• বাংলাদেশ-আফগানিস্তান
  • " />

     

    ২২ গজের সেলুলয়েডঃ ফ্লাডলাইট ওয়ানডে আর সাকিবের হতাশা

    ২২ গজের সেলুলয়েডঃ ফ্লাডলাইট ওয়ানডে আর সাকিবের হতাশা    

    শাহজাদ আর আম্পায়ার

    মুশফিক-রিয়াদের জুটিতে রান-আউটের আবেদন হলো একটা। স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো আম্পায়ার আনিসুর রহমান টিভি আম্পায়ারের দ্বারস্থ হলেন। এর মাঝেই তাঁর সংগে মজা শুরু করে দিলেন আফগান উইকেটকিপার মোহাম্মদ শাহজাদ। ঘাড়ে হাত দিয়ে হাসিমুখে কী যেন বলছিলেন তাঁকে। সেই শাহজাদকেই দেখা গেল ভিন্নরুপে, আফগান ইনিংসের ১৪তম ওভারের শেষ বলে ওয়াইডের সিদ্ধান্তটা যখন ফিরিয়ে নিলেন  সেই আনিসুর রহমানই! এবার আর শাহজাদ ‘মজা’ করছিলেন না, এটা অন্তত নিশ্চিত!

     

    প্রিয় যখন অপ্রিয়

    এই সুইপ বা আরও নির্দিষ্ট করে বললে স্লগ সুইপে মুশফিকুর রহিমের সুখস্মৃতি কম নেই! সেই সুইপটাই যেন কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে এখন! প্রথম ওয়ানডেতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে হয়েছিলেন বোল্ড। এবার আবার সুইপ করতে গেলেন বলটা রাখতে চেয়েছিলেন নীচের দিকেই! বল উঠে গেল, হলেন ক্যাচ!

     

    ‘মেইডেন-ফ্যাক্টর’

    প্রথম ওয়ানডেতে দুই ইনিংস মিলিয়েও ছিল না কোনো মেইডেন। দ্বিতীয় ওয়ানডের প্রথম ইনিংসেই সেখানে আফগান বোলাররা করলেন ছয়টি মেইডেন। মোহাম্মদ নবী একাই করেছেন তিনটি, একটিতে আবার উইকেটও আছে! দাওলাত জাদরান করেছেন একটি, রশিদ খান দুইটি। বাংলাদেশ ইনিংসে একমাত্র মেইডেনটি মোসাদ্দেকের, তাতে অবশ্য পেয়েছেন উইকেটও। 
     

    ফ্লাডলাইট ম্যাচ

    দিবা-রাত্রির ম্যাচ, পড়ন্ত বিকেল বা প্রথম ইনিংসের শেষের দিকেই জ্বলে ওঠে ফ্লাডলাইট। এদিন মিরপুরের আকাশে মেঘ ছিল ম্যাচের আগে থেকেই, ফ্লাডলাইটও তাই জ্বালানো হলো ম্যাচের আগেই। সেই যে জ্বললো, নিভলো কখন, কে জানে! দ্বিতীয় ওয়ানডেটাকে তাই দিবা-রাত্রির না বলে ‘ফ্লাডলাইট’ ওয়ানডেও বলা যায়!

     

    এলবিডব্লিউ জোড়া জোড়া

    ৩২, ৩৩, ৩৪- তিন ওভারের মধ্যেই তিন রানের ভেতর তিন উইকেট নেই বাংলাদেশের। ৩২তম ওভারের শেষ বলে আউট হলেন সাকিব, নবীর বলে এলবিডব্লিউ। ৩৩তম ওভারের প্রথম বলেই গেলেন সাব্বির, তিনিও এলবিডাব্লিউ, এবার বোলার রাশিদ। সেই রাশিদই আবার জোড়া আঘাত হানলেন, ৪৩তম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে এলবিডব্লিউ তাইজুল ও তাসকিন! এক ওয়ানডে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি এলবিডব্লিউ (৮টি) হবার রেকর্ডও হল এই ম্যাচে। 

     

    আহা, সাকিব!

    ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন তখন মোহাম্মদ শাহজাদ। টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলটা খেলতে গিয়ে ক্যাচ হলেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। এলেন মোহাম্মদ নবী। প্রথম বলটা ড্রিফট করে ভেতরের দিকে ঢুকলো, ছিল বাউন্সও। একটুর জন্য আউটসাইড এজ হলো না। নবী হতবাক, আর সাকিব পুড়লেন হতাশায়। এতোটাই যে, মাথায় হাত দিয়ে পিচের উপর গড়িয়েই পড়লেন!