• " />

     

    শ্রীলঙ্কার উল্টোরথে সোজা হাঁটা!

    শ্রীলঙ্কার উল্টোরথে সোজা হাঁটা!    

    ৫৫তম ওভারে মঈন আলীকে রিভার্স সুইপ করলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। উল্টো সুইপ। ওভারের সংখ্যাটা দেখেই আপনার বুঝে যাওয়ার কথা, ঘটনা একটু উল্টোই ঘটেছে এদিন। 

     

    এর আগের তিন ইনিংসে যে একবারও পঞ্চাশ ওভার খেলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা! তিন ইনিংস মিলিয়ে ফিফটি ছিল একটি। অথচ এ ইনিংসেই ফিফটি করেছেন তিনজন, কৌশল সিলভা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দীনেশ চান্ডিমাল। ফলো-অনে পড়েও লড়াইয়ের আভাস মিলছেন লঙ্কানদের কাছ থেকে, ইংল্যান্ডকে সিরিজে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয়বার ব্যাটিং করাতে ৫ উইকেট নিয়ে প্রয়োজন ৮৮ রান!

    অথচ দিনের শুরুতে মনে হচ্ছিল চিত্রনাট্যটা একই! শেষ দুই ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেলেন তিন রান যোগ করেই, অ্যালেস্টার কুক নিজের রেকর্ডের মায়া-মমতা না করে ফলো-অন করালেন শ্রীলঙ্কাকে। দুই ওপেনার একটু প্রতিরোধ গড়ে তুললেন, তবে ৩৮ রানেই নেই প্রথম উইকেট। আবার ধ্বস, আবার হতাশা?

     

    কৌশল সিলভা ভাবলেন অন্যরকম। ৪১, ২১, ৮২- মেন্ডিস, থিরিমান্নে ও অধিনায়ক ম্যাথুসকে নিয়ে গড়লেন জুটি। সিলভা হঠাৎ তুলে দেয়া বলে ফিরে গেলেন, রয়ে গেলেন ম্যাথুস। অ্যান্ডারসনের বলে এজ দিতে বাধ্য হওয়ার আগে করলেন ৮০ রান, সিরিজে শ্রীলঙ্কার এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ইনিংস!

    যদি ৫৪ রানে অপরাজিত থাকা চান্ডিমাল সেই ইনিংসটাও ছাড়িয়ে যেতে পারেন, শ্রীলঙ্কা এ সফরে প্রথমবারের মতো পেতে পারে একটু তৃপ্তির ছোঁয়া। শ্রীলঙ্কাকে সে ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত করতেই কিনা, অ্যালেস্টার কুককে ব্যবহার করতে হলো সাতজন বোলার।

     

    'সিলভার লাইনিং'! আড়ালে থাকা ম্যাথুসের ব্যাটও হেসেছে! 

     

    মঈন আলী অবশ্য নিয়মিত বোলারই। অ্যান্ডারসন-ওকস-ব্রডদের সিম-সুইংয়ের ভীড়ে তাঁর একটা বল চোখে লেগে থাকার মতো। অফস্ট্যাম্পে পড়ে ব্যাটকে ফাঁকি দেয়ার মতো টার্ন করলো বলটা, আগের ইনিংসে ভাল করার পুরস্কার পেয়ে চার নম্বরে উঠে আসা লাহিরু থিরিমান্নের ব্যাটকে ফাঁকিও দিল ঠিকই। অফস্ট্যাম্পটা ভেঙ্গে দিল, অফস্পিনের ক্ল্যাসিক এক ডেলিভারি!

    ক্ল্যাসিক অনেক শটও খেলেছেন এদিন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। কাভার ড্রাইভ, বোলারস ব্যাক ড্রাইভ। ইংলিশ পেসারদের সুইং-সিমের সূক্ষ্ণ তারতম্য বুঝেছেন, খেলেছেন বলকে বিবেচনা করেই!

     

    আগের ইনিংসে ১০টি চার মারতে পারা শ্রীলঙ্কানরা এদিন মেরেছেন ৩৪টি। কী বৈপরীত্য!

    আসলেই তো তাই। ধুঁকতে বসা লঙ্কানরা জেগে উঠলো, উল্টোদিকে হাঁটলো চেস্টার-লি-স্ট্রিটের এমিরেটস রিভারসাইড গ্রাউন্ডে।

     

    সেই উল্টোটাই তো আসলে লঙ্কানদের সোজা পথ!

     

    চেস্টার-লি-স্ট্রিট টেস্ট
    প্রথম দিন
    দ্বিতীয় দিন