• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান
  • " />

     

    এবার ম্যাচ বাঁচাতে পারল না বাংলাদেশ

    এবার ম্যাচ বাঁচাতে পারল না বাংলাদেশ    

    আগের ম্যাচটা হাতের মুঠোয় এনেও ছেড়ে দিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে এবার সেই সুযোগ আর হাতছাড়া করল না । বাংলাদেশের ২০৮ রান তাড়া করে শেষ পর্যন্ত জিতেছে ২ উইকেট ও ২ বল হাতে রেখে। এই জয়ে সিরিজে ১-১ ব্যবধানেও সমতা আনল আফগানরা।

    বাংলাদেশের ২০৮ রান তাড়া করে একটা সময় ম্যাচটা আফগানরা সহজেই জিতে যাবে বলে মনে হচ্ছিল। ৬৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর একটু একটু করে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ নবী ও আসগর স্টানিকজাই। পঞ্চম উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন ১০৭ রান। কিন্তু এর পর নবীকে আউট করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন মাশরাফি। আফগানিস্তানের সামনে তখনও সহজ সমীকরণ, ১১ ওভারে তখন দরকার মাত্র ৩৯ রান। এক ওভার পর মোসাদ্দেককে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয়ে গেলেন স্টানিকজাই। ১৭৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন একটু বেপথু আফগানিস্তান।

    রশিদ খান ও নাজিবুল্লাহ জাদরান এরপর একটু একটু করে আফগানদের লক্ষ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নিজের শেষ ওভারে আবারও আঘাত হানলেন সাকিব, ফিরিয়ে দিলেন রশিদ খানকে। এর আগে নিজের প্রথম স্পেলেই নিয়েছিলেন তিন উইকেট। মিরপুরে ১০০ উইকেটও হয়ে গেল বাংলাদেশ অলরাউন্ডারের, মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এক ভেন্যুতে ১০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও হয়ে গেল। এর আগে এই  কীর্তি ছিল শুধু ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসের। ওই দু'জনেরই রেকর্ড ছিল শারজায়। 

    কিন্তু ৪৭তম ওভারে এসে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে স্টাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন মুশফিক। তখনও আফগানদের ২০ বলে দরকার আরও ১৪ রান। শেষ দুই ওভারেও বাংলাদেশের জয়ের আশা জেগে ছিল। দুই ওভারে দরকার ছিল ১১ রান, বল পেলেন এর আগে দুই উইকেট নেওয়া মোসাদ্দেক হোসেন। কিন্তু আশরাফ ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছয় মেরে ম্যাচটা আফগানদের হাতের মুঠোয় নিয়ে এলেন। নাজিবুল্লাহজাদরান তাসকিনের শেষ ওভারে আউট হয়ে গেলেও ম্যাচটা আর মুঠো গোলে বেরিয়ে যেতে দেয়নি আফগানিস্তান। দৌলত জাদরান চার মেরে আফগানিস্তানকে দিয়ে রেখেছেন স্মরণীয় এক জয়। ব্যাট হাতে ৪৫ ও বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার পরও শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারলেন না মোসাদ্দেক। শততম জয়ের জন্য অপেক্ষাটা আরেকটু বাড়ল বাংলাদেশের।