• রিও ২০১৬
  • " />

     

    ভারতকে প্রথম পদক উপহার দিলেন সাক্ষী

    ভারতকে প্রথম পদক উপহার দিলেন সাক্ষী    

    গত ঈদে রূপালি পর্দায় ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের কুস্তিগির ‘সুলতান’ জিতেছিলেন অলিম্পিক পদক। সালমান খানের এই সিনেমায় করা কীর্তিকে  বাস্তবে রূপান্তরিত করলেন সাক্ষী মালিক। রিও অলিম্পিকে মেয়েদের ৫৮ কেজি কুস্তিতে ব্রোঞ্জ জিতে ভারতকে উপহার দিলেন প্রথম পদক, পুরো দেশকে আনন্দের বন্যায় ভাসিয়ে নিজেও স্থান করে নিলেন রেকর্ডবুকে। ভারতের ইতিহাসের প্রথম নারী হিসাবে কুস্তিতে পদক জিতলেন তিনি।

     

    সাক্ষীর অলিম্পিকে আসার রাস্তাটা কিন্তু একেবারেই সহজ ছিলনা। ভারতের অন্যতম রক্ষণশীল রাজ্য হরিয়ানার মোখরা গ্রামে  জন্ম নেয়া এই কুস্তিগিরের  ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নানান বাধা আসতে থাকে। মাত্র ১২ বছর বয়সেই ‘ছোটুরাম স্টেডিয়ামে’ ইস্বার দাহিয়ার থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া শুরু করেন। গ্রামবাসীদের বহু ব্যাঙ্গ বিদ্রূপও  তাঁর অদম্য ইচ্ছাকে দমাতে পারেনি।

     

    পদক জয়ের পর নিজের দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান তাঁর পাশে থাকার জন্য, “কখনোই ভাবিনি পদক জিতব, তাও আবার প্রথম মেয়ে হিসাবে! আশা করি অন্যরাও ভাল করবে। আমার ১২ বছরের সাধনার ফল এটি, নিজের সবটুকু দিয়েছি আমি।”

     

    মেয়ের এই অর্জনে খুশি বাবা সুখভির মালিক, “আমার মেয়ের নাম পুরো ভারত জানবে, এর চেয়ে বেশি খুশির খবর আর কি হতে পারে?  আমাদের বাড়ির পাশে সারারাত উৎসব চলছিল। সাক্ষী খুবই পরিশ্রমী মেয়ে, সে আমাকে বলেছিল এবার কিছু করে দেখাবেই।”

     

    ভারতে কুস্তি জনপ্রিয় হয় বিংশ দশকের মাঝের থেকে। ২০০২ এর আগে হরিয়ানাতে মেয়েরা ছেলেদের সাথে প্রশিক্ষণ নিতে পারতোনা। সেই রাজ্য থেকেই উঠে এসে পদক জয় করে সাক্ষী প্রমাণ করে দিয়েছেন মেয়েরা চাইলে সবই পারে।

     

    সাক্ষীর জয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের টুইটে সাক্ষীকে “ভারতের মেয়ে” বলেছেন।

     

     প্রথমে ৫-০ তে পিছিয়ে থাকলেও শেষের দিকে দারুণ খেলে কিরগিজিস্তানের আইসুলু তাইনাইবেকরোভাকে ৮-৫ এ হারান সাক্ষী। তিনি ভারতের ইতিহাসের চতুর্থ মহিলা অ্যাথলেট যিনি পদক জিতেছেন, কুস্তিতে এর আগে মাত্র চার জন প্রতিযোগীই জিতেছিল পদক। অলিম্পিকে ভারতের সর্বমোট পদকের সংখ্যা ২৫ টি।