জাভেদ ওমরদের পাশে ল্যাথামও
কীর্তিটা অসামান্য। এতই অনন্য যে ৩ হাজার ৭৯৫ ওয়ানডেতে ঘটেছিল মাত্র নয়বার। আজকের ম্যাচে আগাগোড়া ব্যাট করে দশম ব্যাটসম্যান ও প্রথম কিউই হিসেবে ‘ক্যারিইং দ্য ব্যাট থ্রু দ্য ইনিংসের’ গৌরব অর্জন করেছেন টম ল্যাথাম। ভারতের বোলিং আক্রমণের সামনে দলের বিপর্যয়ের দিনে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ২৪ বছর বয়সী ওপেনার।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ওপেনারদের জন্য সম্মানজনক এই তালিকায় আছেন এক বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানও। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের হারারেতে বাংলাদেশের ইনিংসের আগাগোড়া ব্যাট করে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন জাভেদ ওমর। এ ইনিংস খেলার জন্য ৮৬ বল খেলেন তিনি। অবশ্য তাতেও বিপর্যয় এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৩১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১০৩ রানে।
আজ ধর্মশালায় ৬৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর মনে হচ্ছিল লজ্জায় ডুবতে হবে নিউজিল্যান্ডকে। কিন্তু কিউইদের হয়ে এক প্রান্তে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ছিলেন টম ল্যাথাম। বোলিং প্রান্তে দাঁড়িয়ে যতটা অসহায় ভাবে দেখেছেন সতীর্থদের আসা-যাওয়া ঠিক ততটাই সাবলীলতা ফুটিয়ে তুলেছেন নিজের ব্যাটিংয়ে। পিচে যে কোনো জুজু বুড়ি লুকিয়ে ছিল না তার প্রমাণ দিয়েছেন ডগ ব্রেসওয়েলের সঙ্গে ৪১ ও টিম সাউদির সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়ে। দলের প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের লজ্জা দেয়ার মতো ব্যাট করেছেন দশ নম্বরে নামা পেসার টিম সাউদি। ৪৫ বলে ৫৫ রান করার পথে মেরেছেন ছটি চার ও তিনটি ছক্কা। এটাই ওয়ানডেতে তাঁর সর্বোচ্চ রান।
৯৮ বলে ৭৯ রান করার পথে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন ল্যাথাম। তাঁর ও সাউদির ব্যাটিং দেখে এক সময় আশা জাগছিল যে নিউজিল্যান্ড দুইশো পার করতে পারবে। কিন্ত সাউদি ও একাদশ ব্যাটসম্যান ইশ সোধিকে দ্রুত ফিরিয়ে দিয়ে ১৯০ রানেই সফরকারীদের বেঁধে ফেলেন অমিত মিশ্র।
ক্যারিং থ্রু দ্য ইনিংসের একটা অদ্ভুত ব্যাপার আছে। এর সাথে জড়িয়ে আছে সংশ্লিষ্ট দলের পরাজয়। একমাত্র ব্যতিক্রমটি ঘটেছিল প্রথমবার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের ইনিংসজুড়ে ব্যাট করার দিনে জিতে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয়বার এই কীর্তিটা সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই করেছিলেন সাঈদ আনোয়ার। সে ম্যাচটি হয়েছিল টাই। এছাড়া বাদবাকি সাতবারই কীর্তিটি গড়া ব্যাটসম্যানের দল ছিল পরাজিতের কাতারে। টম ল্যাথামের ক্ষেত্রেও সেটির ব্যতিক্রম হয়নি। ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ভারত পেয়ে গেছে ৬ উইকেটের সহজ জয়।