• দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া
  • " />

     

    মিরপুর ফিরে এলো ওয়াকায়

    মিরপুর ফিরে এলো ওয়াকায়    

    দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস ২৪২

    অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ২৪৪ (ওয়ার্নার ৯৭, মার্শ ৬৩; ফিল্যান্ডার  ৪/৫৬, মহারাজ ৩/৫৬)


     

    মিরপুর যেন ফিরে এলো ওয়াকাতে। কয়েক দিন আগে ঢাকায় কোনো উইকেট না হারিয়ে ইংল্যান্ড তুলে ফেলেছিল ১০০ রান। সেখান থেকে ৬৪ রানের মধ্যে তারা অলআউট। অস্ট্রেলিয়ার পতনটাও আজ হলো তেমন আচমকা। ডেভিড ওয়ার্নার ও শন মার্শ যখন কোনো উইকেট না হারিয়েই ১৫৮ রান তুলে ফেলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার জন্য ৪০০ রানও খুব দূরের পথ মনে হচ্ছিল না। কী অদ্ভুত, সেখান থেকে তারা অলআউট হয়ে গেলো ২৪৪ রানে। মাত্র ৮৬ রানেই হারিয়েছে শেষ ১০ উইকেট।

    ১৫০ রান পার করার পর এমন ব্যাটিং ধস টেস্ট ক্রিকেট খুব বেশি দেখেনি। ২০০২ সালে গলে কোনো উইকেট না হারিয়ে জিম্বাবুয়ে তুলে ফেলেছিল ১৫৩ রান। সেখান থেকে তারা অলআউট হয়ে যায় ২৩৬ রানে। ১৯৯৯ সালে হ্যামিল্টনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৭৬ রান তুলে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত তারা অলআউট হয়ে যায় ৩৬৫ রানে। দেশের মাটিতে গত ২৩ বছরে ১০০ রানের ভেতর শেষ ৯ উইকেট হারানোর ঘটনা এটাই প্রথম হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার।

    অথচ ওয়ার্নার সকালে সেঞ্চুরিটা পেয়েই গিয়েছিলেন। কিন্তু ৯৭ রানে গিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ডেল স্টেইন। কী আশ্চর্য, ওয়ার্নারকে আউট করার পর স্টেইন করতে পারলেন আর মাত্র ৮ বল। এর পরেই কাঁধের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। পরে আর বলই করতে পারেননি।

    কে জানত, দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য সেটিই অনেক বড় একটা প্রেরণা হয়ে আসবে? স্টেইনের অনুপস্থিতিতে ফিল্যান্ডার, রাবাদা ও অভিষিক্ত কেশব মহারাজ দায়িত্ব নিলেন। ওয়ার্নারের বিদায়ের পর খাজা ও স্মিথ ফিরে গেছেন দুই অঙ্ক না ছুঁয়েই। ৬৩ রান করে ফিরে গেছেন মার্শ। অ্যাডাম ভোজেস যা একটু লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন, তিনিও আউট ২৮ রানে। শেষদিকে দুই পিটার- নেভিল ও সিডলের জন্যই শেষ পর্যন্ত মাত্র ২ রানের লিড নিতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। চার উইকেট নিয়েছেন ফিল্যান্ডার, মহারাজ নিয়েছেন তিন উইকেট।