গোল করে কাঁদলেন, কাঁদালেন...

লিওনেল মেসি না থাকায় তাঁর কাঁধে দায়িত্বটা ছিল অন্যদিনের চেয়ে একটু বেশিই। সেই ভরসার প্রতিদান দিয়েছেন মাঠেই। চিলির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে ডি মারিয়ার অবদান এক গোল আর এক অ্যাসিস্ট। এছাড়াও পুরো ম্যাচ জুড়েই বাঁ প্রান্ত দিয়ে আর্জেন্টিনার আক্রমণে সরব উপস্থিতি ছিল পিএসজির এই উইঙ্গারের।
অথচ ডি মারিয়ার এমন পারফরম্যান্স ছাপিয়ে গেছে অন্য ঘটনায়। ম্যাচ শুরুর মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে জানতে পারেন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন দাদী। কোপা আমেরিকা খেলার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে আসতে না হলে হয়ত অন্তিম মুহুর্তটা দাদীর সাথেই কাটাতে পারতেন ডি মারিয়া। চিলির বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর আগে নিজের ইন্সটাগ্রামে প্রিয় দাদীর সঙ্গে নিজের একটি ছবি দিয়েই তাঁকে শেষ বিদায় দিতে হয়েছে ডি মারিয়াকে।
দাদীর মৃত্যুতে পাশে থাকতে না পারার আফসোস থেকেই হয়ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আজ মাঠেই আলাদা কিছু করে সেটা উৎসর্গ করবেন দাদীকে। দ্বিতীয়ার্ধের মিনিট পাঁচেক অতিবাহিত হবার পর ডি মারিয়ার গোলে ম্যাচে প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। গোল করে সোজা ডাগ আউটের দিকে ছোটেন এই আর্জেন্টাইন। তারপর সাদা একটা টি-শার্ট উঁচিয়ে ধরে মাঠেই কেঁদে ফেলেন ডি মারিয়া। সেই টি-শার্টের গায়ে লেখা ছিল “দাদী আমি তোমাকে প্রচন্ড মিস করব”। এর চেয়ে বেশি আর কি-ই বা করতে পারতেন ডি মারিয়া!
ম্যাচ শেষে ডি মারিয়া পেয়েছেন ম্যান অফ দা ম্যাচের ম্যাচের পুরষ্কারটিও। এমন বিষাদের দিনে মনে রাখার মতোই এক ম্যাচ খেলেছেন। ম্যাচ শেষে তাই মাঠেই সাংবাদিকরা খুঁজে নিল তাঁকে। নিজের দাদীর মৃত্যু সংবাদ দিতে গিয়ে ক্যামেরার সামনেই আরও একবার কান্নায় ভেঙে পড়েন ২৮ বছর বয়সী এই উইঙ্গার।
‘মেসি, মেসি’ বলে পুরো ম্যাচে গলা ফাটানো সান্তা ক্লারা কালিফের প্রায় সত্তর হাজার দর্শক তখনও জানেন না ডি মারিয়ার অমন আবেগি উদযাপনের নেপথ্য ঘটনা। তা না হলে হয়ত ততক্ষণে ডি মারিয়ার নামটিও সমুচ্চরিত হত পুরো স্টেডিয়াম জুড়ে।