• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    মুকিদুলের 'পাঁচ', রাসেলের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে কুমিল্লার আটে আট

    মুকিদুলের 'পাঁচ', রাসেলের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে কুমিল্লার আটে আট    

    গ্রুপ পর্ব, ঢাকা (টস-কুমিল্লা/বোলিং)
    ফরচুন বরিশাল- ১২১, ১৯.১ ওভার (মাহমুদউল্লাহ ৩৬, করিম ৩২, মিরাজ ১৭, মুকিদুল ৫/২৩, মোস্তাফিজ ১/১৯, তানভির ১/২৯)
    কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স- ১২২/৫, ১৮.৩ ওভার (লিটন ৩৬, রাসেল ৩০*, খুশদিল ২৩*, এবাদত ২/১৮, সাকিব ১/২১, খালেদ ১/২৩)
    ফলাফল: কুমিল্লা ৫ উইকেটে জয়ী

     

    কুমিল্লা যেন আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠেছে দুর্দমনীয়; বরিশালও এবার পাত্তা পেল না কুমিল্লা কাছে। মুকিদুল ইসলামের পাঁচ-উইকেটের স্পেলে বরিশালকে স্বল্প সংগ্রহেই গুটিয়ে দেওয়ার পর যদিও মিরপুরের মন্থর পিচে খেই হারিয়ে বসেছিল কুমিল্লা। খুশদিল শাহ-আন্দ্রে রাসেলের ২৬ বলে ৪৮* রানের জুটিতে শেষমেশ অবশ্য সহজেই জয় পেয়েছে কুমিল্লা।

    ১২২ রানের লক্ষ্যে পাওয়ারপ্লেতেই কুমিল্লা তুলে ফেলেছিল ৪১ রান। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের শিকার হয়ে ১১ রানেই মোহাম্মদ রিজওয়ান ফিরলেও জাকের আলীকে নিয়ে সহজ এক জয়ের দিকেই দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন লিটন দাস। পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই জাকেরকে ফেরালেন সাকিব, শেষ টানলেন দুর্দান্ত এক স্পেলের: ৩-১-৪-১! সেখান থেকেই কুমিল্লাকে চেপে ধরে বরিশাল।
     
    পাওয়ারপ্লের পরের ৯ ওভারে কুমিল্লা তুলতে পারল মোটে ৩৪ রান, তাও ৪ উইকেট হারিয়ে! আর ওই সময়টায় মূল কাজটা করেছেন দুই পেসার খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন। ইমরুল কায়েসকে মাত্র ৫ রানেই খালেদ ফেরানোর পর ১১তম ওভারেই মোসাদ্দেককে মাত্র ১ রানেই ফেরান এবাদত। নিজের ঠিক পরের ওভারেই ৩২ রানে থাকা লিটনকে ফেরানোর সুযোগ তৈরি করলেও উইকেটকিপার ক্যাচ লুফে নিতে পারায় হতাশ হয়েই ফিরতে হয় এবাদতকে।

    তবে সেই হতাশা না পুষে নিজের শেষ ওভার করতে এসে লিটনকে ৩৯ বলে ৩৬ রানের ইনিংস শেষে ফেরান এবাদত নিজেই; ইতি টানেন নিজের হাল না ছাড়া স্পেলের: ৪-০-১৮-২। এবাদতদের জন্য পথটা তিনি বাতলে দিয়েছিলেন সেই সাকিবই পরে নিজের শেষ ওভার করতে এসে নিজেদের আশা জলাঞ্জলি দিলেন। আসলে ছিনিয়ে নিলেন রাসেল-খুশদিল জুটি। সাকিবের করা ১৮তম ওভারে দুই ছয় ও এক চারে দুজনে মিলে নিলেন ১৭ রান। পরের ওভারে ছয় দিয়ে ম্যাচের শেষটা যথাযথভাবে এল রাসেলের হাত ধরে। খুশদিলের সময়োপযোগী ১৯ বলে ২৩* রানের ইনিংসের সাথে রাসেলের ১৬ বলে ৩০* রানে কুমিল্লা তাই জয় পেল ৯ বল বাকি থাকতেই।

    এর আগে পাওয়ারপ্লের মাঝেই আনামুল হক ও ফজলে রাব্বিকে ফেরানোর পর পাওয়ারপ্লের পরের ওভারেই সাকিবকে ফিরিয়ে তানভির-মুকিদুল জুটি শুরুতেই বরিশালকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। বিপদ সামলে মাহমুদউল্লাহ বরিশালের বড় সংগ্রহের দিকে আগানোর চেষ্টা করলে অন্য প্রান্তে থাকা ইফতিখার মাত্র ৪ রানে ফেরেন রাসেলের শিকার হয়ে। উইকেটে এসে মেহেদী হাসান মিরাজও খুব একটা সুবিধা করতে না পারলে সেই চাপে মাহমুদউল্লাহ মুকিদুলের বলে স্টাম্প খুইয়ে ফেরেন ২৬ বলে ৩৬ রানে। মিরাজ তবুও উইকেটে ধুঁকলে অন্য প্রান্তে করিম জানাত চেষ্টা করেছিলেন স্রোতের বিপরীতে হাঁটার। ১৮ বলে ১৭ রান শেষে মোস্তাফিজের শিকার হয়ে মিরাজ থামলে গিয়ার পাল্টাতে গিয়ে মুকিদুলের শিকার হয়ে ফেরেন ২৬ বলে ৩২ রানে থাকা জানাত। পরের বরিশালের লেজ একাই গুটিয়ে আসরে প্রথম বোলার হিসেবে পাঁচ-উইকেট নিয়ে মুকিদুল বরিশালকে গুটিয়ে দিয়েছিলেন দারুণ এক স্পেলে: ৩.১-০-২৩-৫। সেই সাথে কুমিল্লার টানা অষ্টম জয়ের পথটাও সহজ করে দিয়েছিলেন সেখানেই।