• কোপা আমেরিকা ২০১৬
  • " />

     

    গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টারে আর্জেন্টিনা

    গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টারে আর্জেন্টিনা    

    বলিভিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলের সহজ জয় নিয়ে কোপা আমেরিকা সেন্টানারিওর গ্রুপ ‘ডি’ চ্যাম্পিয়ন হয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখল আর্জেন্টিনা। আগামী ১৯ জুন কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলা।  


    চিলির বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাটা মেসিকে ছাড়াই সফলভাবেই উতরে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। পরের ম্যাচেও মাঠে নামেননি শুরুতে। ওই ম্যাচের ৬১ মিনিটে নেমে হ্যাট্রিক করে গড়েছিলেন রেকর্ড। গ্রুপ পর্বের বাকী দু ম্যাচের মতো, শেষ ম্যাচেও মেসিকে বিশ্রামেই রাখার সিদ্ধান্ত নেন টাটা মার্টিনো। শুধু মেসিই নন; মাসচেরানো, গাইতান, রোহো, ফার্নান্দেজদের বিশ্রামে রেখে নতুনদের নামিয়ে দেন মূল একাদশে। মেসি, মাসচেরানোর অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের বাহুবন্ধনী বাঁধেন গোলরক্ষক রোমেরা।


    এদিন অবশ্য বলিভিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধেই মেসিকে মাঠে নামিয়ে দেন আর্জেন্টিনা কোচ। ম্যাচের প্রথম ৩২ মিনিটের মধ্যেই ৩ গোল করে ততক্ষণে অবশ্য পুরো ম্যাচটাই নিজেদের বাক্সবন্দী করে ফেলেছে আর্জেন্টিনা।



     

    প্রথম গোলটি আসে ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া লামেলার ফ্রি কিক থেকে। প্রতিপক্ষ বলিভিয়ান খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে ম্যাচের ১৩ মিনিটেই আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন লামেলা। এর দুই মিনিট পর গোছানো এক আক্রমণ থেকে গোল করেন লাভেজ্জি। অনেকদিন পর মূল একাদশে ফিরে ৩১ বছর বয়সী এই উইঙ্গার গোল করার পাশাপাশি গোল করিয়েছেনও। আর্জেন্টিনার পরের গোলটা এসেছে তার ক্রস থেকেই। লাভেজ্জির ক্রসে পা লাগিয়ে বলিভিয়ার বিপক্ষে তিন নম্বর গোলটি করেছেন ইন্ডিপেন্ডিয়েন্ট ডিফেন্ডার ভিক্টর কুয়েস্তা।

    ওই তিন গোল বাদেও পুরো প্রথমার্ধই ছিল আসলে আর্জেন্টিনাময়! প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার ৮৫ শতাংশ বল পজেশন আর ৩৩৩ টি পাসের বিপরীতে বলিভিয়ার পাস ছিল মাত্র ৩৬ টি! আর পুরো ম্যাচে ৭১০ টি সফল পাস! গত ৩ কোপা আমেরিকায় এর চেয়ে বেশি পাস দিতে পারেনি কোন দলই। এই পরিসংখ্যানেই বোঝা যাচ্ছে কতোটা দাপুটে ছিল আর্জেন্টিনার জয়। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে গোল পেতে পারতেন মেসিও। মেসির নেয়া অন্তত দু’টি ফ্রি-কিক অল্পের জন্য বার পোস্টের বাইরে দিয়া না গেলে বাড়তে পারত ব্যবধান।