ব্যাট হাতেই জবাব দিলেন ডু প্লেসি
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫৯/৯ ডিক্লে ( ডু প্লেসি ১১৮*, হ্যাজলউড ৬৮/৪)
অস্ট্রেলিয়া ১৪/০ ( রেনশো ৮* )
ব্যাটিং করতে নামার সময় পুরো স্টেডিয়াম দুয়োধ্বনিতে মুখরিত। ‘ললিগেট’ বিতর্কের পর ব্যাপারটা অনুমেয়ই ছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি জবাবটা ব্যাট হাতেই দিয়েছেন। তাঁর ১১৮ রানের হার না মানা ইনিংসে নিজেদের প্রথম দিবা রাত্রির টেস্টে মোটামুটি সম্মানজনক একটা স্কোর করেছে দল। প্রথম দিন শেষে ২৪৫ রানে পিছিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া দলে নতুন মুখের ছড়াছড়ি। ১৯৮১ সালের পর এই প্রথম একইসাথে ৩ জন ক্রিকেটারের মাথায় উঠলো ‘ব্যাগি গ্রিন’। দলের সর্বজ্যেষ্ঠ খেলোয়াড় ডেভিড ওয়ার্নারের বয়স ৩০! শেষ পাঁচ টেস্ট ও ওয়ানডে হেরে যথেষ্ট চাপের মুখে আছে অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। টসের আগে তাই ‘সৌভাগ্যের ছোঁয়া’ পাওয়ার কথাই বললেন।
টসে জিতে ব্যাটিং নেয়ার সিদ্ধান্তটা একেবারেই পক্ষে যায়নি ডু প্লেসির। শুরু থেকেই স্টার্ক-হ্যাজলউডের গতি,সুইংয়ে নাকাল দুই ওপেনার। তৃতীয় ওভারেই স্টার্কের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন স্টেফেন কুক। কিন্তু মাঠের বাইরের যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে আম্পায়ার ডেকে পাঠান, রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি নো ছিল!
ডিন এলগারকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং বিপর্যয়ের সূচনা করেন সেই স্টার্কই। ঘরের বাইরে গত ৭ টেস্টের মতো এবারো উদ্বোধনী জুটি ৫০ পেরোতে পারেনি। কিছুক্ষণের মাঝে আমলাকে ফেরান হ্যাজলউড। এই সিরিজে চতুর্থবারের মতো আমলাকে আউট করলেন তিনি। ডুমিনি, ডি কক ফিরে গেলে দারুণ বিপদে পড়ে প্রোটিয়ারা। তখনই দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ডু প্লেসি। অন্য প্রান্তে যখন অন্য ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়া চলছিল, বুক চিতিয়ে একাই লড়ে গিয়েছেন। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। এই অ্যাডিলেডেই অভিষেকে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এক উইকেট হাতে রেখে সবাইকে অবাক করেই ২৫৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন তিনি।
ইনজুরির কারণে বেশ কিছুক্ষণ মাঠের বাইরে থাকায় ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি ওয়ার্নার। উসমান খাজা এবং নবাগত ম্যাট রেনশো ধীর গতিতেই শুরু করেন। ৭তম ওভার পর্যন্ত দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি! কোন বিপদ ছাড়াই বাকি সময়টা পার করে দিয়েছেন দুজন।