আইসিসির রায়ে হতাশ ডু প্লেসি
ললিগেট বিতর্ক নিয়ে অনেকদিন ধরেই সরগরম ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সংবাদমাধ্যমগুলো। অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজের হোবার্ট টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে পুরো ম্যাচ ফি জরিমানা করা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে। এরপর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন তিনি। তবে এবার সেই আপিল নাকচ করে দিয়েছেন আইসিসির বিচার বিভাগীয় কমিশনার মিচেল বেলোফ।
গত সোমবার দুবাইতে অনুষ্ঠিত হয় ডু প্লেসির শুনানি। ভিডিও কনফারেন্সে প্রায় আড়াই ঘণ্টা তার সাথে কথা বলেন বেলোফ। শুনানি শেষে জানানো হয়, বুধবার দেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। গতকাল ১৪ পাতার একটি রায়ে বলা হয়, ডু প্লেসি ইচ্ছা করেই ‘বহিরাগত’ বস্তু ব্যবহার করেছেন এবং এই কারণে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৪ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ডু প্লেসিকে আর বেশি শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ তিনি এরই মাঝে নিজের সম্মানহানি করেছেন।
বেলোফ তার বক্তব্যে আরও বলেন, “ স্যালিভা একটি বহিরাগত বস্তু। জিন পান করা যদি নিষিদ্ধ হয়, তাহলে আপনি বলতে পারেন না এটার ব্যবহার সঠিক। ডু প্লেসি বলের অবস্থা পরিবর্তনের জন্যই এমনটা করেছিলেন। বলকে চকচকে করা অথবা পরিচর্যা করা, কোনোকিছুই আসলে গ্রহণযোগ্য না এখানে।”
যদিও ডু প্লেসি এখনো মানতে নারাজ তিনি বহিরাগত কিছু ব্যবহার করেছিলেন, “আইসিসির নিয়ম এটা পরিষ্কার করেনি কোনটি আসলে বহিরাগত বস্তু। প্রাকৃতিক জিনিসের উল্টোটাকেই কৃত্রিম বস্তু হিসেবে ধরা হয়। অক্সফোর্ড ডিকশনারিতেও এরকমটাই আছে। আমার মনে হয় এই ব্যাপারে স্পষ্ট করে কোন নির্দেশনাই নেই।”
আইসিসির রায়ের বিরুদ্ধে ডু প্লেসির আবেদনে হতাশ আইসিসির সিইও ডেভিড রিচার্ডসন, “আইসিসির দায়িত্ব হচ্ছে মাঠে সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখা। যদিও এই ব্যাপারটি আম্পায়ারদের নজরে আসেনি সেদিন, আমাদের মনে হয়েছে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের দায়িত্ব ছিল। আমরা ম্যাচ রেফারি এবং বেলোফের ওপর সন্তুষ্ট। আশা করি ভবিষ্যতে ক্রিকেটাররা এরকম কিছু করবেন না।”
আইসিসির সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছেন ডু প্লেসির পক্ষে কথা বলা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত, “ আমরা আইসিসির রায়ে সন্তুষ্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট এবং ফাফ উভয়ই বিশ্বাস করে আপিলটি করা জরুরী ছিল। আমাদের মতে, বেলোফ অনেক ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং আমরা মনে করি এই ব্যাপারে আইসিসি এবং এমসিসির আরও তদন্ত করা প্রয়োজন।”