• " />

     

    ইমরান তাহিরের 'ডাবল রেকর্ড'!

    ইমরান তাহিরের 'ডাবল রেকর্ড'!    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর
    দক্ষিণ আফ্রিকাঃ ৩৪৩-৪, ৫০ ওভার(আমলা ১১০, পোলার্ড ২-৬৪) 
    ওয়েস্ট ইন্ডিজঃ ২০৪ অলআউট, ৩৮ ওভার(চার্লস ৪৯, তাহির ৭-৪৫) 
    ফলঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩৯ রানে জয়ী। 

     

    দুহাত মেলে যেন আকাশে উড়তে চান। ছুটতে থাকেন, যেন সতীর্থদের বলেন, ‘ক্যাচ মি ইফ ইউ ক্যান!’ কখনও একহাত, কখনও দুইহাতে চুমু আঁকেন, আকাশপানেই। ইমরান তাহির, বোলিংয়ের মতো উদযাপনটাও তো দেখার মতো! সেন্ট কিটস সেই উদযাপনটা দেখলো ঘুরেফিরে। কখনও প্রবলভাবে, কখনও একটু আলগা করে। সাতবার! ইমরান তাহির ইতিহাস গড়েছেন। প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার হিসেবে নিয়েছেন ইনিংসে সাত উইকেট, স্বভাবতই আফ্রিকার ওয়ানডেতে সেরা বোলিং এখন তাঁর। ৪৫ রানে ৭ উইকেট, ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংকে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন তাহির একাই প্রায়! একই ম্যাচে আবার দ্রুততম দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার হিসেবে নিয়েছেন শততম উইকেট! 

     

    এর আগে ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে রানের পাহাড় গড়ার মূল কারিগর হাশিম আমলা। ২৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, সঙ্গে কুইন্টন ডি ককের ফিফটি(৭১), ফিফটি ছিল ফ্যাফ ডু প্লেসিরও(৭৩)। মাঝে ক্রিস মরিসকে তিন নম্বরের পাঠিয়ে একটা ‘জুয়া’ খেলেছিলেন অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। এর আগে সব ফরম্যাট মিলিয়ে শুধু একবার চার নম্বরে খেলেছিলেন মরিস, টি-টোয়েন্টিতে সেবার করেছিলেন শুন্য। এবার তিনে ‘প্রমোশন’ পেলেন, করলেন ২৬ বলে ৪০ রান! সব মিলিয়ে আফ্রিকার সংগ্রহটা ছিল ৩৪৩।

     

     

    লক্ষ্য বড়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছিল বড়সড়ই। ১১ ওভারে ১ উইকেটে ৭৭ রান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাহাড় ডিঙ্গার প্রস্তুতিটা ভালই নিয়েছিল। প্রথম উইকেটটা নিয়েছিলেন তাহিরই, ৯ম ওভারে। পরের উইকেট নিয়েছেন ২৩তম ওভারে, মারলন স্যামুয়েলসের উইকেটটা ছিল তাহিরের শততম ওয়ানডে উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে দ্রুততম একশ উইকেট নেয়ার রেকর্ডটা হয়েছিল তখনই। সব মিলিয়ে তাহিরের শত উইকেট এসেছে ৪র্থ দ্রুততম হিসেবে।

     

    ৩৪তম ওভারের তাহিরের ১০১তম উইকেট এসেছিল, সে ওভারেই এসেছে ১০২ ও ১০৩তম উইকেট! নিজের ৮ম ও ৯ম ওভারে আরও দুই উইকেট নিয়ে তাহির গড়েছেন ইতিহাস! মাঝে তাহিরের স্পিন বোলিংয়ের সঙ্গী তাবরাইজ শামসি নিয়েছেন দুইটি, ওয়েইন পারনেল একটি।

     

    ওপেনিংয়ে জনসন চার্লস করেছিলেন ৪৯, ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের কেউ আর পারেননি ৩০ এর কোঠা পেরুতেই! ইমরান তাহিরের স্পিনের কোনো জবাবই তো জানা ছিল না তাঁদের!

     

    তাহির সাধারণ লেগব্রেকে উইকেট নিয়েছেন, গুগলিতে উইকেট নিয়েছেন, সোজা বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেছেন, উইকেট পেয়েছেন লং-হপের মতো বলেও!

    দিনটা যে ছিল ইমরান তাহিরেরই! দিনটা যে ছিল তাঁর রেকর্ড গড়ার, ইতিহাস গড়ার!