• রিও অলিম্পিক ২০১৬
  • " />

     

    শেষ মুহূর্তের ডাইভে স্বর্ণজয়

    শেষ মুহূর্তের ডাইভে স্বর্ণজয়    

    ফিনিশিং লাইনের একেবারেই কাছে চলে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালিসন ফেলিক্স। সোনা জয়টা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু রেস শেষের ঠিক আগ মুহূর্তে শন মিলারের ঝাঁপ হিসাবটা উল্টে দিল। ফেলিক্সকে পিছনে ফেলে মেয়েদের ৪০০ মিটারের সোনা জিতলেন বাহামার ২২ বছর বয়সী এই দৌড়বিদ, সময় নিয়েছেন ৪৯.৪৪ সেকেন্ড। ফেলিক্সের টাইমিং ৪৯.৫১ সেকেন্ড।

    দৌড়ের শুরুতে অবশ্য এগিয়ে ছিলেন শন। কিন্তু শেষের দিকে এসে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন ফেলিক্সের কাছে। একদম শেষ মুহূর্তে দেয়া তাঁর ডাইভের কল্যাণেই জিতে নেন নিজের অলিম্পিক ক্যারিয়ারের প্রথম সোনা। এভাবে ঝাঁপটা যদি না দিতেন, তাহলে শনের সোনা জেতার স্বপ্ন অধরাই রয়ে যেত।
     


    নিজের এই জয়ে উল্লসিত শন, “আমার মাথায় শুধু জয়ের চিন্তাই ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমি ঝাঁপ দেয়ার পর বুঝতে পারিনি যে সোনা জিতেছি কিনা। এরপর আমি আমার মায়ের চিৎকার শুনতে পাই, তখনই বুঝে যাই যে সোনা আমারই!”

    আনন্দের পাশেই থাকে বেদনার দৃশ্য। অল্পের জন্য সোনা ফসকে যাওয়াতে হতাশ ফেলিক্স, “আমি আমার সবটুকুই দিয়েছি, এর বেশি আমার পক্ষে করা সম্ভব ছিলনা। আমার দুর্ভাগ্যই এটা, শনকে অভিনন্দন।”

    শেষ মুহূর্তে ঝাঁপ দিয়ে পদক জয়ের ঘটনা অবশ্য এটিই প্রথম না। ২০০৮ অলিম্পিকে ছেলেদের ৪০০ মিটারে ডেভিড নেভিল ঝাঁপ দিয়ে ০.০০৪ সেকেন্ডের ব্যবধানে ব্রোঞ্জ জেতেন।

    ঝাঁপ দেয়া নিয়ে দর্শকদের মাঝে স্বাভাবিকভাবেই অনেক প্রশ্ন জেগেছে এর বৈধতা নিয়ে। কিন্তু এটি অলিম্পিকের আইনে পুরোপুরি বৈধ। অ্যাথলেটদের শরীরের যেকোনো অঙ্গ (হাত, পা, ঘাড়, মাথা) ফিনিশিং লাইন আগে স্পর্শ করলেই তিনি বিজয়ী ঘোষিত হবেন।