নিজেদের ভাগ্যবান মানছেন মাশরাফি
প্রায় বছরখানেক পর মিরপুরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে প্রত্যাশার চাপটা বরাবরের মতোই আকাশচুম্বী। প্রথম ম্যাচে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও কালকের ম্যাচে শেষরক্ষা হয়নি। ২ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আফগানরা, সিরিজে এখন ১-১ এ সমতা। সিরিজ জয়ের সুযোগ যদিও থাকছে, কিন্তু এই ব্যাপারটায় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি নিজেদের ‘সৌভাগ্যবান’ মানছেন।
গতকালের ম্যাচশেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যাচের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন ম্যাশ। এই সিরিজে নিজেদের খারাপ খেলার ব্যাপারটা স্বীকার করে নিয়েছেন, “আমরা গত দুই ম্যাচে খুবই বাজে ক্রিকেট খেলেছি। প্রথম ম্যাচে ভাগ্যক্রমে জিতেছিলাম, না হলে আমরা আজ সিরিজ হেরে যেতাম। আমরা খুবই সৌভাগ্যবান, এখনো সিরিজ জয়ের আশা আছে। যদি আমরা নিজেদের ভুল থেকে শিখতে পারি তাহলে সিরিজ জিততে পারব।”
দলের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা সবাই শুরুর পর খেই হারিয়ে ফেলেছেন। মিডল অর্ডার আফগান স্পিনারদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল। স্কোরটা ২৩০-২৪০ এর ঘরে আশা করেছিলেন মাশরাফি, “আমাদের প্রথম চারজন ব্যাটসম্যান ২০ রানের বেশি করেছে, কিন্তু ৩৮ রানের আগেই আউট হয়ে গিয়েছে সবাই। উইকেট ২৩০-২৪০ রানের জন্য ভালো ছিল, কিন্তু আমরা দুর্ভাগ্যবশত সেট হওয়ার পরেই আউট হয়েছি। ওয়ানডেতে সেট হওয়ার পর আউট হওয়া উচিত না। আমাদের বোলররা ভালো বল করেছে। যদিও আমরা আরেকটু আক্রমণাত্মক হয়ে রানে গতি কমাতে পারতাম। শুধুমাত্র একটি বিভাগকে দোষ দিতে পারেন না আপনি। পুরো দলকেই দোষ দিতে হবে। ”
ম্যাচে অনেকগুলো সুযোগ হাতছাড়া করেছেন মুশফিক। ৪৭ ওভারের সময়ে মোসাদ্দেকের বলে নাজিবুল্লাহর স্ট্যাম্পিং মিস করেন, আফগানদের তখন দরকার ছিল ১৩ রান। হয়ত এই আউটটি হলে খেলার ফলাফল অন্যরকম হতে পারত। এই মিসের জন্য শুনতে হচ্ছে অনেক সমালোচনা। কিন্তু নড়াইল এক্সপ্রেসকে পাশে পাচ্ছেন মুশফিক, “যদি এই ম্যাচের জন্য তাঁকে দোষারোপ করা হতে থাকে তাহলে ব্যাপারটা কঠিন হবে। হয়ত আমরা একটি সুযোগ হারিয়েছিলাম কিছু এটা ক্রিকেটে হয়। কিপিং অথবা ক্রিকেট নিয়ে তার কোন সমস্যা কখনোই দেখিনি আমি। আমার মনে হয় না শুধুমাত্র তাকেই দোষ দেয়া ঠিক হবে। সে অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে অনেক ভালো ক্যাচ ধরেছে। আমার মনে হয় না ওই স্ট্যাম্পিং মিসের পর আমরা খেলায় হেরে গিয়েছি। আমাদের আরও আগেই ভালো করা উচিত উচিত।”
নবাগত মোসাদ্দেকের দারুণ ব্যাটিং-বোলিং এই ম্যাচে বাংলাদেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিক। মাশরাফি প্রশংসা করেছেন এই তরুণের, “যখন আমি তাকে বোলিংয়ে আনি তখন আমি মাহমুদুল্লাহকে বোলিং দেয়ার ব্যাপারে ভেবেছিলাম প্রথমে। কিন্তু তারপর ভাবলাম যেহেতু সে ব্যাটিংয়ে ভালো করেছে তাই সে আত্মবিশ্বাসী থাকবে। আমার মনে হয় আগে যখন তাকে দেখেছিলাম তার চেয়ে সে অনেক ভালো বল করেছে। ব্যাট হাতে দারুণ ইনিংস খেলেছে, যদি অন্যরা তাকে সাহায্য করতে পারত তাহলে হয়ত ম্যাচটা জিতে যেতাম।”