• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান
  • " />

     

    অভিজ্ঞতাই জয় এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে

    অভিজ্ঞতাই জয় এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে    

    একটা সময় তীরে এসে তরী ডোবার ব্যাপারটা বাংলাদেশের কাছে নিয়মিতই ছিল। ২০১৪ সালে কম ম্যাচ তো মুঠো গলে বের হয়ে যায়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের সঙ্গে ম্যাচটা তো সবচেয়ে টাটকা উদাহরণ। ছয় মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে বাংলাদেশ এবার দেখল মুদ্রার উল্টো পিঠ। যে ম্যাচটা অনেক আগেই আফগানিস্তানের হাতের মুঠোয় চলে আসতে পারত, সেটাই বাংলাদেশ শেষ মুহুর্তে এসে লুফে নিল।

    অথচ আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটা এত কঠিন করে জেতার কথা তো ছিল না বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটি-বোলিং না হোক, ফিল্ডিংটা একেবারেই ভুলে যেতে চাইবে বাংলাদেশ।ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক সাকিব আল হাসান আবার মনে করিয়ে দিলেন, “অনেক দিন পর আসলে আমরা ওয়ানডে খেললাম। কাজটা সবার জন্য কঠিন ছিল। সবার শরীরী ভাষায় সেটা বোঝা গেছে। আজকে আমাদের ফিল্ডিং ততটা ভালো হয়নি। এই জিনিসগুলো ঠিক হয়ে যাবে। আসলে ১০ মাস ওয়ানডে না খেলার কারণেই এই ব্যাপারগুলো হয়েছে। ’

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ক্রিকেটাররা যে একদম খেলার মধ্যে ছিলেন না, তাও নয়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন সবাই, সাকিবরা তো আইপিএল-সিপিএলেও খেলে এসেছেন। এরপর অনুশীলন ম্যাচও কম হয়নি। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপ যে একেবারেই অন্যরকম, সাকিব সেটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন, “আপনি যতই ফিটনেস ট্রেনিং করুন, ম্যাচ ফিটনেসের ব্যাপারটা অন্যরকম। মাঠে চাইলেও অনেক সময় শরীর সাড়া দিতে চায় না।”

    সাকিব স্বীকার করে নিলেন, বাংলাদেশ প্রায় হারা ম্যাচটাই জিতে গেছে, “শেষদিকে যে পরিস্থিতি ছিল, তাতে ওদের জেতা উচিৎ ছিল। অভিজ্ঞতার ঘাটতীর কারণেই ওরা পারেনি।”আর বাংলাদেশ এরকম স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচ কম খেলেনি। সেই অভিজ্ঞতাও কাজে এসেছে বলে মনে করছেন সাকিব, “এরকম ওয়ানডে আমরা অনেক খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে এসেছে। আর যেহেতু অনেক দিন পর খেললাম, আশা করি দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে সবকিছু আরু ভালো হবে। ” 

    রাজ্জাককে পেরিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড গড়েছেন, সঙ্গে ম্যাচসেরা, সামনের ম্যাচেও এমন সাকিবকেই চাইবে বাংলাদেশ।