ইমাদ-সাকিবের পর মুশফিক-জাকিরের নৈপুণ্যে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে সিলেট
গ্রুপ পর্ব, ঢাকা (টস-খুলনা/ব্যাটিং)
খুলনা টাইগার্স- ১১৩/৮, ২০ ওভার (জয় ৪১, নাহিদুল ২২, সাকিব ৩/২২, ইমাদ ২/১০, রুবেল ২/২৪)
সিলেট স্ট্রাইকার্স- ১১৪/৪, ১৭.৩ ওভার (জাকির ৫০, মুশফিক ৩৯, সাইফউদ্দিন ১/১৩)
ফলাফল: সিলেট স্ট্রাইকার্স ৬ উইকেটে জয়ী
বিপিএলে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচটা জয় দিয়েই রাঙাল সিলেট স্ট্রাইকার্স। খুলনা টাইগার্সকে টানা ষষ্ঠ হারের স্বাদ দিয়ে একইসাথে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানও ধরে রাখল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। ইমাদ ওয়াসিম-তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত দুই স্পেলে খুলনাকে অল্প রানে আটকে দেয়ার পর জাকির হাসান-মুশফিকুর রহিমের জুটিতে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে সিলেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ১০ রানের ভেতর দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হ্রদয়কে হারায় সিলেট। এরপর দলকে টেনেছে জাকির-মুশফিক জুটি। তৃতীয় উইকেটে দুজন গড়েছেন ৯০ রানের জুটি। এই জুটির পথে জাকির পেয়েছেন এবারের বিপিএলে তার প্রথম ফিফটি। ৪৬ বলে ৫০ রান করে আউট হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
জাকিরের পর রান আউটে কাটা পড়েছেন ম্যাচের লাগাম নিজেদের দিকে টেনে ধরা মুশফিক। রায়ান বার্লের খেলা শট বোলার হাসান মুরাদের হাতে লেগে আঘাত করে নন স্ট্রাইকিং এন্ডের স্টাম্পে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় মুশফিকের ব্যাট তখনও পপিং ক্রিজের লাইনের ওপর। মুশফিক ফিরলেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি সিলেটে। ১টি করে ছক্কা ও চারে রায়ান বার্লের ৬ বলে ১২ রানের ইনিংসে ১৫ বল আগেই জয় পায় সিলেট।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা খুলনাকে শুরুতেই চেপে ধরে সিলেটের বোলাররা। পাওয়ার প্লের মধ্যেই ড্রেসিংরুমে ফেরেন খুলনার টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার। এক ম্যাচের জন্য বিপিএলে ফেরা ইমাদ ওয়াসিম ৪ ওভার বল করে মাত্র ১০ রানের খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। তানজিম সাকিব ২২ রানে নেন ৩ উইকেট। তার তিন শিকার বালবির্নি, শেই হোপ ও জয়। খুলনার হয়ে ব্যাট হাতে লড়াই যা দেখা গেছে সেটা জয়ের কল্যাণেই। ৪১ বলে ৪১ রান করে আউট হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তার সাথে নাহিদুল করেছেন ২৯।