• রিও ২০১৬
  • " />

     

    রিওর দর্শকদের নাৎসিদের সঙ্গে তুলনা!

    রিওর দর্শকদের নাৎসিদের সঙ্গে তুলনা!    

    এমন ‘অভ্যর্থনা’ যে তিনি এক জীবনে এতদিন পান নি সেটা তাঁর প্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট। গত অলিম্পিকের সোনাজয়ী পোল ভোল্টার রেনো ল্যাভেলিনে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন ব্রাজিলের দর্শকদের। তুলনা দিতে গিয়ে এই ফরাসী ক্রীড়াবিদ প্রসঙ্গ টেনেছেন ১৯৩৬ সালের অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্রের এক অ্যাথলেটের সাথে জার্মানদের করা আচরণের।

     

     

    পোল ভল্টের এই ইভেন্টে ল্যাভেলিনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে ছিলেন ব্রাজিলের একজন প্রতিযোগীও। থিয়াগো ডা সিলভা শেষ পর্যন্ত জিতে গিয়ে চলতি অলিম্পিকে স্বাগতিকদের এনে দিয়েছেন দ্বিতীয় স্বর্ণও। তবে ইভেন্ট শুরুর আগে সিলভাকে সমর্থন দিতে গিয়ে তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ল্যাভেলিনের প্রতি বিরূপ হয়ে ওঠে গ্যালারি। প্রস্তুতি নেয়ার সময় বড় পর্দায় ল্যাভেলিনকে দেখাতেই দুয়ো ভেসে আসতে থাকে। ল্যাভেলিনে প্রথমে আঙ্গুল নাড়িয়ে এবং পরে বৃদ্ধাঙ্গুলির ইশারায় দর্শকদের চুপ করতে বললে আরও বেড়ে যায় দুয়োর মাত্রা।

     

    এর আগে ১৯৩৬ সালে নাৎসি শাসনামলে বার্লিনে অনুষ্ঠিত ১৯৩৬ সালের অলিম্পিকে গ্যালারিভর্তি দর্শক দুয়ো দেন মার্কিন দৌড়বিদ জেসে ওয়েন্সকে। ওয়েন্স অবশ্য ওই প্রতিকূল পরিবেশেই জিতে নিয়েছিলেন সোনা।

     

    খেলা শেষে ল্যাভেলিনে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রসঙ্গ টানেন ওই ঘটনার, “১৯৩৬ সালে জেসে ওয়েন্সের সাথে বার্লিনের দর্শকরা যেমন করেছিল, আজকে আমার প্রতি রিওর দর্শকদের আচরণ ছিল তেমনই। এ যাবত যতোগুলো দেশে খেলতে গিয়েছি, কোথাও দর্শকদের কাছ থেকে এমন আচরণ পাই নি। এমন নোংরা অভিজ্ঞতা আমার জন্য প্রথম।”

     

    ল্যাভেলিনে মানছেন যে নিজ দেশের প্রতিযোগীর প্রতি সমর্থন থেকেই তাঁর প্রতি বিরূপ হয়েছেন দর্শকরা, “আপনার দেশের খেলোয়াড়কে আপনি সমর্থন দেবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে তো আপনি অন্য প্রতিযোগীদের অসম্মান করতে পারেন না। কাউকে আপনার পছন্দ না হলে তাঁকে এড়িয়ে যান, অপমান করা কেন?”


    অলিম্পিকের মতো আসরে এমন আচরণ কোনো যুক্তিতেই মানতে পারছেন না ফরাসী পল ভোল্টার, “এটা তো ফুটবল নয়, অলিম্পিক গেমস। খেলাধুলার মাধ্যমে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাই এর উদ্দেশ্য। এখানেই যদি এমন অসম্মান পেতে হয়, তাহলে আর কোথায় গেলে আমরা সম্মান পাবো?”