নাসির-শরিফুলের লড়াকু স্পেল ছাপিয়ে সোহান ঝড়ে রংপুরের লো-স্কোরিং থ্রিলার জয়
গ্রুপ পর্ব, ঢাকা (টস-রংপুর/বোলিং)
ঢাকা ডমিনেটর্স- ১৩০/৮, ২০ ওভার (আরিফুল ২৯, মামুন ২৩, হামজা ১৫*, ওমরযাই ২/২২, নাওয়াজ ১/১, রউফ ১/১৯)
রংপুর রাইডার্স- ১৩৩/৮, ১৯.৩ ওভার (নুরুল ৬১, রনি ৩৪, শামিম ৮, নাসির ৪/২০, শরিফুল ৩/ ১৮, হামজা ১/২৫)
ফলাফল: রংপুর ২ উইকেটে জয়ী
রংপুরের বোলারদের দাপটে ঢাকা মান বাঁচিয়ে ফেরার পর রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ঝড়ো ইনিংসে রংপুরের জয় যখন সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল তখনই ম্যাচে রং ফিরিয়ে আনলেন নাসির হোসেন; ঢাকা অধিনায়ক রংপুরের নাভিশ্বাস ছুটিয়ে ছাড়লেন। তবে স্বল্প সেই পুঁজি নিয়ে ঢাকার আর জয়ের মুখ দেখা হয়নি। ঢাকার বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে স্নায়ু ধরে রেখে শেষমেশ জয় তুলে নিয়েছে রংপুর।
মাত্র ১৩১ রানের লক্ষ্যে ঢাকাকে ভাল শুরু এনে দিয়েছিলেন শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মোহাম্মদ নাঈম শেখকে ফেরানোর পরের ওভারে এসে ফিরিয়েছিলেন মাহেদী হাসানকে। তবে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ১১ রান নিয়ে দলকে ৪২ রানে নিয়ে গিয়ে নুরুল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এদিন জ্বলে ওঠার। আমির হামজার করা ১০ম ওভারে রনি তালুকদারের সাথে জুটি গড়ে ২টি চার ও ১টি ছয়ে ১৬ রান তুলে যেন ম্যাচ দ্রুত শেষ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন রংপুর অধিনায়ক। সৌম্য সরকারের করা ১২তম ওভারে এরপর টানা ১ চার ও ২ ছয়ে নিজের মনোভাব স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন; সেই সাথে ফিফটি পূর্ণ করেন ৩১ বলে।
তবে ঢাকা অধিনায়কের মাথায় তখনও খেলছে অন্য পরিকল্পনা। অন্য প্রান্তে রয়েসয়ে এগুতে থাকা রনি তালুকদারকে পরের ওভারে নাসির ফেরালেন ৩৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংস শেষে। পরের ওভারেি ৩৩ বলে ৬১ রানে থাকা নুরুলকে প্রথম বলেই ফিরিয়ে শরিফুল যেন ঢাকার স্বপ্নের পালে লাগান জোর হাওয়া। সুযোগ বুঝেই পরের ওভারে এসে বেরিয়ে খেলতে যাওয়া শোয়েব মালিককে নাসির ফেরালে পরের ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে মোহাম্মদ নাওয়াজকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন হামজা। হারার আগেই হার মানতে নারাজ নাসির ১৯তম ওভারে বল হাতে তুলে নিয়ে টানা দুই বলে ফেরান শামিম হোসেন ও রাকিবুল হাসানকে; রান দেন মাত্র ২! তবে নাসিরের হ্যাটট্রিকের সুযোগ ভেস্তে দেওয়া হারিস রউফ শেষ ওভারে মাথা ঠান্ডা রেখে চার মেরেই রংপুরকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই রান আউট হয়ে মোহাম্মদ মিঠুন ফেরার পর পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ফিরেছিলেন নাসির ও ১২ বলে ৩ রান করা সৌম্য। পাওয়ারপ্লেতে তবুও যে ঢাকা ৪১ রান তুলতে পেরেছিলন যাদের জন্য সেই অ্যালেক্স ব্লেক ১১ বলে ১৮ রান করার পর ২৭ বলে ২৩ রান করে আবদুল্লাহ আল মামুন ফিরলে ঢাকার ইনিংস যেন মুখ থুবড়ে পড়ে। ১১ ওভার শেষেও মাত্র ৬৮ রান করা ঢাকা শেষমেশ ১৩০ রান করতে পেরেছিল আরিফুল হকের ২৬ বলে ২৯ রান ও আমির হামজার ১১ বলে ১৫* রানে। রউফ-হাসান-ওমরযাইদের তোপে অবশ্য পাওয়া স্বল্প সেই পুঁজি নিয়ে লড়লেও ঢাকাকে থাকতে হয়েছে পরাজিতের তকমা নিয়েই।