• " />

     

    'মনে হচ্ছিল ম্যাচটা হারা অসম্ভব'

    'মনে হচ্ছিল ম্যাচটা হারা অসম্ভব'    

    ম্যাচ শেষে ক্রমাগত মাথা নাড়ছিলেন। ব্যাপারটা যেন কিছুতেই মানতে পারছিলেন না ফাফ ডু প্লেসি। ১৯ ওভার থেকে ১১২ রান প্রয়োজন, হাতে ৭ উইকেট। এই ম্যাচ কিনা দ. আফ্রিকা হেরে ফিরলো, ঐ ৭ উইকেট হারালো মাত্র ৪২ রানের মধ্যে! প্রোটিয়াদের অধিনায়ক তাই ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে হতাশাটুকু গোপন করতে পারলেন না। বললেন জয়টা তাঁরা একরকম উপহার দিয়ে এসেছেন অস্ট্রেলিয়াকে।

     

    ২৮৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ডি ককের উইকেটটা হারাতে হলেও হাশিম আমলার সাথে ১০৫ রানের জুটিতে লক্ষ্যটা একরকম মামুলিই বানিয়ে ফেলেছিলেন অধিনায়ক ডু প্লেসি। দলের হয়ে ব্যক্তিতগত সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে যখন ফিরছেন, স্কোরবোর্ডে রান ৩ উইকেটে ১৭৭। হাতে ১৯টি ওভার, উইকেটে ডি ভিলিয়ার্স আর জেপি ডুমিনি।

     

     

    ড্রেসিং রুমে ফেরার পথেও তাই পরাজয়ের চিন্তা মাথায় আনতে পারেন নি ডু প্লেসি, “একদম সত্যি কথা বলতে আমি আর এবি যখন ব্যাট করছিলাম, আমার কাছে মনে হচ্ছিল ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণই আমাদের হাতে এবং এই ম্যাচ হারা একরকম অসম্ভব। হ্যাঁ আমার উইকেটটা তাঁদের একটু হলেও দম ফিরিয়ে এনেছিল। কিন্তু তারপরও এবি আর ডুমিনির জুটিতেও নিয়ন্ত্রণটা আমাদের হাতেই ছিল।”

     

    তারপরের গল্পটা স্রেফ হতাশার। শেষ ৬ ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেন এক অংকের রান করে। ডু প্লেসিরা ড্রেসিং রুম থেকে শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলেন, “আমাদের ক’জন উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলেন...।”

     

    তবে মিচেল স্টার্ক-জশ হ্যাজলউডদের সামনে তাঁর নীচের সারির ব্যাটসম্যানরা লড়াই করবে, সে প্রত্যাশা করেন নি প্রোটিয়া অধিনায়ক। তাঁর মতে, ম্যাচটা তাঁরা হেরে গিয়েছিলেন ৩০ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যেই।