ফাইনালে সেই চিলি-আর্জেন্টিনা

খেলার শুরুতেই চিলিয়ান বিদ্যুৎ চমক আর দ্বিতীয়ার্ধে বজ্রপাত; সবমিলিয়ে মহা দুর্যোগেই পড়ে গিয়েছিল কলম্বিয়া! মেক্সিকোর বিপক্ষে সাত গোলের ম্যাচটি যেখানে শেষ করেছিল ঠিক যেন সেখান থেকেই খেলা শুরু করেছিল ক্লডিও ব্রাভোর চিলি। শিকাগোর সোলজার ফিল্ডে ঝড়ের রাতে রদ্রিগেজের কলম্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ফলে আরো একবার শিরোপার জন্য মুখোমুখি আর্জেন্টিনা ও চিলি।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই চিলিয়ানদের গতির সামনে ভড়কে গিয়েছিল কোয়াদ্রাদো-ওসপিনারা। ম্যাচের মাত্র এগার মিনিটেই দুই গোল খেয়ে বসে কলম্বিয়া। খেলার সাত মিনিটের মাথায় প্রথম গোলের দেখা পায় লা রোজারা। সানচেজের জন্য বাড়ানো পেদ্রো ফুয়েঞ্জালিদার ক্রস ঠিকমত ক্লিয়ার করতে পারেন নি কোয়াদ্রাদো, বল গিয়ে পড়ে পোস্টের কাছেই দাঁড়ানো চার্লস আরাঙ্গুইজের কাছে। সেখান থেকে ট্যাপ-ইন করে চিলিকে এগিয়ে দিতে ভুল করেন নি এই লেভারকুসেন মিডফিল্ডার।
প্রথম গোলের চার মিনিট পরেই আসে দ্বিতীয় গোল। ক্লডিও ব্রাভোর দূরপাল্লার গোলকিক থেকে বল পান অ্যালেক্সিস সানচেজ। সেখান থেকে কাট-ব্যাক করে ডি বক্সের ভিতর ঢুকেই শট নিয়েছিলেন এই গানার স্ট্রাইকার। বল থামাতে ডেভিড ওসপিনা ঝাপিয়ে পড়লেও সাইডবারে লেগে বল চলে যায় পোস্টের অপর পাশে। আর সেখান থেকে কলম্বিয়ান ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে গোল ব্যবধান বাড়ান ফুয়েঞ্জালিদা। প্রথমার্ধে ব্যবধান কমানোর বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিলেন রদ্রিগেজ ও আরিয়াস। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পান নি কেউই।
দুই দল হাফটাইমে লকাররুমে যাওয়ার পরই শুরু বজ্রপাত। প্রবল বৃষ্টিতে গ্যালারি ছেড়ে আশ্রয় নিতে ছুটতে থাকে দর্শকরা। প্রায় দুই ঘন্টা যাবত বন্ধ থাকে খেলা। অবশ্য এই দীর্ঘ অপেক্ষার পর তেমন কোন চমকই দেখা যায় নি দ্বিতীয়ার্ধে। বরং ৫৬ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের ফলে কলম্বিয়াকে ১০ জনের দল করে মাঠ ছাড়েন কার্লোস সানচেজ। একজন কম নিয়েও দারুণ খেলেছিল কলম্বিয়া। তবে ক্লডিও ব্রাভোর দৃঢ়তায় গোলের দেখা পায় নি রদ্রিগেজরা। ফলে নিউ জার্সিতে আগামী রবিবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ সেই আগেরবারের চিলিই। এবারের গ্রুপ পর্বে হারের প্রতিশোধ কি চিলি নিতে পারবে?