মৃত্যুঞ্জয়-ক্যাম্ফারের তোপ, ‘অলরাউন্ড’ জিয়াউর: লো স্কোরিং ম্যাচে চট্টগ্রামের স্বস্তির জয়
গ্রুপ পর্ব, ঢাকা (টস-চট্টগ্রাম/ব্যাটিং)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স- ১১৮/৮, ২০ ওভার (জিয়াউর ৩৪, উসমান ৩০, সানি ৪/২২, হামজা ১/১৩)
ঢাকা ডমিনেটর্স- ১০৩/৯, ২০ ওভার ( নাসির ২৪, সৌম্য ২১, জাহিদ ১৮, ক্যাম্ফার ৩/১৫, জিয়াউর ২/১৫, মৃত্যুঞ্জয় ২/২৯)
ফলাফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৫ রানে জয়ী
হারের বৃত্তে ঘুরপাক খেয়ে বিপিএল শেষ করল ঢাকা ডমিনেটর্স। চট্টগ্রামকে ১১৮ রানে আটকে দিয়েও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় জয়ের দেখা পায়নি ঢাকা। ক্যাম্ফার-মৃত্যুঞ্জয়- আর অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমানের তোপে ১০৩ রানের বেশি করতে পারেনি নাসিরের দল। টানা ছয় হারের পর স্বস্তির এক জয় পেল চট্টগ্রাম।
১১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সৌম্য ভালো একটা শুরু এনে দিয়েছিলেন ঢাকাকে। তিন চারের মারে বেশ এগোচ্ছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। সঙ্গী মামুন ফিরেছেন তৃতীয় ওভারেই। এর দুই ওভার পর ড্রেসিংরুমে ফেরেন সৌম্যও। ক্যাম্ফারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ বলে ২১ রান করেন তিনি। এরপর অবশ্য নাসির ছাড়া কোনো ব্যাটারই সুবিধা করতে পারেননি। ৩৩ বলে ২৪ রান করেছেন নাসির। ঢাকার অধিনায়ক ফিরেছেন মেহেদী মারুফের হাতে ক্যাচ দিয়ে। পেছন দিকে ছহুটে দারুণ এক ক্যাচ নেন মারুফ।
ক্যাম্ফারের সাথে ঢাকার ব্যাটারদের ওপর চড়ে বসেন মৃত্যুঞ্জয়ও। চার ওভারের স্পেলে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন থিতু হওয়া জাহিদের উইকেট। ওদিকে ক্যাম্ফার ১৫ রানে নেন ৩ উইকেট। ঢাকার ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও শেষটা করেছেন জিয়াউর রহমান। শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়েছেন তিনি।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে আরাফাত সানির ঘুর্ণিতে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় চট্টগ্রাম। একাই চার উইকেট নেন বাঁহাতি এই স্পিনার। চট্টগ্রামের হয়ে সেই ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন উসমান খান। সানির শিকার হয়ে ফেরার আগে ২৯ বলে ৩০ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
ঢাকার বোলারদের চেপে ধরা একেকটা স্পেলে মনে হচ্ছিল চট্টগ্রামের দলীয় সংগ্রহ ১০০-ই পেরোবে না। উইকেটে এসে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেন জিয়াউর। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২০ বলে ৩৪* রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তার সেই ক্যামিওতেই চট্টগ্রাম পেয়েছিল ১১৮ রানের সংগ্রহ।