রনি-মালিকদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্লান হৃদয়-মুশফিকের প্রচেষ্টা
গ্রুপ পর্ব, ঢাকা (টস-রংপুর/বোলিং)
সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১৭০/২, ২০ ওভার (হৃদয় ৮৫*, মুশফিক ৫৫*, শান্ত ১৫, মাহেদি ১/২০, হাসান ১/৪৮)
রংপুর রাইডার্স- ১৭৬/২, ১৮ ওভার (রনি ৬৬, নাঈম ৪৫, মালিক ৪১*, রাজা ১/৩৫, ইরফান ১/৩৮)
ফলাফল: রংপুর ৮ উইকেটে জয়ী
সিলেটের বিপক্ষে হেসেখেলেই জয় পেল রংপুর। তৌহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিমের শতরানের জুটির ওপর ভর করে রংপুরের বিপক্ষে লড়াকু সংগ্রহ পেলেও রংপুর ব্যাটাররা সেই লক্ষ্যকে যেন পাত্তাই দিলেন না। রনি তালুকদারের ঝড়ের পর মাঝে তার ওপেনিং সঙ্গী মোহাম্মদ নাঈম শেখ খেলেছেন রয়েসয়ে, আর শেষে এসে ঝড় তুলেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন শোয়েব মালিক।
১৭১ রানের লক্ষ্যে নাঈমকে নিয়ে মারমুখী শুরু করে রংপুরকে পাওয়ারপ্লেতেই ৫৯ রানে পৌঁছে দেন রনি। পরের ওভারেই থিসারা পেরেরাকে মারেন টান চার ও দুটি ছয়; সেই সাথে ২৭ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। নাঈম এক প্রান্ত আগলে রাখলে অন্য প্রান্তে হাত খুলে খেলার স্বাধীনতা পেয়ে সেটার সদ্ব্যবহার করতে ভুলেননি রনি। মাত্র ৯.৩ ওভারেই দলীয় শতরান পূর্ণ হলে এক বল পরেই মোহাম্মদ ইরফানের আঘাতে থামে ৮ চার ও ৩ ছয়ে সাজানো রনির ৩৫ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। পরের ওভারেই উইকেটে আসা মালিকও মাত্র ১ রানে থাকার সময়ই ফিরতে পারতেন মালিক; শান্তর বদৌলতে সেই যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।
মালিকের উইকেট পাওয়ার আক্ষেপে ঘুচিয়ে ১৩তম ওভারে রেজাউর রহমান রাজা উপড়ে ফেলেন নাঈমের স্টাম্প; ৩২ বলে ৪৫ রানের ইনিংস শেষে নাঈম ফিরলে ম্যাচেও ফেরার সুযোগ খুঁজতে থাকে সিলেট। তবে সেই সুযোগ ভেস্তে দিয়েছেন জীবন পাওয়া মালিকই। ২৪ বলে ৪১* রানে অপরাজিত থেকে সমানসংখ্যক বলে ১৭* রান করা নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে দুই ওভার হাতে রেখেই জয় তুলে নেন মালিক।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধুঁকতে হয়েছে সিলেটকে। আজমতউল্লাহ ওমরযাই, হারিস রউফদের আঁটসাঁট স্পেলে নাজমুল হোসেন শান্ত ও হৃদয়ের ওপেনিং জুটি তুলতে পারে মোটে ২৬ রান। সেই চাপেই নড়বড়ে শান্ত নবম ওভারের প্রথম বলেই ফেরেন ২২ বলে ১৫ রানে করে হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে। ১১তম ওভারে এসে জাকির হাসানকে এরপর ফেরান মাহেদী। এক বল পরেই রানের খাতা খোলার আগেই মুশফিককেও ফেরাতে পারতেন তিনি। তবে বাউন্ডারির দড়ির ওপর ক্যাচটা পড়ে উলটো ছয় হয়ে যায়। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সিলেট। তখন ৩৫ বলে ৩৩ রানে থাকা হৃদয় ফিফটি তুলে নেন ৪২ বলে; হাসানের করা ওই ওভার থেকে দুজনে নেন ১৭ রান। অন্য প্রান্তে ছুটতে থাকা মুশফিককে নিয়ে মাত্র ২৫ বলেই জুটি অর্ধ শতকে নিয়ে যান হৃদয়। ৩০ বলে এরপর মুশফিক ফিফটি তুলে নিলে দুজনেই অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন। ৩৫ বলে ৫৫* রান করে আসরে প্রথম ফিফটি পাওয়া মুশফিকের সাথে ৫৭ বলে ৮৫* রান করে হৃদয় সিলেটকে লড়াইয়ের রসদ এনে দিলেও হারের তিক্ত স্বাদ নিয়েই ফিরতে হয়েছে তাদের।