স্টার্ক-হ্যাজলউডের পর ওয়ার্নার
স্কোর-
দক্ষিণ আফ্রিকা- ২৪২ ( ডি কক- ৮৪, স্টার্ক ৪/৭১)
অস্ট্রেলিয়া- ১০৫/০ ( ওয়ার্নার ৭৩*)
পার্থে প্রথম দিনে ছিল অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলারদের রাজত্ব। স্টার্ক-হ্যাজেলউডের বোলিং তান্ডবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৪২ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে দুর্দান্ত সূচনা করেছে অজিরা। ডেভিড ওয়ার্নারের মারকুটে ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেটে ১০৫ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে স্মিথের দল।
টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফাফ ডুপ্লেসিস। তবে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মিচেল মার্শের দারুণ এক ক্যাচে আউট হন স্টেফান কুক। গত বছর থেকে এই পর্যন্ত ১৯ বার নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট পেলেন মিচেল স্টার্ক। তবে আফ্রিকার জন্য বড় ধাক্কা ছিল আমলার উইকেট, চতুর্থ ওভারে জস হ্যাজেলউডের বলে শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। এলগার ও ডুমিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
ডুপ্লেসিস-বাভুমা জুটি প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলান। তবে দলের সেরা ইনিংসটি খেলেন কুইন্টন ডি কক। স্টার্ক, হ্যাজেলউড,সিডলদের বিপক্ষে বুক চিতিয়ে ব্যাট করেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। যদিও ভাগ্য সহায় ছিল তার, দুইবার নিশ্চিত রানআউট থেকে বেঁচে গিয়েছেন। তাঁর বিপক্ষে নেয়া অজিদের দুটি রিভিউই বিফলে গিয়েছে। ৮৪ রান করে হ্যাজেলউডের বলে আউট হলে দক্ষিণ আফ্রিকার বড় সংগ্রহের আশাও শেষ হয়ে যায়। ২৪২ রানে থামে আফ্রিকার ইনিংস। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরে ৭১ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার। মাত্র ৩৯ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। স্টেইন, ফিল্যান্ডার, রাবাদাদের হতাশ করে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন ওয়ার্নার। ছক্কা মারার পর তো ভারসাম্য হারিয়ে চিৎপটাং হয়ে শুয়েই পড়েছিলেন ! দিনশেষে ওয়ার্নার অপরাজিত আছেন ৭৩ রানে, ১৩ টি চার এবং একটি ছক্কা মেরেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। শন মার্শ করেছেন ২৯ রান।