নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর গুরবাজের বিনোদনদায়ী ইনিংসে রংপুরের দাপুটে জয়
গ্রুপ পর্ব, ঢাকা (টস-চট্টগ্রাম/ব্যাটিং)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স- ১৩২/৮, ২০ ওভার (জিয়া ৩৩, তৌফিক ২৮, মৃত্যুঞ্জয় ১৭*, রউফ ২/১৪, রাকিবুল ২/২৬, রিপন ১/২৬)
রংপুর রাইডার্স- ১৩৫/৩, ১৬ ওভার (গুরবাজ ৪৬, রনি ২৮, নাঈম ২০, নিহাদুজ্জামান ২/২৪, জিয়া ১/১৯)
ফলাফল: রংপুর ৭ উইকেটে জয়ী
চট্টগ্রামের জরাজীর্ণ দশা আরও একবার উন্মোচিত করে রংপুর তুলে নিল আরামদায়ক এক জয়। মিরপুরে দুই পেসার হারিস রউফ-রিপন মন্ডলের দারুণ বোলিংয়ের সাথে রাকিবুল হাসানের ঘূর্ণিতে খাবি খেয়ে চট্টগ্রাম লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছিল জিয়াউর রহমানের প্রচেষ্টায়। বিপিএলে এবার প্রথম নেমে রহমানউল্লাহ গুরবাজ মনোরঞ্জক এক ইনিংস খেলে সেই সংগ্রহকে পাত্তাই দেননি।
১৩৩ রানের লক্ষ্যে রংপুর পাওয়ারপ্লেতেই তুলে ফেলে ৫২ রান। পাওয়ারপ্লেতে মোহাম্মদ নাঈম ফিরলেও ১২ বলে ২০ রান করে রংপুরকে ভাল শুরুটা তিনিই মুলত এনে দিয়েছিলেন। পাওয়ারপ্লের এক ওভার পরেই ২৭ বলে ২৮ রানে থাকা রনি তালুকদারকে জিয়া ফেরালে বিপদে পড়তে পারত রংপুর। সেসবের কথা মাথায় না এনে গুরবাজ স্বভাবসুলভ ইনিংস খেলেন। ১১তম ওভারে ভিয়াসকান্থকে ৩ চার মেরে ১৫ রান নিয়ে তিনি যেন তড়িঘড়ি করে ম্যাচ শেষ করার আভাস দেন। সেই চেষ্টা করতে গিয়েই নিহাদুজ্জামানকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে শেষ হয় তার ৩০ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। ১৩ বলে ১৫* রান করে নুরুল হাসান ও ১৫ বলে ২০* রান করে টম কোলার-ক্যাডমোর অপরাজিত থেকে চার ওভার বাকি থাকতেই খেলা শেষ করে দেন।
এর আগ ব্যাটিংয়ে নেমে ওমরযাই-রউফের পেসের সাথে রাকিবুলের স্পিন বিষে পাওয়ারপ্লেতেই চট্টগ্রাম হারিয়ে বসে উসমান খান, ম্যাক্স ও’ডাউড ও মেহেদী মারুফকে। ৩৯ রান তুলে পাওয়ারপ্লেতে খাবি খাওয়া চট্টগ্রামকে আফিফ হোসেন উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও পরের ওভারে তিনি নিজেই রউফের পেসে পর্যুদস্ত হয়ে ফেরেন ৮ বলে ১৫ রান করে। ৯ম ওভারে হাসানের বলে স্টাম্প খুইয়ে ক্যাম্ফার ফিরলে চট্টগ্রামকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন জিয়া-তৌফিক জুটি। ২৬ বলে ২৮ রান করে তৌফিক ও ২৫ বলে ৩৩ রান করে জিয়া চেষ্টা করার পরেও নিজেদের ওভারের কোটা পূর্ণ করার আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা পেয়ে বসেছিল চট্টগ্রামকে। শেষে ২০ বলে ১৭* রান করে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী সেটা হতে না দিলেও লড়াকু সেই সংগ্রহকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেই জিতেছে রংপুর।