ডু প্লেসির আপিলে হতাশ আইসিসি
এই সপ্তাহের শুরু থেকেই ‘ললিগেট’ বিতর্ক নিয়ে চাপের মাঝে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। গত ম্যাচের পুরো ম্যাচ ফি জরিমানার আদেশ শোনানো হয়েছিল তাঁকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে অবশ্য আপিল করেছেন সাথে সাথেই। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি হতে পারেননি আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড রিচার্ডসন। একই সাথে বলেছেন, বল টেম্পারিং নিয়ে ক্রিকেটারদের সবসময় নজরদারিতে রাখাও সম্ভব নয়।
আইসিসির নিয়ম অনুসারে বহিরাগত কোন বস্তু দিয়ে বলের ঔজ্জল্য বাড়ানো যাবে না। শুনানির সময় দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, লিপ বাম, মিষ্টি জাতীয় জিনিসই শুধু এই তালিকায় পড়ে। ডু প্লেসিকে যেই কারণে জরিমানা করা হয়েছে সেটা বহিরাগত কিছু নয়। কিন্তু এটিকে মেনে নিতে পারেননি রিচার্ডসন, “মিন্ট, মিষ্টি, লিপ বামের ব্যাপারে আগেও কথা হয়েছে। লিপ বাম, সানস্ক্রিন আমরাও ব্যাবহার করেছি। আমরা বুঝি এইগুলো বলের সাথে লেগে যেতে পারে। একারনেই আমরা ঢালাওভাবে ক্রিকেটারদের দোষী সাব্যস্ত করিনা। নির্দিষ্ট কারণ থাকলেই কেবল মাত্র আমরা এরকম সিদ্ধান্ত নেই। যদি কেউ এরকম কাজ করতে গিয়ে আমাদের চোখে ধরা পড়ে তাহলে আমরা তাঁকে ফাফের মতই দোষী মানবো।”
অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্মিথ বলেছিলেন, ডু প্লেসির মতো তাঁরাও একইভাবে বলের ঔজ্জল্য বাড়ান। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাহী হারুন লরগাতও ডু প্লেসির পক্ষই নিয়েছেন। সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার রিচার্ডসন কিন্তু দুজনের সাথেই একমত নন, “ আমার মতে মন্তব্যগুলো সঠিক নয়। তবে আমি নিজের কথা বলতে পারি। আমি উইকেটকিপার ছিলাম, ৩০ বছর ধরে আমি লিপ আইস এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করেছি, কিন্তু কখনোই সেটা বলে লাগাইনি!”
অধিনায়কের পক্ষ নিয়ে কথা বলেছিলেন দলের সিনিয়র সদস্য হাশিম আমলাসহ অনেকেই। এতে খুবই হতাশ রিচার্ডসন, “আমি খুবই হতাশ। দক্ষিণ আফ্রিকানরা আইনকে সম্মান করে না। তাঁরা শুরুতে যেরকম মন্তব্য করেছেন সেটা একেবারেই হাস্যকর।”