• " />

     

    অটুট অস্ট্রেলিয়ার 'ফাইনাল-দুর্গ'

    অটুট অস্ট্রেলিয়ার 'ফাইনাল-দুর্গ'    

    টুর্নামেন্টের ফাইনাল কিংবা সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। গত পাঁচ বছরে এমন ১২ ম্যাচের মধ্যে ৯টিই জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই পরিসংখ্যানকে আরও নিজেদের করে নিল অজিরা, ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৫৮ রানে হারিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে দাপটের সাথে হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ পারলো না অস্ট্রেলিয়াকে চমকে দিতে। দুইয়ের বেশী দল অংশ নেয়া টুর্নামেন্টের ফাইনাল ক্যারিবীয়রা জিতেছিল শেষ ২০০৪ সালে। হলো না সেই খরা কাটাও। 

     

    এই বার্বাডোজেই এক বাঁহাতি উইকেটকিপারের বীরত্বে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে টানা তিন বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া, ২০০৭ সালে। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও তাঁর স্কোয়াশ বল তো এখন কিংবদন্তিই। ম্যাথু ওয়েডের ইনিংসটা গিলির মতো বড় নয়, তবে এই ম্যাচের প্রেক্ষিতে কম তাৎপর্যপূর্ণও নয়! ১৭৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বড় সংগ্রহের আশা মিলিয়ে যাচ্ছে যখন, গিলক্রিস্টের উত্তরসূরীর ৫২ বলে ৫৭ রানের ইনিংসটাও এলো তখনোই। 

     

     

    ২৭০, সঙ্গে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার অসাধারণ রেকর্ড। ক্যারিবীয়দের করতে হতো বেশী অসাধারণ কিছু। সেটা যে হয়নি, তার পেছনের কৃতিত্বের অনেকখানি মিচেল মার্শের। জশ হ্যাজলউডের শুরুর দিকের ধাক্কার পর ক্যারিবীয়দের স্বাচ্ছন্দ্যে রান করতে দেননি ছোট মার্শ, সঙ্গে নিয়েছেন উইকেটও। ১০ ওভার, ৩২ রান, ৩ উইকেট। এর আগে ব্যাটিংয়েও করেছিলেন ৩২ রান, ফাইনালসেরার পুরস্কারটা উঠেছে তাঁর হাতেই। 

     

    উইকেটসংখ্যায় কিন্তু হ্যাজলউডই এগিয়ে। স্টিভেন স্মিথের যখনোই দরকার হয়েছে, তিনি হ্যাজলউডকে বল দিয়েছেন। উইকেটও এসেছে। সব মিলিয়ে ৫টা। জেমস ফকনারের বদলে নামা অ্যাডাম জ্যাম্পাও নিরাশ করেননি, বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আগেই ফিরিয়েছেন পোলার্ডকে। তবে পোলার্ড নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আশাই বুক বেঁধেছিল রামদিন-হোল্ডারের জুটিতেই। সে জুটি বড় হয়নি, ব্র্যাথওয়েটও এক ছয় আর এক চারের বেশী কিছু মারতে পারেননি। 

     

    শেষের দিকে নারাইনও হয়ে উঠতে পারেননি ব্র্যাডশ বা ব্রাউন! এই দুজন এলেন কোথা থেকে? 

    ২০০৪ সালে শেষ যেবার 'ফাইনাল' জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নায়ক ছিলেন তো এই দুজনই! 

    বার্বাডোজে নতুন কোনো নায়ক দেখলো না ক্যারিবীয়রা। 

    অস্ট্রেলিয়া পেল সেই পুরোনো স্বাদ! 

    ফাইনালের।