি মাথা ঠাণ্ডা রেখে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান। জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে স্টোনহাউজের শিকার হয়ে ২৯ বল২ ২৪ রান শেষে তৃষা ফিরলেও ৩৭ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থেকে ভারতকে শিরোপা এনে দেন তিওয়ারি।

    এর আগে শিরোপার রাস্তাটা মসৃণ করে রেখেছিলেন তিতাস সান্ধু ও অর্চনা দেবী। দুজনের দুর্দান্ত ওপেনিং স্পেলে পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ইংল্যান্ড হারিয়ে বসে ৩ উইকেট, রান তুলতে পারে মোটে ২২! প্রথম ওভারেই হিপকে ফিরিয়ে ভারতকে উদযাপনের সুযোগ করে দিয়েছিলেন ম্যাচ সেরা সাধু। চতুর্থ ওভারে হল্যান্ডের সাথে টুর্নামেন্ট সেরা স্ক্রিভেন্সকে ফিরিয়ে দেবী যেন জয়ের আগ্রহের স্পৃহাটা জানান দিলেন জোরালোভাবেই। সাধুর বলে পরের ওভারেই ম্যাকডোনাল্ড-গে জীবন পেলেও সেই হতাশা সাধু জুড়ালেন ৭ম ওভারে এসে স্মেলকে ফিরিয়ে। জীবন পেয়ে যেই ইংল্যান্ডের ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করছিলেন ম্যাকডোনাল্ড-গে, সেই তার শেষের বন্দোবস্ত হয়ে গেল দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে। নিজের আগের ওভারেই পেভলিকে ফিরিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা চোপড়া পরের ওভারের প্রথম বলেই এসে করলেন বাজিমাত। তবে তার জন্য তিনি ধন্যবাদ দিতে পারেন অর্চনার দুর্দান্ত ঝাঁপিয়ে পড়া ক্যাচটিকে; আর তাতেই কাল হল ২৪ বলে ১৯ রানে থাকা ম্যাকডোনাল্ড-গের। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইংলিশ মেয়েরা। একে একে শেফালি, কাশ্যপ ও যাদবরা উইকেট তুলে নিয়ে তাদের গুটিয়ে ফেলেছিল মোটে ৬৮ রানে। আর সেই সাথে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ভারতের মেয়েদের নামটাও যেন শিরোপাটায় অগ্রিম লেখা হয়ে গিয়েছিল।